আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন , তাহলে মেয়েদের ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। কারণ ছেলে মেয়ে উভয়েরই বিভিন্ন কারণে ব্রণ জনিত সমস্যা হয়ে থাকে।
আপনি ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকলে আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে মেয়েদের ব্রণ দূর করার উপায় ও ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন। ছেলে ও মেয়েদের ব্রণ দূর করার কিছু কার্যকরী ঔষধ রয়েছে যেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। চলুন এবার আর্টিকেলের মূল বিষয়ে আসা যাক।
ব্রণ কেন হয়?
ব্রণ সাধারণত ত্বকের অতিরিক্ত অয়েল (Sebum) উৎপাদন, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, হরমোনজনিত সমস্যা বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব এর কারণে হয়। এছাড়াও স্ট্রেস, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, এবং মেকআপ ব্যবহারের ভুলেও ব্রণ হতে পারে।
মেয়েদের ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম
মেয়েদের ত্বকের একটি অন্যতম সমস্যা হলো ব্রণ বা পিম্পল। এটি শুধু রূপের সমস্যা নয়, আত্মবিশ্বাসও কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে টিনএজার থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েরাও এই সমস্যার মুখোমুখি হন।
তবে সঠিক চিকিৎসা ও কার্যকর ঔষধ ব্যবহার করলে খুব সহজেই ব্রণ দূর করা যায়। এবার চলুন নিম্নে মেয়েদের ব্রণ দূর করার কার্যকরী ঔষধের নাম জেনে আসা যাক।
- টুফ্যাকনে ১০ MG
- Tretinoin (ট্রেটিনইন) ক্রিম
- আইসোট্রোইন ১০ MG
- Benzoyl Peroxide (বেঞ্জয়েল পারঅক্সাইড) ক্রিম
- আইসোবেস্ট ১০ MG ক্যাপসুল
- সোট্রেট ১০ MG
- Adapalene (অ্যাডাপ্যালিন) জেল
- Clindamycin (ক্লিনডামাইসিন) লোশন বা জেল
- Azelaic Acid (অ্যাজেলাইক অ্যাসিড)
- Isotretinoin (আইসোট্রেটিনইন) ট্যাবলেট
সাধারণত উপরোক্ত ক্রিম ও ট্যাবলেট গুলো ব্রণের সমস্যায় সমাধান প্রদান করে থাকে। আপনারা যারা মেয়েরা রয়েছেন তারা উপরোক্ত ক্রিমগুলো একজন বিশেষজ্ঞ স্কিন কেয়ার এক্সপার্ট এর নিকট পরামর্শ করে ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যবহারের নির্দেশনা
- কোনো ঔষধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডার্মাটোলজিস্ট বা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
- মুখ পরিষ্কার করে দিনে ১-২ বার ক্রিম বা জেল ব্যবহার করুন।
- যেকোনো ওষুধ ব্যবহারকালে সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করুন, কারণ ত্বক সংবেদনশীল হতে পারে।
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়
আপনারা কি জানেন তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। বিশেষ করে যাদের ত্বক তৈলাক্ত ভাব সবসময় থাকে তাদের প্রায়ই সব সময় ব্রণ সমস্যা থেকে যায়। ত্বকে বা মুখে তৈলাক্ত ভাব দূর করলে ব্রণ দূর করা যায়।
তাছাড়াও তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ সহ আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। যাদের তৈলাক্ত ত্বক রয়েছে তারাই বোঝে এটি কত সমস্যা সৃষ্টি করে ত্বকের জন্য। তৈলাক্ত ত্বক হয়ে থাকলে মুখে ধুলাবালি বেশি আটকে যায় এবং মুখ অপরিষ্কার হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষধ খেতে হবে
আর এই ধুলাবালি মুখে জমে যাওয়ার ফলে ত্বকের ছিদ্রগুলো ব্লক হয়ে যায় এবং ব্রণ সৃষ্টি হয়। তৈলাক্ত ত্বক দূর করার জন্য আপনারা কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন যার ফলে আপনার ত্বক কখনো তৈলাক্ত হবে না এবং ব্রণের সমস্যা দূর হবে। নিম্নে তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় আলোচনা করা হলোঃ
বেসন ও দুধঃ ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য আপনারা প্রাকৃতিকভাবে বেসন ব্যবহার করে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। বেসন দিয়ে ফেসপ্যাক বানালে এটি ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে ভালো কাজ করে থাকে।
তাছাড়াও এটি ব্রণের সমস্যা দূর করতে অধিক কার্যকরী। ফেসপ্যাক বানানোর জন্য আপনারা প্রথমেই তিন চামচ বেসন নিবেন এবং তার সাথে ৪ চা চামচ দুধ নিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন।
আরো পড়ুনঃ কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট
বেসন ও দুধ একসাথে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে সেটি আপনার মুখে অথবা ত্বকে গলায় কমপক্ষে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন। এরপর যখন দেখবেন মিশ্রণটি ত্বকের উপর শুকিয়ে গেছে তখন পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিবেন।
এভাবে যদি আপনি সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে এবং ব্রণ হওয়া সমস্যা কমে আসবে।
ডিম ও শসাঃ ডিমের ভিতরে সাদা অংশ তৈলাক্ত ত্বক দূর করতে ভালো কাজ করে থাকে। এটি ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করতে পারে। এজন্য আপনারা ডিমের সাদা অংশের সাথে শসার রস ও পুদিনা পাতার রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার সেই পেস্টটি ত্বকের উপরে লাগান, এটি আপনারা মুখেও ব্যবহার করতে পারেন।
মিশ্রণটি লাগানোর পর শুকিয়ে গেলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এ ধরনের ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বক টানটান হয় এবং ব্রণ সমস্যা সমাধান হয়। কারণ পুদিনা পাতায় রয়েছে এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ব্রণ দূর করতে অধিক কার্যকরী।
কমলার ফেসপ্যাকঃ তাছাড়াও আপনারা কমলার ফেসপ্যাক বানিয়ে তৈলাক্ত ত্বক দূর করার সাথে সাথে ব্রণও দূর করতে পারবেন। কমলার খোসার ফেসপ্যাক বানিয়ে ত্বকের তৈলাক্ত ভাবকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
প্রথমে আপনাকে কমলার খোসার গুড়া করে নিতে হবে। দুই চামচ কমলার খোসার গুঁড়া সাথে চার চামচ দুধ ও এক চা চামচ কাঁচা হলুদ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন।
ফেসপ্যাকটি আপনার মুখে অথবা ত্বকে এবং গলায় কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ধরে লাগিয়ে রাখুন। তারপর যখন দেখবেন ফেসপ্যাকটি মুখের উপর শুকিয়ে যাবে তখন পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিবেন।
সপ্তাহে কমপক্ষে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করুন আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে এবং মুখের ব্রণ সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
কলাঃ ত্বকের কোমলতা বৃদ্ধি করতে কলা খুবই কার্যকরী। তাছাড়া আপনার অনেকেই জানেন লেবুর রস ত্বকের তেল ভাব দূর করতে সাহায্য করতে পারে। তাই আপনারা যদি কলা সাথে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করেন তাহলে এর গুনাগুন অনেকটা বেড়ে যায়।
এজন্য একটি কলা নিবেন তার সাথে দুই চামচ লেবুর রস ও এক চামচ মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক্টি বানান। এবার উক্ত ফেসপ্যাকটি ভালোভাবে আপনার মুখের উপর মেসাজ করুন।
১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে এই ফেসপ্যাকটি নিয়মিত ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পেতে পারেন।
৭ দিনে ব্রণ দূর করার উপায়
আপনারা কিছু উপায়ে অবলম্বন করার মাধ্যমে সাত দিনের ব্রণ দূর করতে পারবেন। ৭ দিনে ব্রণ দূর করার উপায় গুলো নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
- সাত দিনে ব্রণ দূর করার জন্য প্রথম উপায় হিসেবে আপনারা লেবুর রস মুখের উপর লাগাবেন। মুখের ব্রণের উপর লেবুর রস অল্প পরিমাণে লাগিয়ে রাখবেন। কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ফেলবেন। প্রতিদিন যেকোনো দুই বেলায় লেবুর রস ব্যবহার করুন। সাত দিনের মধ্যেই আপনারা ভালো ফলাফল পাবেন।
- এবার ২ চা চামচ মধুর সাথে এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকের উপর লাগান। অবশ্যই মুখের ব্রণের দাগের উপর লাগাবেন। ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
- তাছাড়াও টমেটোর রসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে মুখের ব্রণ জনিত স্থানে লাগালে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। তাই এক চামচ টমেটোর রসের সাথে দুই চামচ লেবুর রস মেশান এবং সাথে এক চামচ ওটমিল মেশাবেন। এরপর মিশ্রণটি দিনে দুইবার মুখের আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন। ৭ দিনের মধ্যে আপনারা মুখের ব্রণ কমতে শুরু করবে।
- মুখে ব্রণ দূর করতে রসুন ভালো কাজ করে থাকে। এজন্য রসুনের রস করে মুখের উপর লাগান। আপনার ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
ছেলেদের ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম
আপনারা যারা ছেলেরা রয়েছেন তারা চাইলে মেয়েদের ব্রণ দূর করার ঔষধ গুলো ব্যবহার করতে পারেন। তবে আমি এখন ছেলেদের জন্য শুধুমাত্র কিছু ঔষধ সাজেস্ট করব। যেগুলো ব্যবহার করে আপনার ছেলেরা ব্রণ দূর করার সমস্যা সমাধান করতে পারেন।
- ট্রেটিভা ১০ এম জি
- Isotroin 10 mg
- Benzoyl Peroxide Cream
- Tretinoin Cream
- Sotret 10 mg
- Isotretinoin Capsules (গুরুতর ব্রণের জন্য)
- পিনোয়িন ০.০৫% মলম
বিশেষ পরামর্শঃ প্রতিটি মানুষের ত্বক আলাদা, তাই নিজে থেকে ওষুধ ব্যবহার না করে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে ভালো।
মেয়েদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায়
সাধারণত ব্রণের সমস্যা হয়ে থাকলে ত্বকে আরো অনেক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য অবশ্যই ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে মেয়েরা ব্রণের সমস্যায় বেশি ভোগে থাকেন।
ব্রণ সাধারণত বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে, বিশেষ করে হরমোন জনিত সমস্যায় ব্রণ হয়ে থাকে। তাছাড়াও তৈলাক্ত ত্বক হলে সেই ত্বকে ব্রণের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
আপনারা যারা মেয়েরা রয়েছেন তারা অনেকেই আবার কেমিক্যাল যুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করে ব্রণ দূর করতে চান। কিন্তু একটা কথা বলে রাখা উচিত এসব কেমিক্যাল যুক্ত প্রসাধনী ব্যবহারে অনেক সময় ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই আপনারা মেয়েরা দ্রুত ব্রণ দূর করতে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন।
সর্বপ্রথম আপনাদের মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে হবে। আর মুখ পরিষ্কার না রাখলে ব্রণের সমস্যা বেড়ে যাবে। তাই সবসময়ই পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ দেওয়ার চেষ্টা করবেন এবং মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করবেন।
আপনার হয়তো জানেন চন্দন ব্যবহার করে বর্তমানে রূপচর্চা করা হচ্ছে। আর এই চন্দন ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। চন্দনে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য গুণ যা ত্বকের ব্রণ দূর করতে পারে। চন্দন গুড়ার সাথে গোলাপজল মিশিয়ে মুখের ব্রণ জনিত স্থানে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। আপনার ব্রণ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে।
- ব্রণ দূর করার জন্য আপনারা মেয়েরা হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। হলুদ ত্বকের যত্নে ভালো কাজ করে থাকে। এছাড়াও এটি মুখের ব্রণ দূর করতে অধিক কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। এজন্য আপনারা হলুদের সাথে চন্দন গুড়া এবং পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার সেই পেস্টটি প্রতিদিন ব্রণের উপর লাগাবেন তাহলে আপনার ব্রণ দূর হয়ে যাবে।
- আমরা সকলে জানি নিম গাছের পাতা ঔষধি গুনসম্পন্ন একটি উদ্ভিদ। নিমপাতা ঔষধি গুন সম্পন্ন হওয়ায় বিভিন্ন রোগে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে শরীরের চুলকানি প্রতিরোধ করতেও এটি ব্যবহার হয়। তাছাড়াও এই নিমপাতার রস অথবা পেস্ট ব্রণ দূর করতে অধিক কার্যকরী। নিয়মিত নিমপাতার রস ব্রণের উপর ব্যবহার করুন আশা করছি ভালো ফলাফল পাবেন।
- তাছাড়াও আপনারা তুলসী পাতা রস ও গোলাপজল মিশিয়ে ব্রণের সমস্যা দূর করতে পারবেন। তুলসী পাতা বেটে রস করে নিয়ে তার সাথে কিছু পরিমাণ গোলাপজল মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি আপনার ত্বকের বা মুখের ব্রণের স্থানে এপ্লাই করুন, এভাবে নিয়মিত কিছুদিন ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
- ব্রণ দূর করার জন্য ডিমের কুসুম বাদে সাদা অংশটি ব্যবহার করতে পারেন। ডিমের সাদা অংশ মুখে ব্রনের উপর লাগালে ভালো কাজ করে। এজন্য ব্রণ দূর করতে সিদ্ধ ডিমের সাদা অংশ মুখে ব্রনের দাগে লাগিয়ে রাখুন।
- মধু ও সরিষা একত্রে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে পারেন এবং মিশ্রণটি ব্রনের উপর লাগালে ব্রণ অনেকটা ছোট হয়ে কমে আসে। এজন্য মধু ও সরিষা মিশ্রিত মিশ্রণ ত্বকে প্রতিদিন লাগান ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
- আর শরীর ও ত্বক সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এজন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করবেন। কমপক্ষে ৮ থেকে ৯ গ্লাস পানি পান করুন।
- এছাড়াও আপনারা বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে ব্রণের সমস্যা দূর করতে পারবেন। তবে আপনাদের সঠিক ক্রিমটি ব্যবহার করতে হবে। মেয়েদের ক্রিম সম্পর্কে আমরা নিচের অংশে আলোচনা করব।
একদিনে ব্রণ দূর করার উপায়
একদিনে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে লিখে অনেকেই সার্চ করে থাকেন। তবে একদিনে সাধারণত ব্রণ দূর করা সম্ভব নয়। তবে কিছু ক্রিম অথবা ঔষধ ব্যবহার করার মাধ্যমে ব্রণ দুই একদিনের মধ্যে দূর করা যায়।
আমরা ইতিমধ্যেই ব্রণ দূর করার ঔষধ সম্পর্কে আলোচনা করেছি, সেগুলো আপনারা ব্রণ দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন। তবে বলা যায় আপনারা কখনোই একদিনে ব্রণ দূর করতে পারবেন না।
তবে বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি বের হওয়ার কারণে জানা গেছে লেজার পদ্ধতি ব্যবহার করে একদিনের মধ্যেই ব্রণ দূর করা যায়। তবে এসব লেজার পদ্ধতি আপনার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। লেজার পদ্ধতি ব্যবহার করলে অবশ্যই ভালো মানের স্পেশালিস্ট এর কাছ থেকে ট্রিটমেন্ট নিতে হবে।
আমাদের ধারণা এভাবে কৃত্রিম উপায়ে ব্রণ না করাই ভালো। আপনারা চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ব্রণ দূর করতে পারেন।
বরফ ব্যবহার করে দুই দিনের মধ্যে ব্রণের দাগ হালকা কমানো যায়। ফ্রিজ থেকে তিন থেকে চারটি বরফ নিয়ে কাপড়ের পেচিয়ে ব্রনের উপর চেপে ধরে রাখুন। দেখবেন আপনার ব্রণ কিছুটা হলেও কমে গেছে।
এভাবে চাইলে আপনি একদিনের মধ্যে হালকা ব্রণ আকার ছোট করে কমিয়ে আনতে পারেন। তাছাড়াও ব্রণের উপর টুথপেস্ট লাগিয়ে রাখতে পারেন। রাতে ঘুমানোর আগে ব্রণের উপর টুথপেস্ট লাগিয়ে রাখুন সকালে উঠে দেখবেন ব্রণ অনেকটা কমে গেছে।
তবে একটা কথা বলে রাখি আপনাদের যদি কেউ বলে একদিনে ব্রণ দূর করে দিবে। তাহলে তাদের কথায় রাজি হবেন না। কারণ তারা আপনাদের ভুলভাল চিকিৎসা দিয়ে আরো ত্বকের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু আপনারা চাইলে ব্রণ দূর করার জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন।
উপসংহার
ছেলে ও মেয়েদের ব্রণ সমস্যা খুব সাধারণ হলেও এটি অবহেলা করলে চিরস্থায়ী দাগ তৈরি হতে পারে। তাই সঠিক ঔষধের ব্যবহার এবং সচেতনতাই হলো এর মূল সমাধান। উপরোক্ত ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম ও ব্যবহার নিয়ম অনুসরণ করলে আপনি খুব দ্রুত ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।তবে মনে রাখবেন, প্রতিটি ত্বক আলাদা। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ দীর্ঘদিন ব্যবহার করবেন না।
মেয়েদের ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম – FAQs
ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে ক্রিম অথবা ব্রণ দূর করার ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করা সম্ভব।
বর্তমানে বাজারে ব্রণের জন্য অনেক ধরনের ফেসওয়াশ হয়েছে। তবে আমার কাছে সিম্পল ডেইলি স্কিন ডিটক্স পিউরিফায়িং ফেসিয়াল ওয়াশ ফেসওয়াশটি ভালো মনে হয়েছে।
ব্রণের কালো দাগ দূর করতে সব সময় মুখ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন এবং বিভিন্ন ধরনের ফেসপ্যাক বানিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করুন।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ব্রণের সেরা ওষুধ হিসেবে ট্রেটিনোইন এটি ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া ডাক্তারের কাছ থেকে আপনারা বিভিন্ন ওষুধের নাম জানতে পারবেন।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো ফেসওয়াশ হল অ্যারোমা ম্যাজিক নিম অ্যান্ড টি ট্রি ফেসওয়াশ। উক্ত ফেসওয়াশটি মুখের তেলতেলে ভাব দূর করে।ছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায় কি?
ব্রণের জন্য সবচেয়ে ভালো ফেসওয়াশ কোনটি?
ব্রনের কালো দাগ দূর করতে কি করবো?
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ব্রণের সেরা ঔষধ?
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো ফেসওয়াশ কোনটি?

আমি নোমান, একজন অনলাইন ইনকাম এক্সপার্ট ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর। ২০২১ সাল থেকে অনলাইন আয়ের বিভিন্ন মাধ্যম নিয়ে গবেষণা করছি এবং সেই অভিজ্ঞতার আলোকে এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত তথ্যবহুল অনলাইন ইনকামের বিষয় নিয়ে আর্টিকেল প্রকাশ করি। পাশাপাশি তথ্যবহুল দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি