অনলাইন মাধ্যম সহ অফলাইনে নানা ধরনের উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি মাসে ৫৫
হাজার টাকা ফ্রি ইনকাম করতে পারেন। যদি কোন ধরনের কাজ না করেই মাসে ফ্রি ৫৫ হাজার
টাকা ইনকাম করতে চান, সেটি কোনমতেই সম্ভব নয়।
কারণ এখন বর্তমানে এমন সময় চলে এসেছে যে ২০ টাকাও ফ্রিতে পাওয়া যায়
না। কোন না কোন কাজ করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হয়। ফ্রি ৫৫ হাজার
টাকা ইনকাম এবং ৪২ হাজার টাকা ফ্রি কিভাবে ইনকাম করবেন তা নিয়ে বিস্তারিত
আর্টিকেলটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
৪২ হাজার টাকা ফ্রি নিব কিভাবে? যদি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি
ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য অনুরোধ রইল। এখানে ফ্রি বলতে কিন্তু পূর্ণ ফ্রি
নেওয়ার কথা বলা হয়নি, আপনি যদি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ৪৬ হাজার টাকা নেওয়ার
চিন্তাভাবনা করে থাকেন, তাহলে একটি আপনার বড় ভুল ধারণা।
কারণ এই পৃথিবীতে কোনভাবেই ফ্রি টাকা পাওয়া সম্ভব নয়, যদি কাজ করেন তাহলেই
ইনকাম করতে পারবেন। আপনি শুধু বিনামূল্যে কাজ করে আয় করতে পারবেন। তবে ফ্রি নয়,
বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত থাকুন।
৫৫ হাজার টাকা ফ্রি ইনকাম করার উপায়
৫৫ হাজার টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করা কিন্তু মোটেই সহজ বিষয় নয়। অধিক পরিশ্রম ও
ধৈর্য ধারণ করে কাজ করার ফলে ৫৫ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব হবে। তবে আপনি
চাইলে বিভিন্ন সহজ উপায়ে ঘরে বসেই ৫৫ হাজার টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করতে
পারেন।
আরো পড়ুনঃ ডিপোজিট করে ইনকাম করার সাইট গুলোর নাম
এর জন্য আপনাকে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় গুলো বিস্তারিত জানতে হবে। তবে
কিছু অফলাইন কাজও আছে যা করতে পারলে আপনি হয়তো ৫৫ হাজার টাকা উপার্জন করে ফেলতে
পারবেন। এবার চলুন 55 হাজার টাকা কিভাবে ইনকাম করা যায় তার উপায় গুলো জেনে
আসা যাক।
- ফেসবুক পেজ বা ব্লগ মনিটাইজ করুন
- গ্রাফিক ডিজাইন বা লোগো ডিজাইন সার্ভিস দিন
- ইউটিউব চ্যানেল খুলুন
- ড্রপশিপিং বিজনেস শুরু করুন
- অনলাইন কোর্স তৈরি করে বিক্রি করুন
- ব্লগিং করে ইনকাম করুন
- অনলাইন টিউশন বা কোচিং
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing)
উপরোক্ত এগুলোর মাধ্যমে আপনারা সহজেই প্রতি মাসে ৫৫ হাজার টাকার বেশি উপার্জন
করতে পারবেন। তবে উপায়গুলো সম্পর্কে জানলে হবে না বাস্তবে বাস্তবায়ন
করার জন্য সঠিক পদ্ধতি জেনে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করে
কাজ করার চেষ্টা করতে হবে।
উল্লেখিত বেশিরভাগ উপায় গুলি অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত। অর্থাৎ অনলাইনের
মাধ্যমেই উপায় গুলো অনুসরণ করে ইনকাম করতে পারবেন। এবার চলুন কিছুটা বিস্তারিত
জানার যাক উপায় গুলো সম্পর্কে।
ফেসবুক পেজ বা ব্লগ মনিটাইজ করুন
ফেসবুক বর্তমানে ভিডিও কনটেন্ট মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে ইনকাম প্রদান করে
থাকে। যদি আপনি আকর্ষণীয় বিভিন্ন বিষয়ক ভিডিও তৈরী করেন এবং ফেসবুকে আপলোড
করেন তাহলে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃএড ফি ছাড়া অনলাইন জব সাইট
এই উপায়টি আমার কাছে সবচেয়ে সেরা মনে হয়েছে, কারণ আমি নিজেই ফেসবুক পেজ খুলে
সেখানে মনিটাইজেশন নিয়ে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করে থাকি, যেহেতু
আমি একাধিক উপায়ে ইনকাম করে থাকি।
সেক্ষেত্রে আমার মাস শেষে ৪২ হাজার টাকার বেশি ইনকাম হয়। আপনি চাইলে
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। আমি আমার ফেসবুক পেজে সাধারণত অনলাইন
ইনকাম সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে ভিডিও তৈরি করি।
আর বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে ইনকাম করে থাকি। যদি শুধুমাত্র আপনি ফেসবুক পেজ
থেকে ৫৫ হাজার টাকা অথবা তার বেশি উপার্জন করতে চান সেক্ষেত্রে ফেসবুক পেজেই
প্রতিনিয়ত ভিডিও বানাতে হবে।
অর্থাৎ আপনাকে শুধু ফেসবুক পেজের দিকেই প্রকাশ করতে হবে। অন্য মাধ্যমে
যাওয়ার দরকার নেই।বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভিডিও বানানো যায় যেমনঃ
- রান্নার রেসিপি
- শর্ট ফানি ভিডিও
- নিউজ আপডেট
- অনলাইন ইনকাম আইডিয়া
আপনার যেই বিষয়গুলো ভালো লাগে সেগুলো নিয়ে আকর্ষণীয় ভিডিও বানান এবং বেশি
বেশি ভিউজ আনার চেষ্টা করুন। অনেক বেশি ভিউস হলে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৪০০
ডলারের বেশি আয় করতে পারবেন।
ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেখানো ছাড়াও স্পনসর পোস্ট এবং অ্যাফিলিয়েট লিংকের
মাধ্যমে আয় করা যায়। একটি ভাল কনটেন্ট ভাইরাল হলে স্পনসরশিপ ও লিংক ইনকামের
মাধ্যমে সহজেই মাসে ৫৫ হাজার+ ইনকাম করতে পারবেন।
গ্রাফিক ডিজাইন বা লোগো ডিজাইন সার্ভিস দিন
বর্তমানে অনলাইন জগতে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো গ্রাফিক্স
ডিজাইন। হ্যাঁ বন্ধুরা গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজটির প্রচুর চাহিদা রয়েছে, আপনি
মার্কেটিং করতে গেলেও গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে হবে।
এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে গ্রাফিক্স ডিজাইন করা
অত্যাবশ্যকীয়।গ্রাফিক্স ডিজাইন সার্ভিস দিয়ে অনলাইন প্লাটফর্মসহ লোকাল
মার্কেটপ্লেস থেকে উপার্জন করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে বিদেশি
ক্লায়েন্টদের সার্ভিস দিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে 20 থেকে 30 ডলার এর বেশি
ইনকাম করতে পারবেন।
কিন্তু একটা বিষয় মনে রাখুন গ্রাফিক্স ডিজাইন সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করতে হলে
অবশ্যই আপনাকে নিজেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজে দক্ষ হতে হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইন
কাজের মধ্যে অনেকগুলো ভাগ রয়েছে যেমনঃ
- লোগো ডিজাইন
- বিজনেস কার্ড
- সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ডিজাইন
- ইউটিউব থাম্বনেইল
এই সকল ডিজাইনগুলো সম্পর্কে আপনার জানতে হবে এবং দক্ষ হতে হবে তাহলেই
ফাইবার সহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে সার্ভিস দেওয়ার মাধ্যমে উপার্জন করতে
পারবেন। এবার অনেকেই জিজ্ঞাসা করে থাকেন কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করে
গ্রাফিক্স ডিজাইন করবো।
আপনারা চাইলে Canva, Adobe Illustrator বা Photoshop ব্যবহার করে
ডিজাইন করতে পারেন।আর প্রতিটি ডিজাইনের জন্য ৫০০–৫০০০ টাকা
পর্যন্ত চার্জ করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং সাইটে আপনার
প্রোফাইলে ভালো রেটিং পেলে অর্ডার আরও বাড়বে।
ইউটিউব চ্যানেল খুলুন
আপনার যদি ভিডিও বানানোর আগ্রহ থাকে, তাহলে youtube চ্যানেল খোলার মাধ্যমে
আয় করা শুরু করতে পারেন। শুধুমাত্র ইউটিউব চ্যানেল খুললেই হবে না, প্রতিদিন
youtube চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করতে হবে।
অবশ্যই নিজের তৈরি করা ভিডিও হতে হবে, আপনি বিভিন্ন টপিক নিয়ে ভিডিও তৈরি
করতে পারবেন।তবে আকর্ষণীয় হলে বেশি ভিউজ পাওয়া যায়। যেমন আমি নিজেই
ব্লগিং বিষয় নিয়ে ভিডিও বানিয়ে থাকি। তবে আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত
বিষয়গুলো নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
প্রতিদিন ভিডিও বানিয়ে আপলোড করলে সাবস্ক্রাইবার ও ভিউ এর সংখ্যা বাড়ে। যার
ফলে আপনি খুব দ্রুতই মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। আর
মনিটাইজেশন পেলেই গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আপনি প্রতি মাসে ৫৫
হাজার টাকার বেশি ফ্রি আয় করতে পারবেন। ভিডিও কনটেন্ট বিভিন্ন বিষয়
নিয়ে হতে পারে যেমনঃ
- শিক্ষা বিষয়ক টিউটোরিয়াল
- ভ্লগ (Vlog)
- গেমিং
- কৌতুক/শর্ট ভিডিও
- রান্না বা রিভিউ ভিডিও
ইনকামের উৎসঃ
- YouTube AdSense (ভিডিওতে বিজ্ঞাপন)
- স্পনসরশিপ
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- নিজের পণ্য বিক্রি
ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ করার জন্য চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং
৪,০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম পূরণ করতে হবে। এর ফলে আপনি মনিটাইজেশন অ্যাপ্লাই
করে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করতে পারবেন।
ড্রপশিপিং বিজনেস শুরু করুন
অনেক যুবকেরাই প্রশ্ন করেন ৪২ হাজার টাকা ফ্রি নিব কিভাবে? তাদেরকে
বলব ঘরে বসে মোবাইলে বা কম্পিউটারে ড্রপ শিপিং বিজনেস শুরু করুন। এই
বিজনেস উপায়টি বর্তমানে যুবকদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
ড্রপশিপিং এমন একটি ব্যবসা যেখানে আপনাকে পণ্য মজুদ করতে হয় না।আপনি কেবল
একটি অনলাইন স্টোর খুলে, তৃতীয় পক্ষের পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে ইনকাম করতে
পারবেন। এখানে আপনি পণ্যগুলো নিজের ইচ্ছা মত দামে সেট করতে
পারবেন।
তবে ড্রপ শিপিং বিজনেস শুরু করার জন্য নিজের একটি WooCommerce ওয়েবসাইট
তৈরি করতে হবে। যেখানে আপনি প্রোডাক্টগুলো সুন্দরভাবে নিজের ইচ্ছামত দাম
অনুযায়ী লিস্টিং করতে পারবেন।
এবার অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে কোন প্লাটফর্মের প্রোডাক্ট নিয়ে ড্রপ
শিপিং বিজনেস করবো? আপনারা কিন্তু চাইলে বড় বড়
ই-কমার্স প্রতিষ্টান যেমনঃ AliExpress ,CJ Dropshipping ,Amazon এর প্রোডাক্টগুলো নিয়ে ড্রপ শিপিং বিজনেস শুরু করতে পারেন।
যদি প্রোডাক্ট বিক্রি বিক্রি করতে পারেন তাহলে প্রতিটি বিক্রিতে প্রফিট
মার্জিন থাকে ৩০-৫০% পর্যন্ত। মূলকথা হল সঠিক মার্কেটিং করলে
প্রতিদিন ২-৩টি অর্ডার পেলেও মাস শেষে ৫৫ হাজার টাকা বা তার বেশি আয় করা
সম্ভব।
অনলাইন কোর্স তৈরি করে বিক্রি করুন
অনলাইনে ইনকাম করার অনেক পুরনো পদ্ধতি হলো অনলাইন কোর্স। অনলাইন কোর্স
বিক্রি করার মাধ্যমে ইনকাম করার বিষয়টি অনেক আগে থেকেই চালু
রয়েছে। যখন থেকে প্রযুক্তি উন্নত হচ্ছে তখন থেকে এই মাধ্যমে ইনকামের
পরিমাণও বাড়ছে।
কারণ মানুষ প্রতিনিয়ত নতুন নতুন স্কিল শেখার জন্য অনলাইনে কোর্স কিনছে এবং
অনলাইন ক্লাস করছে। এজন্য আপনার যদি বিভিন্ন দক্ষতা সম্পর্কিত বিষয়ে
জ্ঞান থাকে তাহলে অন্যদের তা শেখানোর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।
আপনি সরাসরি কোর্স তৈরী করে বিক্রিও করতে পারবেন। যদি বিশেষ কোনো বিষয়ে
দক্ষতা থাকে তাহলে সেগুলোর কোর্স বানান এবং অনলাইনে বিক্রি
করুন। বর্তমান সময়ে বেশ কিছু জনপ্রিয় কোর্স রয়েছে যেগুলোর প্রচুর
চাহিদা থাকে। কোর্সগুলো হলোঃ
- Digital Marketing
- MS Excel/PowerPoint
- Freelancing Tips
- IELTS Preparation
আপনার দক্ষতা থাকলে উল্লেখিত বিষয়গুলো নিয়ে ভিডিও আকারে
কোর্স বানিয়ে আপনি তা Udemy, Teachable বা আপনার নিজের ওয়েবসাইটে বিক্রি
করতে পারেন। আর আপনি প্রতিটি কোর্সের দাম নিজের ইচ্ছামত সেট করতে
পারেন। তবে দাম কম রাখাই ভালো, দাম কম রাখলে অনেক বেশি কোর্স
বিক্রি করতে পারবেন। আর মাস শেষে আপনার ৫৫ হাজার টাকার বেশি উপার্জন
হবে।
ব্লগিং করে ইনকাম করুন
আপনার যদি লেখার দক্ষতা থাকে, তাহলে নিজের একটি ব্লগ খুলে Google AdSense,
স্পনসর পোস্ট এবং অ্যাফিলিয়েট থেকে আয় করতে পারেন। বিভিন্ন টপিক নিয়ে
কনটেন্ট লিখতে পারবেন। তবে মানুষের জন্য উপকারী হয় এই টাইপের কনটেন্ট
লিখুন তাহলে অনেক ভিজিটর পাবেন।
প্রথমদিকে আপনি শুধুমাত্র একটি বিষয় নিয়ে কনটেন্ট লিখবেন তাহলে অনেক ভিজিটর
পেতে পারেন। এখন অনেকেই প্রশ্ন করেন কোন কোন বিষয় নিয়ে কনটেন্ট লেখা
যায়। আপনি যে বিষয়গুলো ভালো বোঝেন সেগুলো নিয়ে কন্টেন্ট লিখুন।
যেমন আমি ব্লগে অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে কনটেন্ট লিখে
থাকি। আমি এই বিষয়টিতে অনেক পারদর্শী এবং আমার দক্ষতা রয়েছে।
তাই সব সময় ইনকাম বিষয় নিয়ে কন্টেন্ট লিখে থাকি। আপনার যেই বিষয়
নিয়ে কনটেন্ট লিখতে ভালো লাগে এবং দক্ষতা রয়েছে সেটা নিয়েই লেখা শুরু
করুন। কিছু ব্লগিং কনটেন্ট আইডিয়া শেয়ার করা হলোঃ
- অনলাইন ইনকাম
- ব্যাংকিং
- ভিসা ও পাসপোর্ট
- হেল্থ টিপস
- ট্রাভেল গাইড
- কৃষি
- টেকনোলজি রিভিউ
ভালোভাবে SEO অপটিমাইজ আর্টিকেল লিখতে পারলে মাস শেষে লাখ লাখ ভিজিটর
পাবেন। আর লাখ লাখ ভিজিটর আসলে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকার বেশি
উপার্জন করতে পারবেন।আমি নিজেই ব্লগিং সাইট থেকে প্রতি মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার
টাকার বেশি আয় করে থাকি। তবে আপনি যদি বেশি পরিশ্রম করেন তাহলে অনেক
বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
৪২ হাজার টাকা ফ্রি নিব কিভাবে
৪২ হাজার টাকা ফ্রিতে কোনোভাবে নিতে পারবেন না। বর্তমান পৃথিবীতে ২০
টাকাও ফ্রিতে পাওয়া যায় না আর আপনি ৪২০০০ টাকা কিভাবে ফ্রী
নেবেন। ফ্রিতে ৪২ হাজার টাকা না নেওয়া গেলেও 42 হাজার টাকা অবশ্যই
ইনকাম করতে পারবেন।
হ্যাঁ বন্ধুরা ৪২ হাজার টাকা প্রতি মাসে ফ্রিতে ইনকাম করা সম্ভব। কোন
ধরনের ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই বিভিন্ন ধরনের কাজ করে ও বিভিন্ন উপায়ে ৪২ হাজার
টাকার বেশি আয় করা যাবে। ৪২০০০ টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো হলোঃ
ফটোগ্রাফি এবং ফটো বিক্রি
আপনার যদি ভালো ক্যামেরা বা স্মার্টফোন থাকে এবং ফটোগ্রাফি ভালো পারেন, তাহলে
ছবি তুলে বিক্রি করতে পারেন। আর ছবি তুলে প্রতিমাসে ভালো পরিমাণ আর্নিং
করা সম্ভব।
বিশেষ করে আপনি যদি প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার হন তাহলে বিভিন্ন বিয়ে বাড়িতে
অনুষ্ঠানে ছবি তুলে , বার্থডে ছবি তোলার সার্ভিস দিয়ে টাকা ইনকাম করতে
পারবেন।
এছাড়াও অনলাইনে কিছু প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে ইউনিক আকর্ষণীয় ছবি আপলোড
করে উপার্জন করা যায়। সাইটগুলো হলঃ Shutterstock, iStock, Adobe
Stock।
ই-বুক লেখা ও বিক্রি
আপনার যদি পড়াশোনার বিষয়ে অথবা সাহিত্য বিষয়ে প্রচুর জ্ঞান থাকে তাহলে তা
আপনি লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করে ইনকাম করতে পারেন।
অনলাইনে ই বুক আকারে সেগুলো প্রকাশ করে বিক্রি করে আয় করা যায়। অনেকেই
সাইন্স ফিকশন ই-বুক লিখে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে ইনকাম করে থাকে।
আপনি ই-বুক বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন
যেমনঃ Amazon Kindle, Google Play Books, PDF বিক্রি ফেসবুকে।
একটি ই-বুক অনেক বার বিক্রি করা যায়। তবে আপনার লেখার বিষয়টি যদি
আকর্ষণীয় হয় তাহলে প্রচুর বিক্রি করতে পারবেন।
আর এটি প্যাসিভ ইনকামের অন্যতম উপায়। সারা জীবন আপনার ইনকাম হতে
থাকবে। আর এই উপায়ে ৪২ হাজার টাকা ফ্রিতে ইনকাম করা সম্ভব।
ক্রিপ্টো ট্রেডিং (ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু লাভজনক)
ক্রিপ্টোকারেন্সি কয়েন গুলো কেনাবেচার মাধ্যমে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে
ইনকাম করতে পারেন।এই উপায়টি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও অনেক লাভজনক। যদি একবার
পারদর্শী হয়ে যান তাহলে প্রতি মাসেই লক্ষ লক্ষ টাকার বেশি আয় করতে
পারবেন।
অনলাইনে অনেক বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম রয়েছে
যেখানে ক্রিপ্টোকারেন্সি পয়েন্ট গুলো ক্রয় করা যায় এবং বিক্রি
করা যায়। আপনি কম দামে ক্রয় করে বেশি দামে বিক্রি করে লাভ করতে
পারবেন। প্লাটফর্ম গুলো হলঃ Binance, Coinbase, OKX, Bybit।
তবে সব সময় জনপ্রিয় কয়েনগুলো কিনে বিক্রি করার চেষ্টা করুন। কারণ
জনপ্রিয় কয়েন গুলোর দাম বেশি ওঠা নামা করে থাকে। জনপ্রিয় কয়েন গুলোর
দাম খুব দ্রুত বেড়ে যায়।
বর্তমানে জনপ্রিয় কয়েনগুলো হল Bitcoin, Ethereum ,Dogge
ইত্যাদি। আর একটা কথা মনে রাখুন সঠিক জ্ঞান ও রিসার্চ ছাড়া
বিনিয়োগ করবেন না। কারণ এখানে সঠিকভাবে ট্রেডিং না করলে টাকা লস
যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই রিসার্চ করে সঠিকভাবে কয়েন ক্রয়
করুন।
T-Shirt ডিজাইন করে বিক্রি করুন
টি শার্ট ডিজাইন করতে জানলে টি শার্ট ডিজাইন করেই সার্ভিস গুলো দিয়ে অনলাইন
থেকে আয় করতে পারেন। সাধারণত গার্মেন্টস কোম্পানিগুলো টি শার্ট ডিজাইন
করিয়ে নিয়ে থাকে। আপনি তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এককালীন টাকা ইনকাম করতে
পারেন।
তাছাড়াও বিদেশী বিভিন্ন কোম্পানির সাথে টি শার্ট ডিজাইন এর সার্ভিস দিয়েও
উপার্জন করতে পারবেন। এই উপায়ে ৪২ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন,
সে ক্ষেত্রে টি শার্ট ডিজাইন আকর্ষণীয় হতে হবে এবং আপনার টি শার্ট ডিজাইন
করার দক্ষতা থাকতে হবে।
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করে বিক্রি
আপনি যদি WordPress জানেন, তাহলে বিভিন্ন ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে
দিতে পারেন।ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ডিজাইন করে সার্ভিস দিয়ে আয় করতে
পারবেন। বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের অনেক চাহিদা রয়েছে।
বিশেষ করে যাদের ব্যবসার জন্য ই-কমার্স সাইট প্রয়োজন। তারা অবশ্যই
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট বানিয়ে নিয়ে থাকে। একটি ই-কমার্স
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট বানিয়ে আপনি প্ল্যাটফর্ম থেকে ৫০ হাজার টাকার বেশি
আয় করতে পারবেন।
শেষ কথা
বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করা গেলেও, দক্ষতা না থাকার কারণে অনেকেই অনলাইন থেকে
উপার্জন করতে পারে না। তাই আমি বলব সকলেই প্রথমে দক্ষতা অর্জন
করবেন। যেই বিষয়টি আপনার ভালো লাগে সে বিষয়টি সম্পর্কে জানুন এবং
শিখুন।
আর ধৈর্য ধরে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করতে থাকুন তাহলে অবশ্যই সফলতা অর্জন করে
ইনকাম করতে পারবেন। ৫৫ হাজার টাকা ইনকাম করা সহজ বিষয় না, যদি কঠোর
পরিশ্রম ও নিষ্ঠা দিয়ে কাজ করেন তাহলে আয় করতে পারবেন।
আপনি চাইলে আর্টিকেলটিতে দেখানো একাধিক উপায় গুলো নির্বাচন করে কাজ করে
ইনকাম করতে পারেন। আমি নিজেই একাধিক উপায় অনুসরণ করে ঘরে বসে অনলাইন
থেকে আয় করি। যদি পরিশ্রম করার মানসিক সক্ষমতা থাকে তাহলেই ইনকাম করতে
পারবেন।