মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসার ১২টি সেরা আইডিয়া

বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে ঘরে বসে আয় করা শুধু পুরুষদের ক্ষেত্রেই নয়, বরং নারীদের জন্যও এক বিশাল সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।

বিশেষ করে যারা পরিবার ও ঘরের দায়িত্ব একসঙ্গে সামলাচ্ছেন, তাদের জন্য ঘরে বসেই ব্যবসা শুরু করা একটি কার্যকরী ও বাস্তবসম্মত সমাধান।

আজকাল ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেসের প্রসার মহিলাদের জন্য উদ্যোক্তা হওয়ার পথ সহজ করে দিয়েছে।

এই ধরনের ব্যবসা শুধুমাত্র অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনের সুযোগই দেয় না, বরং আত্মবিশ্বাস ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখে। ঘরে বসে অনলাইন বুটিক, হ্যান্ডমেড প্রোডাক্ট বিক্রি, কুকিং সার্ভিস, ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট ক্রিয়েশন কিংবা ফ্রিল্যান্সিং সব কিছুই এখন নারীদের হাতের মুঠোয়।

আপনারা যারা মহিলারা রয়েছেন তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আর্টিকেলটিতে আমরা মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা করার সেরা আইডিয়াগুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনার পছন্দমত ব্যবসার আইডিয়াগুলো সিলেক্ট করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

কেন ঘরে বসে ব্যবসা নারীদের জন্য উপযুক্ত?

  • পরিবারের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি আয় করা যায়
  • নিজস্ব দক্ষতা ও প্যাশন কাজে লাগানো সম্ভব
  • স্বাধীনভাবে সময় ব্যবস্থাপনা করা যায়
  • কম পুঁজি নিয়ে শুরু করা যায়

মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা

আমি নিম্নে মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা করার সেরা ১২টি আইডিয়া তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। আপনি আইডিয়াগুলো জেনে সহজেই ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।

  • বিউটি পার্লার ও ব্রাইডাল মেকাপ
  • বাগান এবং নার্সারি
  • ফ্যাশন ডিজাইন
  • ফটোগ্রাফি
  • ব্লগিং
  • ফিটনেস প্রশিক্ষণ
  • কুকিং
  • কাপড়ের ব্যবসা
  • নাচ অথবা গানের স্কুল
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
  • ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম গুলিতে পণ্য বিক্রয়
  • অনলাইন কোচিং
  • ছাত্র-ছাত্রীদের টিউশনি করানো
  • ফেসবুক পেজে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রি
  • ফ্রিল্যান্সিং
  • আর্টিকেল রাইটিং

উল্লেখিত ব্যবসার আইডিয়াগুলো সম্পর্কে নিম্নে কিছুটা বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হল।

বাগান এবং নার্সারি

আপনি যদি একজন মহিলা হয়ে থাকেন, আর আপনি যদি ঘরে বসে ব্যবসা করতে চান তাহলে বাগান অথবা নার্সারি অন্যতম। এর কারণ হচ্ছে উক্ত ব্যবসাতে খুবই অল্প পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়।

বর্তমানে প্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষ ফুলের বাগান করতে পছন্দ করে এবং গাছ লাগাতে ভালোবাসে। আপনি তাদেরকে টার্গেট করে নার্সারি গড়ে তুলুন। আকর্ষণীয় গাছ ও চারা সংগ্রহ করুন। এতে করে সহজেই নার্সারি ব্যবসা করে সফল হতে পারবেন।

অবশ্যই পড়ুনঃ স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব

অবশ্যই পড়ুনঃ শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট

আপনি সেই মানুষদেরকে টার্গেট করে আপনার বাড়ির আঙিনায় অথবা আপনার বাড়ির ছাদে তৈরি করতে পারেন নার্সারি। আপনি আপনার নার্সারিতে নিচের দেখানো জিনিসগুলি বিক্রি করতে পারেন। যেমনঃ

  • বিভিন্ন ধরনের চারা গাছ
  • ফুলের গাছ
  • ফুলের টব
  • বীজ
  • বিভিন্ন ধরনের সার

আপনি উপরে দেখানো জিনিস গুলি দিয়ে আপনি অনায়াসে নার্সারি অথবা বাগান শুরু করতে পারবেন। আপনি উক্ত ব্যবসা শুরু করতে পারবেন তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে। এক কথায় কম বিনিয়োগে আপনি ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।

এছাড়াও আপনার ব্যবসার পরিচিতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে আপনি একটি ফেসবুক পেজ খুলতে পারেন এবং উক্ত ফেসবুক পেজে নিয়মিত আপনার নার্সারীর বিভিন্ন গাছ অথবা ফুলের ছবি দিতে পারেন। মানুষ এই গুলো দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আপনার থেকে গাছ এবং বীজ ক্রয় করবে।

আরো পড়ুনঃ  গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া -১০টি লাভজনক গ্রামের ব্যবসা

এতে করে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনি খুব দ্রুত মানুষের মাঝে পরিচিতি লাভ করতে পারবেন। আপনি আশা করি জানেন যে আপনার পরিচিতি যত বেশি হবে আপনার কাস্টমার তত বেশি হবে এবং তার সাথে সাথে আপনার উপার্জন বৃদ্ধি পেতে থাকবে। উক্ত ব্যবসায় আপনি ধৈর্য ধরে থাকলে একসময় অনেক বড় পর্যায়ে যেতে পারবেন।

ফটোগ্রাফি

আপনি যদি ফটোগ্রাফি করতে ভালোবেসে থাকেন তাহলে আপনার এই ভালোলাগা থেকে ফটোগ্রাফিকে একটি ব্যবসায় পরিণত করতে পারেন। আপনি প্রথমের দিকে আপনার ব্যবহার কৃত স্মার্টফোন দিয়ে ফটোগ্রাফি শুরু করতে পারেন।

পরবর্তীতে যদি আপনার উন্নতি বৃদ্ধি হয় তাহলে একটি ভালো মানের ক্যামেরা কিনতে পারেন। আপনি হয়তো জেনে থাকবেন যে, বর্তমান সময়ে বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠান বলেন অথবা বিভিন্ন ছোটখাট অনুষ্ঠান বলেন।

মানুষ বিভিন্ন ফটোগ্রাফারকে নিয়ে আসে তাদের কাটানো মুহূর্তগুলো স্মরণীয় করে রাখার জন্য। আর তাই ফটোগ্রাফি বর্তমানে একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। আর আপনি এটি কাজে লাগাতে পারেন অনায়াসে।

আপনি প্রথমত আপনার একটি ফেসবুক পেজে নিজের প্রোফাইল তৈরি করুন। এর পরবর্তীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আপনার পছন্দমত ছবি তুলতে পারেন। আর আপনার সেই ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যতগুলো প্ল্যাটফর্ম রয়েছে সবগুলোতে শেয়ার করতে থাকুন।

এতে করে মানুষের কাছে আপনার পরিচিতি বাড়বে এবং মানুষ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আপনাকে ছবি তোলার জন্য অফার করবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার তোলা ফটোগুলো বিভিন্ন ম্যাগাজিন অথবা পত্রিকায় জমা দিতে পারেন।

সর্বশেষ আপনি চাইলে অনলাইনে আপনার তোলা ফটো বিক্রি করতে পারেন। তার কারণ অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ফটো ক্রয় করে থাকে।

আশা করি আপনি যদি ধৈর্য সহকারে কাজ করতে থাকেন তাহলে আস্তে আস্তে আপনি মানুষের কাছে পরিচিত হতে থাকবেন এবং আপনার ব্যবসা বড় হতে থাকবে। একটা সময় আপনি একটি বড় লাভজনক ব্যবসা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। তাই দেরি না করে শুরু করে দিন।

ফ্যাশন ডিজাইন

আপনি যদি ঘরে বসে একটি ভালো ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনি ফ্যাশন ডিজাইন শুরু করতে পারেন। নিত্য প্রয়োজনে মানুষ বিশেষ করে মহিলারা বিভিন্ন ডিজাইনের জামা কাপড় ও বিভিন্ন ডিজাইনের গহনা পড়ে থাকেন।

আর মেয়েদের কাজই হলো নতুন নতুন ডিজাইনের জামা কাপড় পড়া। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ঘরে বসে একটি লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে ফ্যাশন ডিজাইন শুরু করতে পারেন।

মূলত উঠতে ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে কাপড়ের কাজ জানতে হবে। মূলত এই ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য আপনার খুবই বেশি পরিমাণে অর্থের প্রয়োজন হবে না। সে ক্ষেত্রে আপনি অনায়াসে ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারবেন।

আপনি প্রথমত আপনার এই ডিজাইনের কাজটি শুরু করতে পারেন আপনার এলাকার মানুষদের কাছে। অর্থাৎ,আপনার এলাকার মানুষদের কাছে তাদের প্রয়োজনে বিভিন্ন ডিজাইনের জামা কাপড় বানিয়ে দিতে শুরু করুন।

এর পরবর্তীতে আপনি চেষ্টা করুন আপনার নিজস্ব নতুন নতুন ডিজাইন বের করার। আর ধীরে ধীরে আপনার ডিজাইনগুলোকে নিয়ে আপনার একটি নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করুন। তার কারণ ফ্যাশন ডিজাইনের নিজের একটি ব্র্যান্ডের নাম থাকা খুবই জরুরী।

আপনার ব্যবসার বিস্তার লাভ করার জন্য আপনি একটি ফেসবুক পেজ খুলতে পারেন। আর আপনার ফেসবুক পেজে নিয়মিত বিভিন্ন নতুন নতুন ডিজাইন পোস্ট করতে থাকুন।

আর আপনি যদি নতুন নতুন ডিজাইন উদ্ভাবন করেন যেগুলো মানুষ পছন্দ করবে তাহলে আশা করি আপনি অনেক কাস্টমার পেয়ে যাবেন ফেসবুক পেজ থেকে।

আর এই ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনি খুব দ্রুত অনেক মানুষের মধ্যে পরিচিত লাভ করতে পারবেন অনায়াসে। আর আপনার যত পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে দ্রুত লাভবান হতে পারবেন।

ব্লগিং

বর্তমানে একটি জনপ্রিয় ব্যবসা হচ্ছে ব্লগিং। আর উক্ত ব্যবসাটি আপনি ঘরে বসে অনায়াসে আপনার অবসর সময়ে সম্পন্ন করতে পারবেন। আগে এমন একটা সময় ছিল মানুষ যে কোন বিষয়ে জানতে বিভিন্ন মানুষের পরামর্শ নিতে অথবা বিভিন্ন বইয়ের পরামর্শ নিতো।

আরো পড়ুনঃ  পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া ও পাইকারি ব্যবসার নাম গুলো জানুন

কিন্তু বর্তমান সময়ে মানুষের যে কোন বিষয়ে জানার হলে মানুষ সর্বপ্রথম উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে গুগল এ সার্চ করে। আর গুগল তাদের সঠিক তথ্য প্রদান করে।

সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ব্লগিং করতে চান এবং ব্লগ থেকে অর্থ উপার্জন করতে চান তাহলে শুরুতে থাকতে হবে আপনার একটি ওয়েবসাইট। আপনি কোন একটি বিষয়ে পারদর্শী হয়ে থাকলে সেই বিষয়ে বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট লিখতে পারেন। আবার আপনি নিচে দেখানো বিষয়গুলো নিয়েও বিভিন্ন ব্লগ পোষ্ট তৈরি করতে পারেন। যেমনঃ

  • শিক্ষা
  • চিকিৎসা
  • বিভিন্ন ধরনের টিপস
  • বিভিন্ন মোটিভেশনাল স্পিচ
  • শরীরচর্চা
  • টেকনোলজি
  • সরকারি সেবা
  • ফুড ব্লগিং
  • ট্রাভেল ব্লগিং
  • ফটোগ্রাফি ব্লগিং
  • বিউটি ব্লগিং

আপনি ওপরের দেখানো বিষয়গুলো নিয়ে ব্লগ পোস্ট তৈরি করতে পারেন। আপনাকে সব বিষয়ে জানতে হবে এমন না। আপনি যদি কোন বিষয়ে না জেনে থাকেন তাহলে ইন্টারনেটের সাহায্যে গুগল অথবা ইউটিউব থেকে তথ্য নিয়ে নিজের ভাষাতে লিখবেন।

আর আপনি গুগলের নীতিমালা মেনে বিভিন্ন ধরনের ব্লগ পোস্ট আপনার ওয়েবসাইটে আপলোড করলে। ধীরে ধীরে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক এবং ভিজিটর বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

আর আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক এবং ভিজিটর বৃদ্ধি পেলে আপনি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ব্লগিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি আপনার ওয়েবসাইটের পরিচিতি বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট শেয়ার করতে পারেন।

এতে করে মানুষের কাছে আপনার পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে আর আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক এবং ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে।

তবে আপনি যদি ব্লগ বিষয়ে তেমন কিছু না জেনে থাকেন তাহলে ইন্টারনেটের সাহায্যে ইউটিউব থেকে গুগল থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।

আর এটি আপনি আপনার অবসর সময় করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার পড়াশোনা অথবা বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি ব্লগ পোস্ট লিখতে পারবেন। তাই দেরি না করে শুরু করে দিন ব্লগিং।

হোমবেইজড বিজনেস – কাপড়ের ব্যবসা

বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে কাপড়ের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।তার কারণ হচ্ছে সকল মানুষেরই কাপড়ের প্রয়োজন হয়।

আর এই কারণে আপনি ঘরে বসে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। উক্ত ব্যবসায় খুব বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে হয় না যার কারণে আপনি অনায়াসে ব্যবসাটি করতে পারবেন।

আপনি চাইলে আপনার বাড়ি থেকে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। আপনি যেহেতু মহিলা সেহেতু সাড়ি ও চুড়িদার সহ বিভিন্ন জিনিসের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

আর উক্ত ব্যবসায় লাভের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি করলে আপনি খুব দ্রুত লাভবান হতে পারবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে বিভিন্ন ডিজাইনের শাড়ি অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। তার কারণ হচ্ছে, বর্তমানে মানুষ অনলাইনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন।

যে কোন কিছু তথ্য ছাড়াও কোন জিনিস কিনতে মানুষ এখন অনলাইনে খোঁজ করে। তাই আপনি একটা ফেসবুক পেজ খুলে প্রতিদিন বিভিন্ন কাপড়ের ছবি ও অন্যান্য ছবি পোস্ট করতে পারেন।

এতে করে আপনি খুব দ্রুত মানুষের মধ্যে পরিচিতি লাভ করতে পারবেন। যার কারণে আপনার ব্যবসায় বিক্রির পরিমাণ বেশি হবে। আর যত বেশি বিক্রি হবে আপনি তত টাকা লাভ করতে পারবেন।

ভার্চুয়াল একাউন্টেন্ট

আপনি যদি হিসাব নিকাশ করতে পছন্দ করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো ব্যবসা হচ্ছে ভার্চুয়াল একাউন্টেন্ট।

এটি আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন। মূলত কাজটি হচ্ছে, নির্দিষ্ট কোম্পানির যাবতীয় হিসাব-নিকাশ করা। মূলত নির্দিষ্ট কোম্পানির হিসাব নিকাশ করে দিয়ে আপনি ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে আপনার ব্যবসাকে বৃদ্ধি করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ  ৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা করার লাভজনক ২০টি আইডিয়া

মূলত উক্ত ব্যবসায় খুব বেশি পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগ করার প্রয়োজন হয় না। তাই উক্ত ব্যবসা শুরু করতে আপনি নির্দিষ্ট কয়েকজন গ্রাহক খুঁজে বের করুন এবং নিয়মিত তাদের হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে দিয়ে অর্থ উপার্জন করুন।

অনলাইন কোচিং

আপনি যদি একজন ভালো স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন আর আপনি বাড়িতে বসে কিছু একটা করতে চান তাহলে অনলাইন কোচিং আপনার জন্য অন্যতম একটি উপায়। তার কারণ বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে অনলাইনে ক্লাস করানো হয়।

যে ক্লাসগুলো দেখে অনেক শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যার সমাধান পেয়ে থাকে। আপনি সেই শিক্ষার্থীগুলোদের টার্গেট করে শুরু করতে পারেন অনলাইন কোচিং। এক্ষেত্রে আপনি একটা ফেসবুক পেজ এবং একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন।

তারপরে বিভিন্ন প্রশ্নের সমাধান করে দিবেন ভিডিওগুলোতে। আর সেই ভিডিওগুলো ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজে আপলোড করবেন। ধীরে ধীরে আপনি মানুষের কাছে পরিচিত হতে থাকবেন। আপনি যত মানুষের কাছে পরিচিত হতে থাকবেন আপনার তত উপার্জন বৃদ্ধি পাবে।

আপনি যখন মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে যাবেন এবং মানুষ যখন আপনার সম্পর্কে আপনার চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজের সম্পর্কে জানবে তখন আপনি লাইভে ক্লাসও করাতে পারবেন।

উক্ত ব্যবসায়ী কোন পরিমানে অর্থ বিনিয়োগ করার দরকার হয় না। তবে আপনাকে উক্ত সেক্টরে টিকে থাকতে হলে প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম এবং ধৈর্য ধরতে হবে। তাহলে আশা করি আপনি সফল হবেন। তাই দেরি না করে শুরু করে দিন অনলাইন কোচিং।

বাংলা আর্টিকেল রাইটিং – অনলাইন ইনকাম

বর্তমানে একটি জনপ্রিয় কাজ হচ্ছে আর্টিকেল রাইটিং। আপনি ঘরে বসে খুব সহজে আর্টিকেল রাইটিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আপনি চাইলে নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে। সেই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট লিখতে পারেন।

আর বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লেখার পর আপনি সেইটা ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করবেন। আর ধীরে ধীরে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক এবং ভিজিটর বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

আর যখন একপর্যায়ে আপনার ওয়েবসাইটে ভালো রিভিউ এবং ভালো ট্রাফিক আসবে তখন আপনি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ঘরে বসেই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

তাছাড়া আপনি চাইলে অন্যজনের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল রাইটিং জব করেও ইনকাম করতে পারবেন। মূল কথা আর্টিকেল রাইটিং সার্ভিস দিয়ে আয় করতে পারবেন।

আপনি যদি আর্টিকেল রাইটিং সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান তাহলে গুগল অথবা ইউটিউব থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। তাই দেরি না করে শুরু করে দিন আর্টিকেল রাইটিং।

কীভাবে শুরু করবেন? – মহিলাদের ব্যবসা আইডিয়া

  • প্রথমে নিজের দক্ষতা বা আগ্রহ অনুযায়ী ব্যবসার আইডিয়া নির্বাচন করুন
  • একটি ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইট তৈরি করুন
  • প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের গুণগত মান নিশ্চিত করুন
  • ফ্রেন্ডস-ফ্যামিলি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে প্রমোশন করুন
  • কাস্টমার ফিডব্যাক নিয়ে সার্ভিস উন্নত করুন

সর্বশেষ কথা – মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা

ঘরে বসে আয় করার সুযোগ এখন হাতের নাগালেই। একটু পরিকল্পনা, সঠিক সিদ্ধান্ত এবং মানসম্মত সেবার মাধ্যমে একজন নারী ঘরে বসেই হয়ে উঠতে পারেন একজন সফল উদ্যোক্তা।

পরিবার ও সমাজের সহযোগিতা থাকলে এই পথ হয়ে উঠবে আরও সহজ ও সুন্দর।আপনি যদি নারী হয়ে নিজেই কিছু করতে চান, তাহলে আজ থেকেই শুরু করুন। সফলতা আপনার অপেক্ষায়।

মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা | FAQs 

২০০০০ টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়?

২০০০০ টাকা দিয়ে কাপড়ের ব্যবসা , খাবারের ব্যবসা , হোটেল ব্যবসা সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করা যায়।

বাংলাদেশের লাভজনক ব্যবসা কোনটি?

বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হল ফ্যাশন ডিজাইনার ও আইটি সেন্টার। আমাদের দেশে ফ্যাশন ডিজাইন বা ফ্যাশন হাউজ এর ব্যবসা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে এবং অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তারা বিভিন্ন ধরনের কাপড়ে ডিজাইন করে বিদেশে রপ্তানি করেছে।

চাকরির পাশাপাশি আর কি করা যায়?

আপনারা চাইলে চাকরির পাশাপাশি ছোটখাটো ব্যবসা করতে পারেন। তাছাড়াও চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। কারণ ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্তি পেশা। যেখানে নিজের ইচ্ছামত কাজ করা যায়।

Leave a Comment