৫টি সেরা ছবি এডিট করার সফটওয়্যার

বর্তমান সময়ে ছবি এডিট করা সফটওয়্যার গুলো সবারই প্রয়োজন হয়ে থাকে। আমরা অনেকেই ছবি তুলতে পছন্দ করে থাকি। তবে ছবিকে আকর্ষণীয় করতে হলে ছবি এডিট করতে হয়।

আর এর জন্য প্রয়োজন হয় একটি ছবি এডিটিং সফটওয়্যার। ফটো এডিট করার সফটওয়্যার ব্যবহার করেই ফটো আকর্ষণীয় এবং সুন্দর করা যায়।

আপনাদের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে ছবি এডিট করা লাগতে পারে। এজন্য সকলের উচিত ফটো এডিটিং সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা। এই আর্টিকেলে ৫টি সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপ সম্পর্কে জানব।

আপনারা অনেকেই ফটো বিক্রি করে ইনকাম করে থাকেন, তাদেরও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফটো এডিট করার সফটওয়্যার গুলো প্রয়োজন হয়। এজন্য অনলাইন ইনকাম করার জন্য হলেও সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে জেনে রাখুন। চলুন এবার বিস্তারিত জানা যাক।

নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান, ক্লিক করুন

৫টি সেরা ছবি এডিট করার সফটওয়্যার

বর্তমান যুগে ছবি বা ইমেজ এডিটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দক্ষতা। আপনি হোন একজন ব্লগার, ইউটিউবার, গ্রাফিক ডিজাইনার, কিংবা সাধারণ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী।

অবশ্যই পড়ুনঃ

সুন্দরভাবে ছবি এডিট করার জন্য ভালো একটি সফটওয়্যার থাকা দরকার। এখন আমরা জানব ৫টি সেরা ছবি এডিট করার সফটওয়্যার সম্পর্কে, যেগুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই প্রফেশনাল লেভেলের ইমেজ তৈরি করতে পারবেন।

১. Adobe Photoshop apps

Adobe Photoshop হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছবি এডিট করার সফটওয়্যার। এটি ব্যবহার করে আপনি ছবি কাটছাঁট, কালার কারেকশন, ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ, রিটাচিংসহ প্রায় সব কিছু করতে পারেন। এছাড়াও Photoshop ব্যবহার করে আপনি যেকোনো সাধারণ ছবিকে প্রফেশনাল লুক দিতে পারেন খুব অল্প সময়ে।

Adobe Photoshop দিয়ে যা যা করতে পারবেনঃ 

১. লেয়ার সিস্টেম (Layer System)

লেয়ার ব্যবহার করে আলাদা আলাদা অংশে কাজ করা যায়। এতে ছবির প্রতিটি অংশ আলাদা করে এডিট করা সম্ভব হয়, যা জটিল ডিজাইন বানাতে সাহায্য করে।

২. রিটাচিং ও রিমুভাল টুলস

এর মধ্যে আছে Spot Healing Brush, Clone Stamp, এবং Content-Aware Fill যেগুলোর মাধ্যমে ছবি থেকে দাগ, অপ্রয়োজনীয় বস্তু বা ব্যাকগ্রাউন্ড সহজে সরানো যায়।

৩. কালার কারেকশন ও ফিল্টার

Photoshop-এ রয়েছে উন্নত কালার গ্রেডিং অপশন, Hue/Saturation, Brightness/Contrast, এবং Curves Adjustment যা ছবির রঙ ও আলোর ভারসাম্য নিখুঁত করে।

আরো পড়ুনঃ  ১০ টি ইনপুট ও ১০ টি আউটপুট ডিভাইসের নাম বাংলায় জানুন

৪. টেক্সট ও গ্রাফিক ডিজাইন টুলস

এখানে আপনি বিভিন্ন font, shape, এবং brush effect ব্যবহার করে ব্যানার, পোস্টার ও থাম্বনেইল তৈরি করতে পারেন।

৫. AI ফিচার (Generative Fill & Object Selection)

সর্বশেষ ভার্সনে যুক্ত হয়েছে Adobe Firefly AI, যার মাধ্যমে শুধু টেক্সট প্রম্পট দিয়েই ছবি এডিট বা নতুন ছবি তৈরি করা যায়।

Adobe Photoshop দিয়ে যেসব কাজ করা যায়ঃ 

  • ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করা
  • ফটো রিটাচিং ও স্কিন স্মুথিং
  • লোগো ও পোস্টার ডিজাইন
  • ইউটিউব থাম্বনেইল তৈরি
  • প্রোডাক্ট ফটো এডিটিং
  • ডিজিটাল পেইন্টিং ও আর্ট

২. Canva – ছবি এডিট করার সফটওয়্যার

বর্তমান ডিজিটাল যুগে সুন্দর ছবি ও আকর্ষণীয় ডিজাইনই পারে সোশ্যাল মিডিয়াতে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার বাড়াতে। আপনি যদি এমন ছবি তৈরি করতে চান যা সবাইকে মুগ্ধ করবে তাহলে Canva হতে পারে আপনার জন্য সেরা পছন্দ।

এটি একটি অসাধারণ ফটো ও ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার, যা ব্যবহার করা একদম সহজ। নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য যেমন উপযোগী, তেমনি ফ্রিল্যান্সার, ইউটিউবার এবং ডিজিটাল মার্কেটারদের জন্যও এটি অত্যন্ত কার্যকর একটি টুল।

Canva কী?

Canva হলো একটি অনলাইন ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ফটো, ভিডিও, ব্যানার, থাম্বনেইল, প্রেজেন্টেশন, এবং বিভিন্ন ডিজাইন তৈরি করতে পারেন।এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে আপনি কোনো ডিজাইন স্কিল ছাড়াই প্রফেশনাল মানের ছবি বানাতে পারেন।

Canva দিয়ে যা যা করা যায়

১. ছবি এডিটিংঃ ছবির সাইজ পরিবর্তন, ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ, ছবি ব্লার বা ক্রপ করা, ফিল্টার যোগ করা, এবং ছবিকে আরও সুন্দর করে তোলা।

২. প্রেজেন্টেশন ও ডকুমেন্ট তৈরিঃ অফিস বা প্রজেক্টের জন্য প্রেজেন্টেশন, ডকুমেন্ট, শীট এমনকি ওয়েবসাইট মকআপও তৈরি করা যায়।

৩. সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইনঃ 

  • ফেসবুক কভার ফটো
  • ইউটিউব থাম্বনেইল
  • ইন্সটাগ্রাম পোস্ট
  • গিগ কভার ও পোর্টফোলিও ডিজাইন

সব কিছু Canva-তেই করা সম্ভব।

৪. ভিডিও তৈরিঃ Canva দিয়ে রিলস, ইউটিউব শর্টস, প্রমোশনাল ভিডিও, এমনকি সম্পূর্ণ প্রজেক্ট ভিডিও পর্যন্ত তৈরি করা যায়।

৫. টেমপ্লেট ও কাস্টম ডিজাইনঃ এখানে হাজার হাজার ফ্রি ও প্রিমিয়াম টেমপ্লেট আছে যা দিয়ে আপনি ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন মিনিটের মধ্যেই।

Canva এর AI ফিচারঃ 

Canva-এর নতুন AI (Artificial Intelligence) ফিচারগুলো একে আরও শক্তিশালী করেছে।এখন আপনি শুধু টেক্সট কমান্ড দিয়েইঃ

  • ছবি তৈরি,
  • টেক্সট রাইটিং,
  • ভিডিও জেনারেশন,
  • ওয়েবসাইট ডিজাইন,

এমনকি কোড পর্যন্ত তৈরি করতে পারেন।এই ফিচারের মাধ্যমে আপনার ডিজাইন কাজ হবে দ্রুত, সহজ এবং সৃজনশীল। আর Canva অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি বার ডাউনলোড হয়েছে।

এর রেটিং ৫ এর মধ্যে ৪.৪, যা যা থেকে বোঝা যায় এই অ্যাপটি কতটা জনপ্রিয়। আপনি মোবাইল, ট্যাবলেট অথবা কম্পিউটার যেকোনো ডিভাইস থেকেই এটি ব্যবহার করতে পারবেন।

Canva এর ফ্রি ও প্রো ভার্সন

ক্যানভা অ্যাপটির ফ্রি এবং প্রিমিয়াম ভার্সন রয়েছে। ফ্রি ভার্সনে আপনি কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক টেমপ্লেট ও ইমেজ ব্যবহার করতে পারবেন।

তবে প্রিমিয়াম ভার্সন নিলে আনলিমিটেড টেমপ্লেট ব্যবহার করতে পারবেন। তাছাড়া প্রিমিয়াম ফন্ট পর্যন্ত ব্যবহার করার সুবিধা রয়েছে। মূল কথা হলো প্রিমিয়াম ভার্সনে সকল ধরনের টেমপ্লেট ব্যবহার করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ  বাড়ির আশেপাশে থাকা wifi password সহজেই বের করুন

যারা প্রফেশনাল ভাবে ফটো এডিটিং করেন বা গ্রাফিক্স ডিজাইন করেন, তারা চাইলে ক্যানভা এর প্রিমিয়াম ভার্সন নিতে পারেন। এতে অনেক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়।

৩. Picsart

আপনি যদি চান আপনার তোলা ছবিগুলোকে আরও আকর্ষণীয় ও প্রফেশনাল লুক দিতে, তাহলে Picsart হতে পারে আপনার জন্য সেরা একটি ছবি এডিট করার সফটওয়্যার।

এটি একটি শক্তিশালী ফটো ও ভিডিও এডিটিং অ্যাপ, যা দিয়ে আপনি মুহূর্তেই সাধারণ ছবিকে চমৎকার ডিজাইনে রূপান্তর করতে পারেন।

বর্তমানে Picsart এতটাই জনপ্রিয় যে, এটি Google Play Store-এ এক বিলিয়নেরও বেশি বার ডাউনলোড হয়েছে।

অ্যাপটির জনপ্রিয়তার মূল কারণ হলো এর সহজ ব্যবহারযোগ্য ইন্টারফেস এবং অগণিত ফিচার, যা নতুন ও অভিজ্ঞ উভয় ব্যবহারকারীর জন্যই আদর্শ।

Picsart দিয়ে যা যা করা যায়

১. ছবি মডিফাই ও বিউটিফুল করাঃ ছবির কালার, উজ্জ্বলতা, কনট্রাস্ট, এবং ফিল্টার পরিবর্তন করে ছবিকে নতুন করে সাজাতে পারবেন।

২. বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য ডিজাইন তৈরিঃ বিয়ে, জন্মদিন, ইভেন্ট বা উৎসব যেকোনো উপলক্ষে কাস্টম ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন।

৩. কোলাজ তৈরিঃ একাধিক ছবি একত্র করে সুন্দর কোলাজ ফটো বানাতে পারবেন মাত্র কয়েক সেকেন্ডে।

৪. সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য ছবি তৈরিঃ ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব বা টিকটকের জন্য আকর্ষণীয় পোস্ট, থাম্বনেইল ও ব্যানার তৈরি করতে পারবেন।

৫. ফ্রিল্যান্সিং ও অনলাইন ইনকামের কাজঃ 

  • গিগ কভার ডিজাইন
  • ইউটিউব থাম্বনেইল
  • ফেসবুক পেজ লোগো ও কভার
  • বিজ্ঞাপন ব্যানার সবই এক অ্যাপে তৈরি সম্ভব।

৬. ভিডিও এডিটিং সুবিধাঃ Picsart দিয়ে রিলস, শর্ট ভিডিও ও প্রমোশনাল ভিডিও খুব সহজে তৈরি করা যায়।অ্যাপে শতাধিক টেমপ্লেট ও প্রি-মেড ইফেক্ট রয়েছে যা ভিডিওকে প্রফেশনাল লুক দেয়।

Picsart এর AI ফিচারঃ

বর্তমান যুগে Artificial Intelligence (AI) ফিচারগুলো ছবি ও ভিডিও এডিটিংকে আরও সহজ করে তুলেছে।Picsart-এর নতুন AI টুলস ব্যবহার করে আপনি মাত্র এক ক্লিকেই চমৎকার এডিটিং কাজ করতে পারবেন।

Picsart AI দিয়ে যা করা যায়ঃ

  • ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি বা পরিবর্তন করা
  • ছবির Enhance লেভেল বাড়িয়ে ক্লিয়ার ও উজ্জ্বল করা
  • নিজের বা অন্য কারো Avatar Image তৈরি করা
  • শুধুমাত্র বর্ণনা (text prompt) লিখে নতুন ছবি জেনারেট করা
  • প্রচারণা বা বিজ্ঞাপনের ডিজাইন এক ক্লিকে তৈরি করা
Picsart এর ফ্রি ও প্রিমিয়াম ভার্সন

Picsart-এর একটি ফ্রি ভার্সন রয়েছে, যেখানে বেশিরভাগ ফিচার ব্যবহার করা যায়।তবে প্রিমিয়াম ভার্সন (Picsart Gold)-এ অতিরিক্ত ফিল্টার, স্টিকার, ইফেক্ট ও AI টুলস পাওয়া যায়, যা প্রফেশনাল ব্যবহারকারীদের জন্য উপযুক্ত।

৪. Pixlr

আপনি যদি মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে সহজে ছবি এডিট করতে চান, কিন্তু কোনো সফটওয়্যার ইনস্টল করতে না চান ।তাহলে Pixlr আপনার জন্য আদর্শ একটি ছবি এডিট করার সফটওয়্যার।

এটি একটি ক্লাউড-ভিত্তিক অনলাইন ফটো এডিটর, যেখানে আপনি সরাসরি ব্রাউজার থেকেই ছবি এডিট করতে পারবেন। পাশাপাশি তাদের অফিশিয়াল অ্যাপস গুগল প্লে স্টোরে রয়েছে, এই অ্যাপস ব্যবহার করেও ফটো এডিটিং করা যাবে।

Pixlr সাধারণত নতুন ও অভিজ্ঞ উভয় ব্যবহারকারীর জন্যই উপযুক্ত। এটি হালকা, দ্রুত, এবং সহজবোধ্য ফলে অল্প সময়েই আপনি প্রফেশনাল মানের ছবি তৈরি করতে পারবেন।

Pixlr দিয়ে যা যা করা যায়ঃ
  • ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ, কালার ঠিক করা, ব্লার, ক্রপ, ও ফিল্টার প্রয়োগ সবই কয়েকটি ক্লিকে করা যায়।
  • Pixlr-এর বিল্ট-ইন AI ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ টুল খুব দ্রুত যেকোনো ছবির পেছনের অংশ মুছে দেয়।
  • বিভিন্ন ছবিকে একত্র করে সুন্দর কোলাজ ডিজাইন করা যায়।
  • ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব থাম্বনেইল, ব্যানার ও বিজ্ঞাপনের জন্য প্রস্তুত টেমপ্লেট ব্যবহার করে ডিজাইন তৈরি করা যায়।
  • Pixlr-এ আপনি ফ্রি ফন্ট, স্টিকার ও ইফেক্ট ব্যবহার করে সহজেই লোগো, ফ্লায়ার বা প্রমোশনাল ব্যানার বানাতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ  মেয়েদের জন্য কোন ইঞ্জিনিয়ারিং ভালো

৫.Fotor – ছবি এডিট করার সফটওয়্যার

Fotor হলো বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ছবি ও ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। এটি ব্যবহার করে আপনি সহজেই পেশাদার মানের ফটো ও ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।যা নতুন ব্যবহারকারীদের জন্যও খুবই সহজ।

এই সফটওয়্যারটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় কারণ এতে রয়েছে AI (Artificial Intelligence) সমৃদ্ধ ফিচার, যা ছবি এডিটিংকে করে তুলেছে আগের চেয়ে দ্রুত ও কার্যকর।

Fotor অ্যাপটি বর্তমানে Google Play Store-এ ১০ মিলিয়নেরও বেশি বার ডাউনলোড হয়েছে।এর জনপ্রিয়তার মূল কারণ হলোঃ ব্যবহার সহজ, দ্রুত পারফর্মেন্স, এবং অসংখ্য ফ্রি টেমপ্লেট।

Fotor দিয়ে যা যা করতে পারবেন
  • ছবি ক্রপ করা, রিসাইজ করা, উজ্জ্বলতা ও কনট্রাস্ট ঠিক করা, ফিল্টার যোগ করা, এবং ছবির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায়।
  • একাধিক ছবি একত্র করে সুন্দর কোলাজ বা স্লাইডিং অ্যানিমেটেড ইমেজ বানানো যায়।
  • Fotor ব্যবহার করে আপনি সহজেই তৈরি করতে পারেনঃ ইউটিউব থাম্বনেইল ,ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পোস্ট ,লোগো ও বিজনেস কার্ড ,পোস্টার ও ব্যানার ,ক্লাস রুটিন, সিভি, বা প্রেজেন্টেশন ডিজাইন ইত্যাদি।
Fotor এর AI ফিচারসমূহ
  • এক ক্লিকে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করা
  • ছবিতে বিভিন্ন ইফেক্ট ও ফিল্টার যোগ করা
  • AI Hair Style Generator দিয়ে হেয়ারস্টাইল পরিবর্তন
  • কারো মুখের জায়গায় নিজের ছবি বসানো (Face Swap)
  • শিশুর ভবিষ্যৎ চেহারা কেমন হবে তা তৈরি করা (AI Baby Generator)
  • ই-কমার্স প্রোডাক্ট ইমেজ তৈরি
  • কার্টুন বা আর্ট স্টাইল ফটো তৈরি

এভাবে আপনি ফুটার ব্যবহার করে ফটো এডিট করতে পারবেন। ফটো এডিট করার এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট করতে পারবেন।

তবে খেয়াল রাখবেন, যদি আপনি প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে প্রিমিয়াম ভার্সন ক্রয় করে ফটো এডিটিং করুন। এক্ষেত্রে অনেক সুযোগ-সুবিধা এবং প্রিমিয়াম রিসোর্স গুলো পাবেন।

শেষ কথা – ছবি এডিট করার সফটওয়্যার

তাহলে আমরা আজকে আর্টিকেলটিতে ছবি এডিট করার অ্যাপ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম। যারা প্রফেশনাল ভাবে ছবি এডিট করতে চান, তারা আজকের দেখানো অ্যাপ গুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

যদি প্রফেশনাল এডিটিং করেন, সেক্ষেত্রে অ্যাপগুলোর প্রিমিয়াম ভার্সন ইউস করুন। কারণ প্রিমিয়াম ভার্সনে খুব সহজেই ছবি এডিট করা যায় এবং বিভিন্ন ফিল্টার ও ফিউচার ব্যবহার করে দ্রুত এডিট করা যায়। তাই আজকে থেকেই ফটো এডিটিং সফটওয়্যার গুলো মোবাইল ডাউনলোড করে ব্যবহার করা শুরু করুন।

FAQs – ছবি এডিট করার সফটওয়্যার

ছবি এডিট করার জন্য সবচেয়ে ভালো সফটওয়্যার কোনটি?

বর্তমানে Adobe Photoshop, Canva, Picsart, Pixlr, এবং Fotor এই পাঁচটি সফটওয়্যার ছবি এডিট করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ও কার্যকর।

মোবাইলে ছবি এডিট করার জন্য কোন অ্যাপটি সবচেয়ে সহজ?

Canva এবং Picsart মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সবচেয়ে সহজ। এগুলোর ইন্টারফেস ইউজার-ফ্রেন্ডলি এবং নতুনরাও সহজেই কাজ করতে পারেন।

Canva দিয়ে কি ভিডিও এডিট করা যায়?

জি হ্যাঁ, Canva-তে আপনি শুধু ছবি নয়, ছোট ভিডিও, রিলস ও প্রেজেন্টেশন ভিডিওও খুব সহজে তৈরি করতে পারবেন।

Leave a Comment