বিনা টাকায় ইনকাম করার সেটা ৫টি উপায় ও টাকা ইনকামের আইডিয়াগুলো নিয়ে আজকের
নতুন আর্টিকেলটিতে আমরা হাজির হয়েছি। আপনাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা অনলাইনে
বিনিয়োগ ছাড়া টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন,
তাদের কথা ভেবেই আমরা আর্টিকেলটিতে বিনা বিনিয়োগে আয় করার উপায় গুলো আলোচনা
করব। এছাড়া কিছু সেরা টাকা ইনকামের আইডি গুলো তুলে ধরব। যার ফলে আপনি ইনকাম করার
আইডিয়াগুলো জেনে সহজে বিনিয়োগ ছাড়া বিভিন্নভাবে ইনকাম করতে পারবেন।
বিনা টাকায় কিভাবে অনলাইন ও অফলাইন থেকে উপার্জন করা সম্ভব তা নিয়ে আজকের
আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত থাকছে। তাই সকলের কাছে অনুরোধ রইলো আর্টিকেলটি শেষ
পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। কেননা আমরা এখন টাকা ইনকামের সহজ আইডিয়াগুলো
তুলে ধরব।
.
বিনা টাকায় ইনকাম করার উপায়
বিনা টাকায় ইনকাম বলতে এখানে বিনিয়োগ ছাড়া বা ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই ইনকাম করাকে
বোঝাচ্ছে। অর্থাৎ আপনি বিনামূল্যে বিভিন্নভাবে কাজ করে ইনকাম করতে পারছেন।
অনলাইনে বিনামূল্যে কাজ করে ইনকাম করার অনেক মাধ্যম রয়েছে যা হয়তো আপনি জানতে
পারলে নিশ্চিতভাবে আয় করতে পারবেন।
এখন আর মানুষ ঘরে বসে বেকার সময় কাটায় না, বরং বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ইনকামের
আইডিয়া জেনে ইনকাম করার চেষ্টা করে থাকে। বর্তমানে এই আধুনিক যুগ ইন্টারনেট
থাকার কারণে সকলে এখন হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে বিভিন্নভাবে ইনকাম করতে পারে।
আপনার কাছে যদি স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার থেকে তাহলে আপনি বিনামূল্যে অর্থাৎ
বিনা টাকায় ইনকাম করতে পারেন। কিভাবে ইনকাম করবেন তা আমরা সঠিকভাবে এখন দেখিয়ে
দেব। এবার চলুন বিনিয়োগ ছাড়া ইনকাম করার উপায় গুলো জেনে আসা যাক।
ফ্রিল্যান্সিং
যদি বৈধভাবে বিনিয়োগ ছাড়া ইনকাম করার চিন্তা ভাবনা করে থাকেন, তাহলে আমরা বলব
ফ্রিল্যান্সিং করা শুরু করুন। কারণ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করার জন্য
অর্থ বিনিয়োগ করার প্রয়োজন নেই। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অ্যাকাউন্ট খুলে
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করে প্রতিদিন ইনকাম করা যায়।
ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি সেক্টর এখান থেকে আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রতিদিন
ইনকাম করতে পারবেন। তবে এই সেক্টর থেকে ইনকাম করার একটাই উপায়, আর সেটি হলো
নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগানো।
যদি আপনার নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন কাজগুলো করতে
পারেন তাহলে অবশ্যই উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। বর্তমানে ফাইবার সহ অন্যান্য অনেক
জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে সম্পূর্ণ ফ্রিতে একাউন্ট খুলে
কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়।
বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের অগ্রাধিকার বেশি
দেওয়া হয়। তাই আমরা বলবো প্রথমে আপনারা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো ভালোভাবে
শিখে নিন। এরপর ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে বিনামূল্যে অর্থাৎ বিনা টাকায়
একাউন্ট খুলে কাজ করে ইনকাম করুন।
ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু জনপ্রিয় কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে কন্টেন্ট রাইটিং ,ডিজিটাল
মার্কেটিং ,এসইও ,ফেসবুক মার্কেটিং ,ভিডিও এডিটিং ,গ্রাফিক্স ডিজাইন ,ওয়েব
ডিজাইন ,সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি। অবশেষে বলবো ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে
বিনিয়োগ লাগে না, কেবল স্কিল দরকার।
কনটেন্ট রাইটিং
কনটেন্ট রাইটিং হল অনলাইনে লেখালেখি করা। আপনারা যেমন ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট করার
সময় লেখালেখি করেন। ঠিক একইভাবে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করে
পোস্ট তৈরি করা যায়।
তবে এখানে শুধু পার্থক্য হল আপনি ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আর্টিকেল তৈরি
করে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি সরাসরি চাইলে নিজের ওয়েবসাইট খুলে সেখানে কন্টেন্ট
রাইটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এখন যুবক ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন প্লাটফর্মে কন্টেন্ট রাইটিং
সার্ভিস দিয়ে প্রতিদিন ৫০০ টাকা ১০০০ টাকা ইনকাম করছে। তাহলে আপনিও এই ভাবেই
অন্যজনের ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে উপার্জন করতে পারবেন।
শুধুমাত্র আপনার সাধারণ জ্ঞান ভালো হতে হবে। মূল কথা কনটেন্ট রাইটিং কিভাবে করতে
হয় এবং কিভাবে একটি এসইও সম্পন্ন আর্টিকেল লিখতে হয় সেগুলো জেনেই আপনি কাজ করে
আয় করতে পারবেন।
এছাড়াও কনটেন্ট লেখার জন্য ভালো টাইপিং দক্ষতা থাকতে হয়। আর পাশাপাশি যদি আপনি
লেখালেখি করতে পারেন তাহলে অবশ্যই নিশ্চিতভাবে অনলাইনে কনটেন্ট রাইটিং সার্ভিস
দিয়ে সারা জীবন ইনকাম করতে পারবেন।
এই কাজগুলো সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করতে পারবেন, এখানে শুধু আপনার স্কিল দরকার।
কনটেন্ট রাইটিং সার্ভিস দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যেমনঃ
- Trickbd
- অর্ডিনারি আইটি
- টেকটিউন্স
- ফাইবার
- Upwork.com
- ফ্রিল্যান্সার ডট কম
- asprivate
- লেখক.মি
- পাঠক bd
উপরোক্ত সাইটগুলোতে আপনি বাংলা ইংরেজি দুই ভাষাতেই কনটেন্ট রাইটিং করে
বিনামূল্যে উপার্জন করতে পারবেন।
বিনা টাকায় ইনকাম - ডাটা এন্ট্রি কাজ
বিনা টাকায় ইনকাম করার আরেকটি অন্যতম উপায় হলো ডাটা এন্টি। এই কাজটি
আপনি বিভিন্ন কোম্পানিতে অনলাইনে অথবা অফলাইনে করতে পারবেন। সরাসরি অফিসে
গিয়েও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
বর্তমানে সরকারিভাবে ডাটা এন্টি কাজের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা
হচ্ছে। যার ফলে আপনি সরকারি চাকরি করতে পারবেন, তাও আবার ডাটা এন্টির কাজ।
তাহলে বুঝতে পারছেন ডাটা এন্ট্রির কাজের চাহিদা দিনে দিনে কতটা বৃদ্ধি
পাচ্ছে।
ডাটা এন্ট্রি অন্যতম কাজ গুলো হলোঃ ডাটা টাইপিং, কপি-পেস্ট, ফর্ম ফিলআপ
ইত্যাদি। যদি আপনার এই কাজগুলো জানা থাকে তাহলে ডাটা এন্টির কাজগুলো করে সরাসরি
অনলাইন বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
পাশাপাশি সরকারি জব করেও ইনকাম করার সুযোগ থাকছে। ডাটা এন্টি কাজের জন্য
স্মার্টফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন।
এটি সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে। যদি অনলাইনে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে
ইনকাম করতে চান তাহলে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে একাউন্ট খুলুন এবং ডাটা
এন্ট্রির কাজ করে আয় করুন।
ডাটা এন্ট্রির কাজটি বর্তমানে টাকা ইনকামের আইডিয়া গুলোর মধ্যে সবচেয়ে
জনপ্রিয়। তাই আপনার কাছে যদি সময় থাকে তাহলে ডাটা এন্টি শিখুন এবং ইনকাম
করুন।
YouTube চ্যানেল খোলা
নিজের একটি YouTube চ্যানেল খুলে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা যায়। বিভিন্ন
বিষয় নিয়ে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন যেমনঃ শিক্ষামূলক, রিভিউ, ব্লগ,
রান্না, গেমিং ইত্যাদি।
আপনার যে বিষয়গুলো ভালো লাগে সে বিষয়গুলো নিয়ে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করুন আর
ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে আপলোড করে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ইনকাম করুন। এটি
সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ইনকাম করার অন্যতম উপায়।
যদি বিনা টাকায় ইনকাম করার উপায় খুঁজে দেখেন, তাহলে আমার মতে ইউটিউব চ্যানেল
খুলে ইনকাম সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায়। youtube চ্যানেল খুলে ইনকাম করতে হলে প্রচুর
পরিশ্রম করতে হবে এবং ধৈর্য সহকারে দীর্ঘদিন কাজ করতে হবে।
যেহেতু এটি অনলাইন ভিত্তিক কাজ তাই ধৈর্য সহকারে কাজ করা অবশ্যক। ইউটিউব
চ্যানেল খুলে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজন শুধু কনসিস্টেন্সি ও ভালো
আইডিয়া।
Survey বা Micro Task করা
বর্তমানে অনলাইনে ইনকাম করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে,
যেখানে আপনি ছোটখাট কাজ করে প্রতিদিন কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখানে
সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করা যায়।
google chrome ব্রাউজারে গিয়ে অথবা ইন্টারনেটে চার্জ করলেই আপনি সার্ভে করে
ইনকাম করার অনেক ওয়েবসাইট পাবেন। যেখানে নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দিয়ে অথবা
সার্ভে টাইপ প্রশ্নের জবাব দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। পাশাপাশি আরও অনেক ধরনের
মাইক্রো টাস্ক থাকে।
যেগুলোর মাধ্যমেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন। আগে থেকে বলে রাখছি অনলাইনে এই ধরনের
কাজগুলো থেকে আপনারা খুব একটা বেশি উপার্জন করতে পারবেন না। কারণ এখানে
সম্পূর্ণ ফ্রিতে কোনো রকম দক্ষতা ছাড়াই কাজ করে ইনকাম করতে হয়।
যার কারণে এখানে আপনি ছোট ছোট কাজ করে সামান্য টাকা ইনকাম করতে পারবেন। একটা
কথা মনে রাখুন যে কাজে কোন দক্ষতার প্রয়োজন হয় না সেখানে ইনকাম করা যায় না। আর
ইনকাম করা গেলেও অনেক কম পরিমাণে হয়।
তবুও অযথা বেকার না বসে থেকে এই ধরনের সাইট থেকে ইনকাম করতে পারেন। কিছু Micro
Task ওয়েবসাইটগুলোর তালিকা নিম্নে দেওয়া হলঃ
- Swagbucks
- Workup job
- TimeBucks
- Workupplace
- Remotasks
উল্লেখিত ওয়েবসাইট গুলোতে ফ্রিতে একাউন্ট খুলে কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন।তাই
আমরা এই সাইটগুলো সম্পর্কে আপনাদের জানালাম। এখানে কাজ করে বাংলাদেশী
পেমেন্ট মেথড বিকাশের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। তবে অনেকগুলোতে টাকা
উত্তোলন করার জন্য ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতির প্রয়োজন হতে পারে।
টাকা ইনকামের আইডিয়া
টাকা ইনকামের হাজার হাজার আইডিয়া আছে, এর মধ্যে থেকে আমরা সেরা কিছু আইডি গুলো
আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যা জানার মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারেন। যদি
আপনার ইনকাম করার প্রবল ইচ্ছা থাকে তাহলেই আইডিয়াগুলো জানুন এবং সেই অনুযায়ী
কাজ করে ইনকাম করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যান। এবার চলুন টাকা ইনকামের
আইডিয়াগুলো সম্পর্কে জেনে আসা যাক।
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ব্লগিং করে
- কোচিং সেন্টার খুলে আয়
- ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ব্যবসা
- বইয়ের দোকান
- নার্সারি ব্যবসা
- ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট
- মোবাইল রিচার্জ দোকান
- দর্জির দোকান
- ট্যুর গাইড
- হাঁস মুরগির খামার
- সিজিনাল ফলের ব্যবসা
- অনলাইনে শিক্ষকতা
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- মেয়েদের বোরকা বা থ্রি-পিস বিক্রয়
- ফাস্টফুডের দোকান
- নার্সারি করা
- ফলের জুসের দোকান
- কম্পিউটার সার্ভিসিং এর দোকান
উল্লেখিত টাকা ইনকামের আইডিয়াগুলোর মধ্যে কিছু আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত
আপনাদের মাঝে এখন শেয়ার করা হবে। আমার কাছে যে উপায়গুলো ভালো মনে হয়েছে
এবং খুবই কার্যকরী সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা
করা হলোঃ
অনলাইনে শিক্ষকতা - বিনা টাকায় ইনকাম
আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সেই বিষয়টি অনলাইনের মাধ্যমে কোর্স করিয়ে অতি সহজে
ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। মূলত আপনার যে কোন বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে এবং সেই
বিষয়টি সম্পর্কে বোঝানোর ক্ষমতাও থাকতে হবে।
আপনি যে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছেন সে বিষয়টি অনলাইনের মাধ্যমে কোর্স
করিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কোর্স করানোর মাধ্যমে
আজকাল অনেকেই ভালো ধরনের ব্যবসা করছে।
তাই আপনারা চাইলেও অনলাইনে শিক্ষকতা করে ভালো পরিমান আয় করতে পারবেন। এই
সেক্টরে আপনি অল্প পুঁজিতে শুরু করতে পারবেন। ফেসবুক বা ইউটিউব চ্যানেল থাকলে
সেখানে অনলাইনে কোর্স করাতে পারবেন।
আপনার কোর্স সবার কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রমোট করতে হয় সেগুলো আপনারা
কম খরচে করতে পারবেন। ধরুন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এ দক্ষতা অর্জন করেছেন
তাহলে সেই বিষয়টি সম্পর্কে আপনি অনলাইনে সবাইকে ধারণা ও শিখিয়ে দিতে
পারেন।
এর জন্য আপনি সামান্য পরিমাণ তাদের কাছ থেকে কোর্স ফ্রি নিতে পারেন। এভাবে
আপনি অনলাইনে শিক্ষকতা করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
তবে আপনার অনলাইনে কোর্স করানোর জন্য ভিডিও তৈরি করতে হয় এবং সেই ভিডিও
ইউটিউব অথবা ফেসবুকে আপলোড করতে হয়। তাই আপনাদের বাড়িতে ইন্টারনেট কানেকশন
বা ওয়াইফাই কানেকশন থাকলেই হয়ে যাবে।
তাহলে বুঝতে পারছেন কম পুঁজিতে এ ধরনের অনলাইনে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
আপনারা চাইলে অংক , বিজ্ঞান , ভাষা শিক্ষা , ভিডিও এডিটিং , ডিজিটাল
মার্কেটিং , গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদিসহ নানা বিষয়ে অনলাইনে কোর্স করাতে
পারেন। এই ব্যবসাটি আপনি সর্বনিম্ন ৫০০০ টাকা দিয়েই শুরু করতে পারবেন।
ট্যুর গাইড
বর্তমানে ট্যুর গাইড এর চাহিদা বেড়ে চলেছে। কারণ মানুষ এখন দেশের বিভিন্ন
স্থানে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে। এজন্যই বিভিন্ন সময়ে ট্যুর গাইডের প্রয়োজন
হয়ে থাকে। ট্যুর গাইডের সহায়তা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যায়।
তাহলে বুঝতেই পারছেন আপনারা চাইলে ট্যুর গাইডের ব্যবসা করে ভালো পরিমাণ আয়
করতে পারবেন। এর জন্য আপনি ট্যুর গাইড এজেন্সিতে যোগ দিতে পারেন। আপনার কাজ
হল হোটেল বুকিং , ট্রেনের টিকিট কাটা অর্থাৎ সম্পূর্ণ ট্যুর প্ল্যানিং
করা।
মূলত এখানে অতিথিদের সকল জায়গায় নিয়ে যাওয়া এবং ট্যুর সম্পর্কিত সকল
দায়িত্ব পালন করা আপনার কাজ হবে। আপনারা চাইলে কম খরচে এই ট্যুর গাইড ব্যবসা
শুরু করতে পারেন।
এর জন্য প্রয়োজন হবে আপনার একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট যেখানে আপনি ট্যুর
সম্পর্কিত বিস্তারিত তুলে ধরবেন। আর আপনাকে সকল ধরনের নতুন নতুন জায়গা খুঁজে
বের করতে হবে এবং হোটেল মালিকের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে ও ট্রাভেল এজেন্সির
রেট জেনে নিতে হবে।
এভাবে ট্যুর গাইড ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ধরুন আপনি কক্সবাজারে থাকেন এবং
সেখানে ট্যুর গাইডের ব্যবসা করেন। কক্সবাজারে যখন কোন ব্যক্তি ঘুরতে যাবে তখন
সেখানকার সকল দর্শনীয় স্থানীয় জায়গা গুলো ঘুরে দেখানো হবে আপনার দায়িত্ব।
দর্জির দোকান
আপনারা অল্প পুঁজিতে ৫- ১০ হাজার টাকা দিয়ে দর্জির দোকানের ব্যবসা শুরু করতে
পারেন। দর্জির দোকান দিয়ে ভালো লাভজনক ব্যবসা করতে চাইলে অবশ্যই কিছু দক্ষতা ও
সৃজনশীলতা ভাব থাকতে হবে।
নতুন ধরনের ডিজাইন তৈরি করে গ্রাহকের কাছে বিক্রয় করা এবং গ্রাহকের দেওয়া
জামা কাপড় ভালো ভাবে বানিয়ে দেওয়াই হলো আপনার মূল কাজ। তাছাড়াও নতুন ধরনের
ডিজাইন বানিয়ে কাপড় তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন।
আবার গ্রাহকদের কাপড়ে বিভিন্ন ধরনের নকশা করে সৃজনশীল দেখিয়ে আপনার ব্যবসার
পরিচিতি বাড়াতে পারেন। এতে করে আপনার ব্যবসার মান উন্নয়ন হবে এবং সকল গ্রাহক
আপনার কাছ থেকে সেবা নিবে।
মোবাইল রিচার্জ দোকান
বর্তমানে সকলে কমবেশি মোবাইল ফোনে সিম ব্যবহার করে কথা বলে থাকে। আর মোবাইল
ফোনে সিম ব্যবহার করে কথা বলতে হলে মোবাইল ফোনের সিমে ব্যালেন্স রিচার্জ করতে
হয়। আর এই রিচার্জ করার জন্য বেশিরভাগ মানুষ দোকানে গিয়ে থাকে।
তাহলে বুঝতে পারছেন মোবাইল রিচার্জ এর দোকান এর ডিমান্ড কতটা বেশি। আপনারা
চাইলে কম খরচে অল্প পুজিতে মোবাইলে রিচার্জ করার দোকান খুলতে পারেন। এখানে আপনি
গ্রাহকদের মোবাইল ফোনের ব্যালেন্স রিচার্জ করে দিবেন এবং সাথে আরও নগদ , বিকাশ
ব্যালেন্স রিচার্জ করতে পারেন।
তাহলে আপনারা চাইলে নিজের এলাকাতে ছোট দোকান ভাড়া নিয়ে মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা
শুরু করে দিতে পারেন। এর জন্য নেটওয়ার্ক প্রোভাইড এর সাথে যোগাযোগ করে
চুক্তিবদ্ধ হতে হবে এবং কমিশন রেট জেনে নিতে হবে। আর এভাবে আপনি টাকা
ইনকাম করতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন
আপনারা যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন বিষয়ে পারদর্শী তারা এ বিষয়টি নিয়ে অফলাইনে
কোর্স করিয়ে টাকা আয় করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি একটি ছোট ঘর ভাড়া নিয়ে
সেখানে গ্রাফিক ডিজাইন বিষয়ক টিউশনি করে অতি সহজেই আয় করতে পারবেন।
কারণ বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা বেড়ে চলেছে। ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে
গ্রাফিক ডিজাইন এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এজন্য অনেকে কমবেশি ফ্রিল্যান্সিং
করার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চাই।
বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে উচ্চমানের
কোর্স ফ্রী চার্জ করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার এলাকায় ছোট্ট একটি ঘর
ভাড়া নিয়ে কোর্স ফি কম রেখে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর শিক্ষা দিতে পারেন।
মেয়েদের বোরকা বা থ্রি-পিস বিক্রয়
অনলাইনে মেয়েদের বোরকা বা থ্রি পিস বিক্রি করে অতি সহজেই ঘরে বসে ইনকাম করতে
পারবেন। এখানে আপনি অনলাইন প্লাটফর্মে কাপড় বিক্রি করতে পারেন। এর জন্য
আপনার বিভিন্ন ধরনের নতুন ডিজাইনের কাপড়, বোরকা ও থ্রি পিস মজুদ রাখতে
হবে।
কারণ আকর্ষণীয় ও ভালো মানের কাপড় মেয়েরা পছন্দ করে থাকে। আপনার অনলাইন
প্লাটফর্মে ভালো মানের আকর্ষণীয় বোরকা বা থ্রি পিস এর বিজ্ঞাপন দিয়ে
গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করতে পারেন।
এক্ষেত্রে অনলাইনে আপনার ফেসবুক পেজ অথবা ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে। ফেসবুক
পেজে আপনি বোরকা বা থ্রি পিস এর ছবি এবং দাম সহ বর্ণনা দিয়ে রাখতে
পারেন।
তাহলে গ্রাহকদের অনেকটা সুযোগ সুবিধা হয়ে থাকে পোশাকটি সম্পর্কে জানতে।
এভাবে আপনি অনলাইনে বোরকা বা থ্রি পিস এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
ফাস্টফুডের দোকান
আপনারা চাইলে কিন্তু ফাস্ট ফুডের দোকান খুলতে পারেন। কারণ বর্তমানে যুবকরা
ফাস্টফুড বেশি খেয়ে থাকে যার ফলে এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে।
তাহলে বুঝতে পারছেন ১০০০০ টাকায় আপনি একটি ফাস্ট ফুডের দোকানের ব্যবসা শুরু
করতে পারবেন। কিন্তু এখানে আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের ফাস্টফুড তৈরি করতে
হবে।
তাহলে গ্রাহকরা আকর্ষণ হবে এবং আপনার ব্যবসা ভালো চলবে। এছাড়াও ফাস্ট ফুডের
দোকান এর প্রচার করতে বিভিন্ন ধরনের ব্যানার বা এলাকায় মাইকিং করে জানাতে
পারেন।
নার্সারি খুলে ইনকাম
নার্সারি ব্যবসা করার মাধ্যমেও ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা যায়। আর এটি আপনি
১০ হাজার টাকাতেই শুরু করতে পারবেন। বর্তমানে আমাদের দেশে ছাদ বাগানে করার
চাহিদা বেড়েই চলেছে। এর ফলে নার্সারি গুলোতে ভাল রকমের ব্যবসা হচ্ছে।
আপনারা বাড়ির ছাদে অথবা বাড়ির আশেপাশে নার্সারি শুরু করতে পারেন। এজন্য আপনার
নার্সারিতে ভালো মানের গাছের চারা ও ফুলের চারা আনতে হবে।
তাছাড়াও আপনারা গাছগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। এর জন্য অনলাইনে প্রচার
করতে হবে। আর নার্সারির ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই নার্সারিতে থাকা গাছগুলোর
ভালোভাবে যত্ন নিতে হবে এবং গাছ সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
শেষ কথা - বিনা টাকায় ইনকাম
বর্তমান ডিজিটাল যুগে বিনা টাকায় ইনকাম করা আর কোনো কল্পনা নয় ,এটা এখন
একেবারে বাস্তব এবং সম্ভব। আপনার হাতে যদি একটি স্মার্টফোন, ইন্টারনেট সংযোগ
এবং শেখার আগ্রহ থাকে, তাহলে আপনি ঘরে বসেই ইনকাম করতে পারেন। তবে একথা মনে
রাখা জরুরি যে, বিনা পুঁজির কাজ মানেই কিন্তু বিনা শ্রম নয়। সময়, ধৈর্য আর
নিষ্ঠা দিতে হবে তবেই আপনি সফল হবেন।
শুরুটা ছোট হলেও, সঠিক পথে চললে একদিন সেটা বড় কিছুতে রূপ নিতে পারে। তাই
একটার পর একটা ভিডিও দেখা বা শুধুই খোঁজাখুঁজিতে সময় নষ্ট না করে, আজ থেকেই
ছোট একটা পদক্ষেপ নিন। হয়তো আপনার আজকের সিদ্ধান্তটাই আপনার জীবনের অর্থনৈতিক
চেহারা বদলে দিতে পারে।
সবচেয়ে বড় কথা, ইনকামের উপায় হাজারটা থাকলেও, আপনার সত্যিকারের আগ্রহ আর
কাজের মানই ঠিক করবে আপনি কতদূর যেতে পারবেন। বিনা টাকায় শুরু হোক, কিন্তু
লক্ষ্য হোক নিজের একটি সফল পরিচয় তৈরি করা। তাই আজকে থেকেই টাকা ইনকামের
আইডিয়াগুলো জেনে ইনকাম করার জন্য পরিশ্রম করে যান। নিশ্চিত ভাবে এক সময়
আপনি সফল হতে পারবেন।