বর্তমান সময়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হল ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং করেই বর্তমানে অনেকেই প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছে।
ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় হিসেবে সকলেই প্রায় ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে বেছে নিয়েছে। আপনারা যারা পড়াশোনা করছেন, বিশেষ করে শিক্ষার্থী রয়েছেন তারা চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে কিছু টাকা ইনকাম করে নিজের পড়াশোনা খরচ চালাতে পারেন।
শিক্ষার্থীর জন্য বেশ কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবে।
শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই সকল শিক্ষার্থীকে ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইল।
যারা স্টুডেন্ট রয়েছেন তারা অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, কারণ আর্টিকেলে শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে। এতে করে শিক্ষার্থীরা সঠিক ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম বাছাই করে কাজ করার বিনিময়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকামের সাইট
বর্তমান সময়ে অনলাইনে টাকা উপার্জন করার জনপ্রিয় মাধ্যম হল ফ্রিল্যান্সিং করা। শিক্ষার্থীদের মাঝে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি পকেট খরচ ও পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরটি বেছে নিয়েছে।
দিনের কয়েক ঘন্টা সময় দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে সহজেই অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করা যায়, যার কারণে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করছে। শিক্ষার্থীদের ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলো সম্পর্কে জানতে হবে।
বিশেষ করে যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানা খুবই আবশ্যক। নিজের দক্ষতা অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট নির্বাচন করতে হয়, এরপর সেই ওয়েবসাইটে নিজের দক্ষতা দেখিয়ে কাজ করার বিনিময়ে টাকা উপার্জন করা যায়।
আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে এ টু জেড বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। যাতে করে শিক্ষার্থীরা সঠিক প্ল্যাটফর্ম বাছাই করতে পারে।
বিশেষ করে নতুন শিক্ষার্থী ফ্রিল্যান্সাররা রয়েছেন তাদের জন্য এটি জানা খুবই জরুরী। তাছাড়া নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট নির্বাচন করলে খুব দ্রুত সময়ে এবং সহজেই টাকা উপার্জন করা যায়।
ফ্রিল্যান্সিং কি?
ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি কি অনেকেই আমরা ভালোমতো জানি না, তাদেরকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। ফ্রিল্যান্সিং হলে অনলাইনে একপ্রকার মুক্ত পেশা। সাধারণত অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করার বিনিময়ে টাকা উপার্জন করাকেই ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। চাকরির মতই ফ্রিল্যান্সিংও একটি পেশা।
কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং ঘরে বসে অনলাইনে করা যায়, আর চাকরি ঘরের বাইরে অফিসে উপস্থিত থেকে করতে হয়। আর এভাবে ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়কে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়ে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নিজের ইচ্ছায় অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন।
এখানে ঘন্টা ভিত্তিক চুক্তি অনুযায়ী কাজ করা যায়, আবার প্রজেক্ট নিয়ে নির্দিষ্ট সময় নিয়েও কাজ কমপ্লিট করে টাকা উপার্জন করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ধরা বাধা কোন নিয়ম নেই, কারণ চাকরি ক্ষেত্রে অফিসে উপস্থিত হয়ে কাজ করতে হয়। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে অনলাইনে ঘরে বসেই ইচ্ছামত যেকোন সময়ে কাজ করা যায়।
তাহলে দেখতে পেলেন ফ্রিল্যান্সিংয়ে কতটা সুবিধা রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে কাজ নিয়ে তাদের দেখানো ইনস্ট্রাকশন অনুযায়ী কাজ কমপ্লিট করে দিবেন। এভাবে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে ইচ্ছামতো সময়ে ক্লাইন্ট নির্বাচন করে কাজ করে ইনকাম করা যায়।ফ্রিল্যান্সিং করার নির্দিষ্ট কোন অফিস টাইম নেই।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর কোন বিষয়ে যদি দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে সরকারি চাকরিজীবী থেকেও বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন এই ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে। এই কারণে বর্তমানে সকলেই চাকরির পেছনে না ছুটে ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে বেছে নিচ্ছে। আর ফ্রিল্যান্সিং যেহেতু স্বাধীন পেশা, এখানে কেউ কারো বস নয়। ইচ্ছামত কাজ করা যায়, যার কারণে ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বর্তমানে অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং কাজটি করে মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছে। আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে পার্ট টাইম জব হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং করার পূর্বে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে কিছুটা ধারণা রাখতে হবে, আর এই ধারণা দেওয়ার জন্যই আমরা আজকের আর্টিকেলটিতে হাজির হয়েছি।
শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে, তাছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং এর ডিমান্ড বাড়ার সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি বাংলাদেশের যেকোন স্থানে থাকুন না কেন, আপনার আশেপাশে থাকা জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখে নিতে পারেন। তবে অবশ্যই ভালো মানের ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন করতে করবেন। বর্তমানে অনেক ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর নামে এক প্রকার প্রতারণা করে থাকে। তারা ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর জন্য কোর্স নিয়ে থাকে কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং কোর্সটিতে কোন কিছু ভালোমতো শেখায় না। তারা একপ্রকার প্রতারণা করে।
এ ধরনের সকল ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান থেকে সাবধান থাকবেন এবং সবসময় সতর্ক থাকুন। ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করার পূর্বে অবশ্যই কাস্টমার ফিডব্যাক ও রিভিউ দেখে নিবেন। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা খুব সুন্দরভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়ে থাকে। আপনি ইন্টারনেটে সার্চ করলেই সেই ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম জেনে যাবেন।
আমরা এখন শিক্ষার্থীরা কোন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। নিম্নে শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট এর তালিকা তুলে ধরা হলোঃ
- fiverr.com
- upwork.com
- Freelancer.com
- peopleperhour.com
- 99designs.com
- behance.net
- toptal.com
- ordinaryit.com
fiverr.com – ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম
শিক্ষার্থীরা সেরা ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট খুঁজে থাকলে ফাইবার ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মটির কথা চিন্তা করতে পারেন। বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম হল ফাইবার। বিশেষ করে যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়েছে তাদের জন্য এই ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটটি খুবই উপযুক্ত। কারণ এখানে দক্ষতা ভিত্তিক নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কাজের সুযোগ রয়েছে।
ছোট ছোট ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো করে এই ওয়েবসাইট থেকে টাকা উপার্জন করা যায়। এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন বিষয়ে প্রজেক্ট ভিত্তিক কাজ পাওয়া যায়। মূলত এখানে ডিজিটাল মার্কেটিং , গ্রাফিক্স ডিজাইন , ট্রান্সলেটিং , কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি সহ ১০০ টিরও বেশি জবের অফার বা ক্যাটাগরি রয়েছে।
আপনার নিজের দক্ষতা অনুযায়ী ক্যাটাগরি ও কাজগুলো সিলেক্ট করতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী বিদেশী ক্লায়েন্টদের সাথে প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করতে পারবেন। ফাইবারে কাজ পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে ফাইবারে একটি অ্যাকাউন্ট বা প্রোফাইল খুলতে হবে।
ফাইবারে বায়ার বা ক্লাইন্ট পেতে হলে গিগ তৈরি করতে হয়। এই প্লাটফর্ম থেকে আপনারা সর্বনিম্ন ৫ ডলারের কাজ করতে পারেন। একটি গিগের দাম ৫ ডলার থেকে শুরু হয়। এই প্লাটফর্মে শিক্ষার্থীরা অতি সহজেই আয় করতে পারবে।
upwork.com
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার আরেকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হল upwork। শিক্ষার্থীদের যদি কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা থাকে তাহলে এই ওয়েবসাইটে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবে। এই ওয়েবসাইটিতে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের বেশি ডিমান্ড রয়েছে। এই ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন বিদেশিদের ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে কাজ পেতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ সরকার অনুমোদিত ইনকাম অ্যাপ
যার ফলে শিক্ষার্থীরা ওয়েবসাইটে বিভিন্ন প্রজেক্ট ভিত্তিক কাজ করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবে।শিক্ষার্থীরা এই ওয়েবসাইটে নিজেদের প্রোফাইল তৈরি করে ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করে কাজ নিতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সমূহের মধ্যে এটি খুবই জনপ্রিয়।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় করার উপায়
যার কারণে আমার মতে শিক্ষার্থীরা এই ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। এখানে ঘন্টা ভিত্তিক বিভিন্ন চুক্তি অনুযায়ী বিদেশীদের সাথে কাজ করে টাকা উপার্জন করা যাবে। প্রতি ঘন্টায় কাজ করে ১০ থেকে ২০ ডলার বা তার বেশি ইনকাম করতে পারেন।
Freelancer.com
peopleperhour.com
এই ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে সাধারণত দক্ষতা ভিত্তিক কাজগুলো করানো হয়ে থাকে। আর এখানে যারা দক্ষ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন তারাই একমাত্র কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
এই সাইটের ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের প্রোফাইলের রেটিং বৃদ্ধি করতে হয়। যদি আপনার ফ্রিল্যান্সিং রেটিং বৃদ্ধি করতে পারেন তাহলে এই সাইটে কাজ করে সফল হতে পারবেন।
আপনার প্রোফাইলে যদি রেটিং ভালো থাকে তাহলে বেশ ভালো এবং বড় ধরনের প্রজেক্ট গুলো কমপ্লিট করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
মূলত এই ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে নিজের দক্ষতাকে দেখিয়ে প্রোফাইলে রেটিং বৃদ্ধি করতে হবে। আর রেটিং বাড়তে থাকলেই আপনার কাজের পরিমাণ বাড়তে থাকবে। ক্লায়েন্টদের আপনার প্রতি বিশ্বাস বেড়ে যাবে।
যার কারণে আপনি অধিক কাজ কমপ্লিট করে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এই ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে সকল ফ্রিল্যান্সারদের প্রোফাইলে আলাদা ধরনের বিভিন্ন রেটিং দেওয়া থাকে। এই রেটিং অনুযায়ী কাজ পাওয়া যায়।
আপনার যদি প্রোফাইলের ফ্রিল্যান্সিং কাজের রেটিং বেশি থাকে তাহলে আপনি সহজেই বিদেশী ক্লাইন্টের কাছ থেকে কাজ পেতে পারেন। এই সাইটটিতে বিনামূল্যে প্রোফাইল খুলে ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা দেখানোর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আর এই সাইটে বেশি বেশি নিজের প্রোফাইল রেটিং আপডেট করতে থাকুন।
99designs.com
শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে গ্রাফিক ডিজাইন করে টাকা ইনকাম করার অন্যতম জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো 99designs.com। যেসব শিক্ষার্থীরা গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজে পারদর্শী অথবা দক্ষতা রয়েছে তারা এই প্লাটফর্মে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এটি মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ করার প্লাটফর্ম।
এখানে আবার বিভিন্ন গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কিত প্রজেক্টগুলো কমপ্লিট করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন করে টাকা উপার্জন করতে চান তাহলে এটি হতে পারে আপনার জন্য সেরা ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম। তবে আমাদের জানামতে এই ওয়েবসাইটটিতে সদস্য পদ অর্জন করার পর কাজ করা যায়।
আর সদস্যপদ লাভ করার জন্য সদস্য পদের প্যাকেজ কিনতে হয়। তার কারনে শিক্ষার্থীদের জন্য এই প্লাটফর্মে কাজ করা একটু কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়, কারণ এখানে কিছু টাকা খরচ করে সদস্য পদ নিয়ে কাজ করতে হয়।
আমার মতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার রয়েছেন তারা চাইলে কিছু টাকা খরচ করে এখানে সদস্য পদ নিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ করে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারেন।এটি যেহেতু গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ করার বেস্ট প্লাটফর্ম সেক্ষেত্রেই প্লাটফর্মে গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজটি করতে পারেন।
behance.net
toptal.com
ordinaryit
আপনারা সকলেই জানেন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কনটেন্ট রাইটিং নামের একটি কাজ রয়েছে। কনটেন্ট রাইটিং ফ্রিল্যান্সিং এর একটি সেক্টর। এখানে মূলত লেখালেখি করে টাকা ইনকাম করতে হয়।
যারা আর্টিকেল রাইটিং বা কন্টেন্ট রাইটিং করে টাকা উপার্জন করতে চাচ্ছেন তারা চাইলে এই অর্ডিনারি আইটি ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করতে পারেন।
তারা বর্তমানে আর্টিকেল রাইটিং জব করে থাকছে, যদি আর্টিকেল রাইটিং রাইটিং এ দক্ষ হয়ে থাকে তাহলে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আর্টিকেল রাইটিং করার জন্য বিভিন্ন বিষয় জানতে হয়, যদি আপনার যোগ্যতা থাকে তাহলে এই প্লাটফর্মে আর্টিকেল রাইটিং কাজের জন্য যোগাযোগ করুন।
তারা বাংলা আর্টিকেল রাইটিং কাজের অফার করে থাকছে। বিস্তারিত জানার জন্য তাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজে চাহিদা বেশি?
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন কাজের চাহিদা রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনি প্রচুর ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো দক্ষতা অনুযায়ী করতে পারবেন। তবে বেশ কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো চাহিদা ফ্রিল্যান্সিং সাইডে সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে।
যদি আপনি সেই কাজগুলোতে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম থেকে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে সকল কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি তা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ওয়েব ডিজাইন
- কনটেন্ট রাইটিং
- এসইও(SEO)
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ভিডিও এডিটিং
- সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
সর্বশেষ কথা
শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন আর ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার চিন্তা ভাবনা করছেন, সেক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আর্টিকেলটি পুরোটা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
তাহলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ওয়েবসাইটগুলো সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাবেন। আর নিজের পছন্দমত ওয়েবসাইটগুলোতে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত টিপস ও অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন।

আমি নোমান, একজন অনলাইন ইনকাম এক্সপার্ট ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর। ২০২১ সাল থেকে অনলাইন আয়ের বিভিন্ন মাধ্যম নিয়ে গবেষণা করছি এবং সেই অভিজ্ঞতার আলোকে এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত তথ্যবহুল অনলাইন ইনকামের বিষয় নিয়ে আর্টিকেল প্রকাশ করি। পাশাপাশি তথ্যবহুল দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি