আপনি কি শ্বাসকষ্ট সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে অবশ্যই শ্বাসকষ্ট দূর করার ওষুধ সেবন করতে পারেন। শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষধ খেতে হবে এবং শ্বাসকষ্টের হোমিও ঔষধের নাম সম্পর্কে আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনার যদি সাময়িক সময়ের জন্য শ্বাসকষ্ট সমস্যাটি হয়ে থাকে তাহলে কিছু মেডিসিন সেবন করতে পারেন। বিস্তারিত জানতে সকলেই ধৈর্য সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষধ খেতে হবে
শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকলে আপনারা কিছু ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে শ্বাসকষ্ট কমাতে পারেন এবং শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। আপনারা হয়তো জানেন একবার শ্বাসকষ্ট রোগ হয়ে থাকলে সেটি আর পুরোপুরি একবারে কমানো যায় না অর্থাৎ শ্বাসকষ্ট সমস্যা দীর্ঘস্থায়ীভাবে দূর করা যায় না।
অবশ্যই পড়ুনঃ কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট
অবশ্যই পড়ুনঃ জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয়
তাহলে বুঝতে পারছেন একবার শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকলে, আপনি যেকোনো সময়ই যে কোন কারনে শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগতে পারেন। এজন্য আপনাদের অবশ্যই সব সময়ই সতর্ক থাকতে হবে। শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকলে আপনারা বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন। তার মধ্যে থেকে আমরা কিছু ভালো ট্যাবলেট ও ঔষধের নাম তুলে ধরলাম।
- ফেনাডিন ১২০ ট্যাবলেট
- স্যালমোলিন (ইনহেলার)
- মোনাস টেন
- ডেক্সোভেন ২০০
- ডক্সিভা ২০০
উল্লেখিত লিস্টে আমরা কিছু শ্বাসকষ্টের ওষুধের নাম সম্পর্কে তুলে ধরেছি। এখানে প্রথম ওষুধটির নাম হল ফেনাডিন ১২০ ট্যাবলেট। এই ওষুধটি মূলত রেনেটা লিমিটেড কোম্পানি প্রস্তুত করেছে। উক্ত ওষুধ শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নেই খাওয়া হয়ে থাকে। তাছাড়াও যাদের ঠান্ডা কাশি ও সর্দি হয়ে থাকে তারা চাইলে এই ওষুধটি সেবন করতে পারেন।
ঠান্ডা জনিত কারণে যদি আপনার শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে তাহলে এই ওষুধটি ভালো কাজ করে থাকে।ফেনাডিন ১২০ ওষুধটি দিনে ১টি করে খেতে হয় অর্থাৎ প্রতিদিন একটি করে খাবেন।
আর মনে রাখবেন এই ওষুধটি রাতের খাবার খাওয়ার পর খেতে হয়। রাতে খাবার খাওয়ার পর ভরা পেটে এই ট্যাবলেট খাবেন। প্রতি পিস এই ট্যাবলেটটির নাম ১০ টাকা।
আর একটা কথা মনে রাখা উচিত উপরোক্ত যেকোন ট্যাবলেট গুলো খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তার অথবা চিকিৎসকের নিকট পরামর্শ করে নিতে হবে। কোন রকম প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ গুলো গ্রহণ করবেন না।
কারন আপনার শ্বাসকষ্টের ধরন অনুযায়ী ঔষধ ভিন্ন ধরনের হতে পারে। তাহলে দেখতেই পারলেন উপরের লিস্টে দেওয়া ওষুধগুলোর মধ্যে কোনটি আপনার শ্বাস কষ্টের সমস্যায় ভালো হবে সেটি একমাত্র ডাক্তার বলতে পারবে।
শ্বাসকষ্টের হোমিও ঔষধের নাম
হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট নিরাময় করার জন্য বিভিন্ন ধরনের হোমিও ওষুধ রয়েছে যেগুলো খেলে আপনারা শ্বাসকষ্ট সাময়িকভাবে কমাতে পারবেন। আপনার কিন্তু আগে জেনেছেন শ্বাসকষ্ট দীর্ঘস্থায়ীভাবে কমানো যায় না। এটি শুধুমাত্র সাময়িকভাবে কমানো যায় এবং নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শ্বাসকষ্টের হোমিও ঔষধ গুলোর নাম জেনে নেওয়া যাক।
- অ্যাসপিডোস্পার্মা
- ব্রায়োনিয়া
- অ্যাকোনাইট
- আইপেকাক
- অ্যান্টিমোনিয়াম আর্স
- আর্সেনিকাম অ্যালব
- সেনেগা
- নেট্রাম সালফিউরিকাম
শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানিজনিত সমস্যায় উপরোক্ত নামের হোমিও ওষুধ গুলো দেওয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের হোমিও চিকিৎসায় হোমিও ওষুধ রয়েছে যেগুলো খেলে হাঁপানি দূর হয়ে যায়। আরো বিস্তারিত হোমিও ওষুধের নাম গুলো জানতে আপনারা নিকটবর্তী কোন হোমিও ওষুধের দোকানে গিয়ে খোঁজ নিতে পারেন।
সেখানে আপনারা শ্বাসকষ্ট সমস্যায় বিভিন্ন ধরনের হোমিও ওষুধ গুলোর নাম সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমরা শুধুমাত্র এখানে কিছু শ্বাসকষ্টের হোমিও ঔষধ গুলোর নাম তুলে ধরেছি। উপরের দেওয়া হোমিও ওষুধ গুলো আপনারা হোমিও চিকিৎসকের নিকট দেখিয়ে খাবেন।
শ্বাসকষ্ট হলে কি খেলে ভালো হবে
আপনার যদি শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে তাহলে আপনি তৎক্ষণাৎ কিছু খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শ্বাসকষ্ট কমাতে পারবেন। যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাদের শ্বাসকষ্ট যেকোনো সময় শুরু হয়ে যেতে পারে। নিম্নে কি খেলে শ্বাসকষ্ট ভালো হবে তার লিস্ট দেওয়া হলঃ
- কোন সময় যদি হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাহলে আপনারা গরম পানি খেতে পারেন। কুসুম গরম পানি খেলে শ্বাসকষ্ট কিছুটা কমানো যায়। এজন্য হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে হালকা গরম পানি খাবেন।
- শ্বাসকষ্ট কমানোর জন্য ঘরোয়া উপায় হিসেবে আপনারা কুসুম গরম পানির সাথে দুই থেকে তিন চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন এতে করে শ্বাসকষ্ট কিছুটা কমে শান্তি পাওয়া যায়।
- এছাড়াও শ্বাসকষ্ট সাময়িকভাবে কমানোর জন্য ঘরোয়া উপায়ে লেবু চা খেতে পারেন। চায়ের সাথে লেবুর রস, রসুন, দুই পিস লং মিশিয়ে চা তৈরি করুন এবং সেই চা খেলে শ্বাসকষ্ট থেকে কিছুটা উপশম পাওয়া যায়। চায়ের সাথে উপরোক্ত উপাদান গুলো মিশিয়ে শ্বাসকষ্ট কিছুতা কমাতে পারেন।
- যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তারা সকলের নাস্তার সাথে ওট্সের সঙ্গে স্ট্রবেরি মিশিয়ে খেতে পারেন। উপরোক্ত উপাদানগুলোতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফুসফুসের সংক্রমণ দূর করে। আর ফুসফুসের সংক্রমণ দূর হলে শ্বাসকষ্ট কমে যায়।
- তাছাড়াও আপনারা পালং শাক খেতে পারেন। পালংশাকে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে যেটি খেলে ফুসফুস ভালো থাকে, আর আপনারা জানেন ফুসফুস ভালো থাকলে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা থাকে না। এজন্য পালং শাক রান্না করে অথবা পালং শাকের স্মুদি করে খেতে পারেন।
- আপনারা হয়তো জানেন শাকসবজি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য শাকসবজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও শাকসবজি দিয়ে স্যুপ খেলে শ্বাসকষ্টের উপশম হয়। আপনারা বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে স্যুপ বানিয়ে সেটি রাতে অথবা সকালে খেতে পারেন।
- এছাড়াও আপনারা চাইলে দুগ্ধ জাতীয় কোন ধরনের খাবার খেতে পারেন। দুধ দিয়ে তৈরি খাবারগুলোতে রয়েছে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দূর হয়ে যায় এবং ফুসফুস ভালো থাকে।
- অ্যাজমা জনিত সমস্যা থাকলে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খাবেন। বিভিন্ন ধরনের খাবারে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ, ডিম, দুধ ইত্যাদি খাবারে ভিটামিন ডি থাকে। তবে যাদের এলার্জি রয়েছে তারা উক্ত খাবারগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- আপনারা সকলে জানেন ফুসফুসের সমস্যা হলে শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। আর এই ফুসফুস ভালো রাখতে আপেল খেতে পারেন। আপেল দিয়ে শুধু সুস্বাদু তা কিন্তু নয়, এতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদান বিদ্যমান রয়েছে যেটি ফুসফুস ঠিক রাখতে সহায়তা করতে পারে। তাই আপনারা দিনের যেকোনো সময়ে আপেল খাবেন।
কলা খেলেও লাং সমস্যা ও ফুসফুসে সমস্যা কমানো যায়। ফুসফুসের কাজ ঠিক রাখতে কলা সহায়তা করতে পারে। কারণ কলাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফুসফুসের কাজ ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
শ্বাসকষ্টের ট্যাবলেট ঔষধের নাম কি?
আপনাদের যদি শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে তাহলে কিছু ট্যাবলেট খাওয়ার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এবং শ্বাসকষ্ট কমাতে পারবেন।
শ্বাসকষ্টের ধরুন অনুযায়ী ওষুধ গুলো খেতে হয়। এজন্য আপনার শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকলে চিকিৎসকের নিকট দেখিয়ে ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন। নিম্নে শ্বাসকষ্টের ট্যাবলেট এর নাম বলা হলোঃ
- ব্রডিল ৪
- ফেনাডিন ১২০
- ডেক্সোভেন ২০০
- ডক্সিভা ২০০ ট্যাবলেট
- ভিটারেস্প এম ১০ এমজি
- বেক্সিট্রল (ইনহেলার)
উপরোক্ত ট্যাবলেটগুলো আপনারা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় গ্রহণ করতে পারেন। তবে বলে রাখা ভালো ট্যাবলেট গুলো আপনারা চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ করে খাবেন। অযথা কোনো ওষুধ কিনে খাবেন না, এতে আপনার বিপদ হতে পারে।
কারণ আপনারা হয়তো জানেন শ্বাসকষ্ট নিরাময় করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রয়েছে, আর সেই ওষুধগুলো শ্বাসকষ্ট এর লক্ষণ ও ধরুন অনুযায়ী দেওয়া হয়ে থাকে।
শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া যাবে না
বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে আপনার শ্বাসকষ্ট আরো বেড়ে যেতে পারে, এসব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আপনারা যদি না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই অংশের মাধ্যমে শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া যাবেনা সে সম্পর্কে জেনে নিন।
যেসব ব্যক্তিদের এজমা বা হাঁপানি সমস্যা রয়েছে সেসব ব্যক্তিরা শুষ্ক ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ এ ধরনের ফল হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়াও জানা গেছে শুষ্ক ফলে সালফাইট জাতীয় পদার্থ বেশি থাকে। যেটি শ্বাসকষ্ট সমস্যা বাড়ায়।
- শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকলে অ্যালকোহল ও মাদকদ্রব্য সেবন করা যাবেনা। আপনারা জানেন মাদকদ্রব্য ফুসফুসের সমস্যা বাড়ায় এবং ফুসফুসে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। আর মূল কথা মাদকদ্রব্যের কারণে ফুসফুসে সমস্যা হয় এবং হাঁপানি রোগ হয়ে থাকে। এজন্য মাদকদ্রব্য ও অ্যালকোহল খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলুন বা বিরত থাকুন।
- তাছাড়াও যেসব খাবারে পেটে গ্যাস উৎপন্ন হয় এবং গ্যাসের সমস্যা হয় সেসব খাবার পরিত্যাগ করতে হবে। সচরাচর সেসব খাবার বেশি খাওয়া যাবে না। যেমনঃ তেলের আচার, রসুন , তেলে ভাজা খাবার ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- আবার কফি ও চা খেলেও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। আপনারা হয়তো আগে জানতেন না, তবে জেনে নেওয়া ভালো কফি ও চা খেলে অনেক সময় শ্বাসকষ্ট সমস্যা বেড়ে যায়।তাই যাদের হাঁপানি সমস্যা রয়েছে তারা কপি ও চা খাবেন না।
- ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডযুক্ত মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন অর্থাৎ যেসব মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে সেসব মাছ খেলে অ্যাজমার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
কোন ধরনের সাপ্লিমেন্ট অথবা স্টেরোয়েড জাতীয় ওষুধ গুলো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন খাবেন না।
হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়
যাদের হাঁপানি সমস্যা রয়েছে বা শ্বাসকষ্ট রোগ রয়েছে তাদের অনেক সময় হঠাৎ করেই শ্বাসকষ্ট দেখা যায়। হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট হলে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে কিছুটা শ্বাসকষ্ট কমিয়ে এনে শান্তি পাওয়া যায়। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে কিছু করনীয় গুলো মেনে চলতে পারেন। সেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
- হঠাৎ করে যদি কারো শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাহলে ভয়ে আতঙ্কিত হবেন না, সোজা হয়ে বসে জোরে জোরে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
- আবার যদি হঠাৎ করে যে কোন সময় শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের দেওয়া ইনহেলার ব্যবহার করবেন। তৎক্ষণাৎ ইনহেলার ওষুধ ব্যবহার করলে শ্বাস নিতে সহায়তা পাওয়া যায়। ইনহেলার গ্যাস নিলে শ্বাসকষ্ট কমে যায়।
- তাছাড়াও হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে বালিশ নিয়ে মাথা উঁচুতে রাখবেন এবং কাত হয়ে শুয়ে পড়বেন।
চিকিৎসকের দেওয়া ইনহেলার থাকলে সেটির সাহায্যে পাঁচটি চাপ নিবেন। তাহলে সেই ইনহেলার স্প্রে ওষুধ শ্বাসকষ্ট অনেকটা কমিয়ে দেবে।
এভাবে আপনারা হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে কিছু উপায় মেনে চলতে পারেন। তাহলে কিছুটা শ্বাসকষ্ট কমানো যায়।
শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায়
শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে সবচেয়ে ভালো নিয়ম ও উপায় হল চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা নিয়ে ওষুধগুলো গ্রহণ করা। কারণ ঘরোয়া উপায়ে শ্বাসকষ্ট সহজে দূর করা যায় না।
চিকিৎসকরা আপনার শ্বাসকষ্টের ধরন দেখে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও ইনহেলার দিবে সেগুলো ব্যবহার করে আপনারা শ্বাসকষ্ট নিয়ন্ত্রণ ও শ্বাসকষ্ট সমস্যা কমাতে পারবেন।
তাছাড়া আমরা পুরো পোস্টে শ্বাসকষ্ট হলে কি ওষুধ খেতে হয় সে সম্পর্কেও আলোচনা করেছি।যেগুলো পড়লে আপনারা শ্বাসকষ্টের ট্যাবলেট এর নাম ও ওষুধের নাম সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আপনারা তাহলে শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে ওষুধের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করবেন যেগুলো আমরা পোস্টে আলোচনা করেছি।
লেখকের শেষ মন্তব্য
শ্বাসকষ্ট একটি সাধারণ সমস্যা হলেও, সময়মতো সঠিক ওষুধ না খেলে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। বিভিন্ন কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে যেমন হাঁপানি, অ্যালার্জি, ফুসফুসের সংক্রমণ বা পরিবেশগত দূষণ। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করাই সর্বোত্তম।
মনে রাখবেন, ইনহেলার, ট্যাবলেট বা সিরাপ যেটাই ব্যবহার করুন না কেন, প্রতিটি ওষুধের কার্যকারিতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভিন্ন হতে পারে। এজন্য নিজের মতো করে ওষুধ সেবনের বদলে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষধ খেতে হবে | FAQs
শ্বাসকষ্টের সবচেয়ে ভালো ঔষধ হলো সালবুটামল ও সালমিটারোল।
শুষ্ক ফল ও গ্যাস জাতীয় খাবার খেলে শ্বাসকষ্ট সমস্যা বেড়ে যায়।
খাওয়ার পরে শ্বাসকষ্ট হওয়ার কারণ হলো হাঁপানি ও সিওপিডি সমস্যা। তাছাড়াও এলার্জিজনিত কারণে খাবার খাওয়ার পর শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট হলে, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া, বুকে টান টান অনুভব করা, হৃদ স্পন্দন হার বেড়ে যাওয়া , শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে।
শ্বাস নিতে কষ্ট হলে আতঙ্কিত না হয়ে, সোজা হয়ে বসবেন এবং হালকা গরম পানির সাথে দুই চামচ লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন এতে করে অনেকটা শান্তি পাওয়া যায়।শ্বাসকষ্টের সবচেয়ে ভালো ঔষধ কোনটি?
কি কি খাবার খেলে শ্বাসকষ্ট হয়?
খাওয়ার পর শ্বাসকষ্ট হওয়ার কারণ?
শ্বাসকষ্ট হলে কি কি সমস্যা হয়?
শ্বাস নিতে কষ্ট হলে কি করতে হবে?

আমি নোমান, একজন অনলাইন ইনকাম এক্সপার্ট ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর। ২০২১ সাল থেকে অনলাইন আয়ের বিভিন্ন মাধ্যম নিয়ে গবেষণা করছি এবং সেই অভিজ্ঞতার আলোকে এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত তথ্যবহুল অনলাইন ইনকামের বিষয় নিয়ে আর্টিকেল প্রকাশ করি