অনলাইনে বর্তমানে কয়েন দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে টাকা ইনকাম করা যায়। অনলাইনে
বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল কয়েন বা মুদ্রা রয়েছে যেগুলো ক্রয় বিক্রয় করে ইনকাম
করতে পারবেন। তাছাড়াও ডিজিটাল মুদ্রা গুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন মাধ্যমে ইনকাম
করা যেতে পারে।
আর এই ডিজিটাল মুদ্রা গুলোকে সাধারণত ক্রিপ্টো কারেন্সি কয়েন বলা হয়। ক্রিপ্ট
কারেন্সি কয়েন দিয়ে টাকা ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে যা আপনাদের সাথে
এখন শেয়ার করব।
অনলাইনে ক্রিপ্টো কারেন্সি কয়েন গুলো দিয়ে আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা
ইনকাম করতে পারবেন।বিশেষ করে কয়েন জমা রেখে , কয়েন ক্রয় বিক্রয়
করে, কয়েন ট্রেডিং করে ইত্যাদি মাধ্যমে প্রচুর অর্থ আয় করতে পারবেন।
এছাড়া আরো অনেক উপায় আছে যেগুলো জানলে আপনি কয়েন দিয়ে টাকা ইনকাম করতে
পারবেন।তবে বর্তমানে বিভিন্ন apps এ মাইনিং করেও কয়েন আর্নিং করা যায়। যেখান
থেকে ভালো পরিমাণ ইনকাম সম্ভব। সবগুলো উপায় নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা
করব।
কয়েন দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়
আপনি বিভিন্ন ধরনের কয়েন আর্নিং করে রেগুলার ঘরে বসেই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে
পারবেন। বর্তমানে ক্রিপ্টো কারেন্সি কয়েন আর্নিং করার পাশাপাশি
বিভিন্ন অ্যাপসে নির্দিষ্ট কয়েন আর্নিং করেও ইনকাম করা যায়।
আরো পড়ুনঃ বাস গেম খেলে টাকা ইনকাম করার উপায়
বর্তমানে বহু অ্যাপস রয়েছে যেখানে নির্দিষ্ট কাজ করার বিনিময়ে তারা কয়েন
প্রদান করে থাকে। সেই কয়েন গুলো এক্সচেঞ্জ করেও ডলার ইনকাম করতে
পারবেন। যার কারণে বলা যায় বিভিন্ন ধরনের কয়েন থেকে আয় করা
সম্ভব। এবার চলুন কয়েন দিয়ে টাকা ইনকাম করার বিস্তারিত উপায় গুলো জেনে
আসা যাক।
গেম খেলে কয়েন অর্জন
বর্তমানে অনলাইনে অনেক গেমিং প্লাটফর্ম রয়েছে যেখানে গেম খেলার বিনিময়ে কয়েন
অর্জন করা যায়। আপনি সেই অ্যাপগুলোতে গেম খেলবেন এবং অ্যাপ গুলো আপনাকে কয়েন
প্রদান করবে।
আরো পড়ুনঃ
ঘরে বসে হাতে লিখে আয় করার উপায়
আর এই কয়েন পরবর্তীতে রূপান্তর করে গিফট কার্ড ও ক্যাশ রিওয়ার্ড নেওয়া যায়।
এছাড়া বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম কয়েন গুলো দিয়ে ডলারের পেমেন্ট দিয়ে থাকে। এই
টাইপের অনেক অ্যাপস রয়েছে। আমরা দুইটি অ্যাপস সম্পর্কে তুলে ধরলাম।
- Mistplay: এই অ্যাপটিতে বিভিন্ন টাইপের মিনি গেম খেলে প্রচুর কয়েন অর্জন করা যায়, আর এই কয়েন পরবর্তীতে রূপান্তর করে গিফট কার্ডে পেমেন্ট পর্যন্ত নিতে পারবেন।
- Coin Pop: এখানেও আপনি বিভিন্ন গেম খেলে কয়েন সংগ্রহ করতে পারবেন। আর নির্দিষ্ট পরিমাণ কয়েন জমা হলেই পেপালের মাধ্যমে তা উত্তোলন করতে পারবেন।
উপরোক্তা অ্যাপ ছাড়াও আরো অনেক অ্যাপস রয়েছে যেগুলোতে গেম খেলার মাধ্যমে
কয়েন এবং পয়েন্ট অর্জন করা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিভিন্ন টাইপের
কয়েন প্রদান করে থাকে। যেগুলো রূপান্তর করে ডলারের নিয়ে নিতে পারবেন। আর
এভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব, তাই আপনারা চেষ্টা করে গেম খেলে কয়েন বেশি
বেশি অর্জন করুন।
পুরস্কার ভিত্তিক অ্যাপ
অনলাইনে কিছু অ্যাপস রয়েছে যেগুলোতে নির্দিষ্ট কাজ করলেই রিওয়ার্ডস প্রদান করে
থাকে। আর তারা রিওয়ার্ডস হিসেবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল কয়েন বা তাদের
নির্দিষ্ট কয়েন গুলো দিয়ে থাকে। যেগুলো আপনি পরবর্তীতে রিওয়ার্ড হিসেবে ডলারে
রূপান্তর করে নিতে পারবেন। যেমনঃ
- Google Opinion Rewards: সার্ভে সম্পন্ন করে এই অ্যাপটি থেকে প্রচুর ক্রেডিট কয়েন আর্ন করা যায়। যা পরবর্তীতে আপনি গিফট কার্ডে রূপান্তর করে উত্তোলন করতে পারবেন।
- Swagbucks: এই সাইটটিতে বিভিন্ন টাইপের অনলাইন ভিত্তিক কাজ করতে পারবেন, যেগুলো করার জন্য দক্ষতার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র মোবাইল দিয়ে অনলাইনে সেই কাজগুলো করে দিয়ে প্রচুর কয়েন সংগ্রহ করতে পারবেন। আর নির্দিষ্ট পরিমাণ কয়েন জমা হলেই পেমেন্ট নিতে পারবেন।
রেফারেল প্রোগ্রাম
অনেক প্ল্যাটফর্ম বা অ্যাপস রয়েছে যেখানে আপনি একাউন্ট খুলে তাদের অ্যাপ গুলো
রেফার করার মাধ্যমে প্রচুর কয়েন আর্নিং করতে পারবেন। তাদের কয়েন গুলো
সাধারণত ক্রিপ্টো কারেন্সি কয়েন হয়ে থাকে। যেগুলো কয়েন মার্কেটে বিক্রি করা
যায়। যেমনঃ
- Pi Network: এখানে আপনি অ্যাপটিতে একাউন্ট খুলে অ্যাপটির রেফার বেশি বেশি করলে প্রচুর Pi কয়েন ইনকাম করতে পারবেন।
- StormGain: আর এখানে রেফারেল প্রোগ্রাম অংশগ্রহণ করে রেফার করার মাধ্যমে ক্রিপ্টো কয়েন আর্নিং করতে পারবেন।
এছাড়াও আরো কিছু অ্যাপস রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে কয়েন অর্জন করা যায় যেমনঃ
Taka income Pro ,Daily Taka , Clip cash, mcent ইত্যাদি।
এয়ারড্রপ এবং গিভঅ্যাওয়ে
ক্রিপ্টো প্ল্যাটফর্মে অনেক সময় এয়ারড্রপের মাধ্যমে ফ্রি ক্রিপ্টো
কারেন্সি কয়েন প্রদান করা হয়। এই কয়েন সংগ্রহ করে বেশ ভালো পরিমান আর্নিং
করা সম্ভব। এটি ইনকামের একটি সহজ উপায়।
এই উপায়ে অনেকে বর্তমানে অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্মে একাউন্ট খুলে এয়ার ড্রপ
থেকে কয়েন সংগ্রহ করছে। আর একসাথে প্রচুর কয়েন সংগ্রহ করতে পারলেই
কমপক্ষে মাস শেষে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আর কিপ্টো কারেন্সি কয়েন সহজে বিক্রি করা যায়। যদি জনপ্রিয় কয়েন হয়ে
থাকে তাহলে অনেক টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। এজন্য বেশি বেশি এয়ার ড্রপ ও
গিভঅ্যাওয়েতে অংশগ্রহণ করুন, যেখানে কয়েন আর্নিং করা যায়।
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কয়েন ইনকাম
আপনারা চাইলে কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস গুলো
দেওয়ার মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে ক্রিপ্টো কারেন্সি কয়েন এর মাধ্যমে
পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন। এর ফলে আপনি কয়েন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
কয়েন পেমেন্ট নিয়ে পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে এক্সচেঞ্জার থেকে ডলারে কনভার্ট
করে উত্তোলন করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেমন Fiverr,
Upwork বা Freelancer এ ডিজিটাল সার্ভিসের বিনিময়ে ক্রিপ্টো কয়েন বা
গিফট কার্ড নিতে পারেন। এভাবে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম থেকেও কয়েন
দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়।
স্টক ফটো বিক্রি করে কয়েন ইনকাম
কিছু প্ল্যাটফর্ম, যেমন EyeEm বা
Shutterstock, যেখানে আপনি ছবি
বিক্রি করলে কয়েন বা গিফট কার্ড ইনকাম করতে পারবেন। তাই আকর্ষণীয় ছবি তুলে
দক্ষতা থাকলে ছবি তুলেই এই সকল প্লাটফর্ম গুলোতে বিক্রি করে কয়েন অর্জন
করুন। প্রচুর অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।
NFT তৈরি এবং বিক্রি
যদি ডিজিটাল আর্ট তৈরি করতে পারেন তাহলে NFT বানিয়ে বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম
বিক্রয় করে ক্রিপ্ট কারেন্সি কয়েন ইনকাম করতে পারেন। এ ডিজিটাল আর্টগুলো
বিক্রি করা যায়। আর বিক্রি করার মাধ্যমে প্রচুর ডলার ও কয়েন আর্নিং করা যায়।
যার কারণে অনেকেই এই ধরনের ডিজিটাল আর্টগুলো তৈরি করতে পছন্দ করে
থাকে।
ক্রিপ্টো কয়েন কিনে ইনকাম
ক্রিপ্টো কারেন্সি কয়েন গুলো ক্রয় করার মাধ্যমে বিভিন্ন মাধ্যমে ইনকাম করতে
পারবেন। আপনি কম দামে কয়েন ক্রয় করে সেগুলো বেশি দামি বিক্রি করে লাভ করে
ইনকাম করতে পারবেন। আর এভাবে ইনকাম করাকে এক কথায় ট্রেডিং বলা হয়ে
থাকে।
আপনি বিভিন্ন ধরনের ভার্চুয়াল কয়েন কম দামে কিনে রাখবেন এবং বেশি দাম হলে তখন
বিক্রি করে বেশি লাভে আয় করতে পারবেন। এভাবে অনেকে এখন অনলাইন প্লাটফর্ম
গুলোতে ক্রিপ্টো কয়েন গুলো কিনে জমা রেখে দেয়।
আর নির্দিষ্ট সময়ে বেশি দাম হলেই বিক্রি করে বেশি লাভ করে। এভাবেও কয়েন
কিনে রেখে দিয়ে পরবর্তীতে বিক্রি করে প্রচুর অর্থ ইনকাম করা যায়।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কয়েন ট্রেডিং করে ইনকাম
বিভিন্ন ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি কয়েন ট্রেডিং করার মাধ্যমে অনলাইন
প্লাটফর্ম থেকে প্রচুর অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার বিনিয়োগের
প্রয়োজন রয়েছে, অর্থাৎ আপনি টাকা ইনভেস্ট করে কয়েন কিনবেন এবং সেগুলো
ট্রেডিং করার মাধ্যমে বেশি দামে বিক্রি করে প্রচুর ইনকাম করবেন।
ট্রেডিং মূলত হলো ভার্চুয়াল কয়েন ক্রয় বিক্রয় করা। কিন্তু এক্ষেত্রে
একটা ঝুঁকি রয়েছে, আর সেটি হলো ট্রেডিং করার সময় অনেক সময় লস হওয়া সম্ভব না
থাকে। বিশেষ করে যারা ট্রেডিং সম্পর্কে জানেন না অথবা ট্রেডিং সম্পর্কে
দক্ষ নন।
তাই যারা অনলাইন ট্রেডিং করে কয়েন কেনাবেচা করে উপার্জন করতে চাচ্ছেন তারা
অবশ্যই ট্রেডিং বিষয়গুলো সম্পর্কে জানুন এবং কিভাবে ট্রেডিং করতে হয় তা
শিখুন।
বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় কয়েন রয়েছে যেগুলো ক্রয় বিক্রয় করে প্রতিদিন ইনকাম
করতে পারবেন যেমনঃ বিটকয়েন , ইথারিয়াম , ডগি , লাইট কয়েন
ইত্যাদি। আর বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্ম আছে যেখানে এই ধরনের কয়েন কেনা যায়
যেমনঃ
Binance ,Kucoin ,Coinbase ,Coin market ,Bybit ,Bitget ইত্যাদি।
ক্রিপ্টো কয়েন মাইনিং করে ইনকাম
বর্তমান সময়ে অনেক প্লাটফর্ম তৈরি হয়েছে যেখানে শুধুমাত্র একাউন্ট খুলে
প্রতিদিন প্ল্যাটফর্ম গুলোতে প্রবেশ করে একটা করে ট্যাপ করলেই কয়েন মাইনিং হতে
থাকে। আর এখানে কয়েন মাইনিং হলেই একাউন্টে কয়েন জমা হতে থাকে।
এই কয়েন গুলো সাধারণত অটোমেটিক মাইনিং এর মাধ্যমে তৈরি হয়ে আমাদের একাউন্টে
জমা হয়। মূল কথা নতুন কোম্পানিগুলো তাদের কয়েন সম্পর্কে গ্রাহকদের জানাতে এই
পদ্ধতিটি চালু করেছে।
তার এভাবে গ্রাহকদের মাইনিং করার মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ কয়েন প্রদান করে
থাকে যা থেকে আমরা ইনকাম করতে পারি।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কয়েন জমা রেখে ইনকাম
ক্রিপ্টোকারেন্সি কয়েন স্টেকিং বা জমা রেখে টাকা ইনকাম করা যায়। হ্যাঁ
বন্ধুরা বিভিন্ন ওয়ালেট বা এক্সচেঞ্জার রয়েছে যেখানে আপনি ডিজিটাল কয়েন গুলো
কিনে নিজের একাউন্টে জমা রেখে দেওয়ার মাধ্যমেই নির্দিষ্ট পরিমাণ ইন্টারেস্টে
ইনকাম করতে পারবেন।
যেমনটা আমরা ব্যাংকে টাকা জমা রেখে ইনকাম করে থাকি। ব্যাংকে আমরা বিভিন্ন স্কিম
কিনে টাকা জমা রাখার মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ ইন্টারেস্টে প্রতি মাসে লাভ
পেয়ে থাকি। ঠিক একইভাবে বর্তমানে অনলাইন প্লাটফর্মেও ভার্চুয়াল কয়েন কিনে
সেগুলো জমা রাখার মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ লাভ পাওয়া যায়।
তবে এখান থেকে বেশি টাকা ইনকাম করতে হলে প্রচুর ইনভেস্ট করতে হয়। অনেক
কয়েন কিনে জমা রাখলে মাস শেষে আরো একটা বেশি কয়েন লাভ করতে পারবেন। যা থেকে
প্রচুর ইনকাম করা সম্ভব।
ক্রিপ্টো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অনেক ক্রিপ্টো কারেন্সি অ্যাপস ও প্লাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনি একাউন্ট খুলে
তাদের পরিষেবা গুলো প্রচার করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। একাউন্ট খুলে আপনি
রেফার লিংক সংগ্রহ করে পরিচিতদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
পরিচিতসহ যে কোন ব্যক্তি আপনার রেফার লিংক থেকে যদি একাউন্ট খুলে তাহলে আপনি
প্রচুর ক্যাশ রিওয়ার্ড ও কমিশন পর্যন্ত পেতে পারেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই
ধরনের প্লাটফর্ম গুলোতে সরাসরি ডলার ক্যাশ রিওয়ার্ড দেওয়া হয়।
এখন অনেকে প্রশ্ন করে কোন ধরনের প্লাটফর্মে এই ধরনের ইনকাম
দেয়। বর্তমানের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম যেমনঃ Binance , KUcoin ,Bybit
ইত্যাদি অ্যাপস গুলোতে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রচুর কয়েন আর্নিং করতে
পারবেন, যা থেকে বেশ ভালো পরিমান ডলার ইনকাম করা সম্ভব হবে।
আমি একবার এই প্লাটফর্মগুলোতে একাউন্ট খুলে রেফার করেছিলাম। বিশেষ করে
KUcoin অ্যাপসটিতে একাউন্ট খুলে রেফার করে প্রথম ডিপোজিটেই আমাকে পাঁচ ডলার
বোনাস দিয়েছিল। তাহলে বুঝতে পারছেন পাঁচ ডলার এক্সট্রা ইনকাম করতে
পেরেছি।
এভাবে সবগুলো অ্যাপ থেকেই ইনকাম করা যায়। আগে তাদের অ্যাপসে একাউন্ট খুলে
নীতিমালা ও শর্তগুলো দেখে নিন।
পোর্টফোলিও পরিচালনা
আপনি যদি অনলাইন ট্রেডিং বা শেয়ার মার্কেটে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে অন্যান্য
কোম্পানি বা প্লাটফর্মের পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট সেবা দিয়ে ইনকাম করতে
পারেন। এভাবে অনেকেই ইনকাম করে আসে।
যে কোন একটি কোম্পানি ভালোভাবে চালানোর জন্য অবশ্যই পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট
করতে হয়। আর এই কাজটি সকলেই করতে পারেনা, যারা বিশেষভাবে দক্ষ তারাই এই ধরনের
পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারে।
আপনি যদি অনলাইন সেক্টরে বিশেষ করে শেয়ার মার্কেট ও ট্রেডিং সেক্টরে দক্ষ হয়ে
থাকেন তাহলে পোর্টফোলিয়া ম্যানেজমেন্ট সহজেই করতে পারবেন। আর এই সার্ভিসগুলো
আপনি অন্যদের দিয়ে আয় করতে পারবেন।
পরিশেষ কথা
কয়েন দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়, তবে বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম গুলো থেকে ইনকাম
করতে হবে। কারণ অনলাইনে অনেক ভুয়া প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনি ইনভেস্ট করে
ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। এজন্য নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম গুলো যাচাই-বাছাই করে
ইনভেস্টমেন্ট করে কয়েন ইনকাম করার চেষ্টা করুন।
তবে বেশ কিছু ফ্রি প্ল্যাটফর্ম আছে যেগুলোতে নির্দিষ্ট টাস্ক সম্পূর্ণ করে
কয়েন অর্জন করা যায়, কিন্তু এখানে ইনকাম অনেক কম। তবুও যারা ঘরে বসে
বেকার সময়ে আয় করতে চান তাহলে এখানে কাজ করতে পারেন।
আর যদি অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে চান সে ক্ষেত্রে অনলাইন ট্রেডিং সেক্টরে
কয়েন কেনাবেচা করে ইনকাম করতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রচুর গবেষণা জরুরী, যদি আপনি
ট্রেডিং না জানেন তাহলে কখনোই ট্রেডিং করে কয়েন কেনাবেচা করে ইনকাম করতে
পারবেন না।
কারণ কয়েনের দাম ওঠানামা করে থাকে। হঠাৎ করে কয়েনের দাম কমে যায় , আবার হঠাৎ
করে কয়েনের দাম বেড়ে যায়। যার কারণে ট্রেডিং ক্ষেত্রে অনেকটা ঝুঁকি থাকে। আর
এই ট্রেডিং করার জন্য প্রচুর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা জরুরী। আপনি সবগুলো শিখে
কয়েন থেকে ইনকাম করার চেষ্টা করুন।