৪৬ হাজার টাকা ফ্রিতে উপার্জন করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে কিছু কাজ করার মাধ্যমে
টাকা ইনকাম করতে হবে।৪৬ হাজার টাকা ইনকাম করা কোন সহজ বিষয় নয়, তবে কিছু
কাজ করার মাধ্যমে সহজেই ৪৬ হাজার টাকায় ইনকাম করা যেতে পারে। এর জন্য
আপনাদের উচিত সঠিক উপায় গুলো জানা এবং গাইডলাইন গুলো মেনে ইনকাম করার চেষ্টা
করা।
৪৬ হাজার টাকা ইনকাম করতে হলে আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে ইনকাম করার চেষ্টা করতে
পারেন। বর্তমান সময়ে অনলাইন ও অফলাইন দুই মাধ্যমেই ৪৬ হাজার টাকার বেশি প্রতি
মাসে ইনকাম করা যায়।
তবে উপায় গুলো আপনাদের জানতে হবে এবং সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে তাহলেই নিশ্চিত
ভাবে ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়াও যে উপায়টিতে আপনি ইনকাম করবেন সেই উপায়
সম্পর্কে আপনার পরিপূর্ণ ধারণা এবং জ্ঞান থাকতে হবে।
আর অনলাইন এবং অফলাইন দুই মাধ্যম থেকেই ইনকাম করতে হলে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়
এবং কিছু কিছু মাধ্যমে নিজের দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে অনলাইন মাধ্যমে
কাজ করে ইনকাম করতে হলে প্রচুর দক্ষতার প্রয়োজন হয়,
সেখানে আপনি দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করে প্রতি মাসে ৪৬ হাজার
টাকার বেশি উপার্জন করতে পারবেন। এবার চলুন বিস্তারিত জানা যাক কোন কোন উপায়ে
ইনকাম করা যায়।
৪৬ হাজার টাকা ফ্রি ইনকাম করার উপায়
৪৬ হাজার টাকা ফ্রিতে উপার্জন করার জন্য কিছু উপায় ও সঠিক গাইডলাইন জেনে কাজ
করতে হবে।আপনি কখনোই ফ্রিতে কোন সাইট অথবা কোন চাকরি থেকে ৪৬ হাজার টাকা ইনকাম
করতে পারবেন না।
আরো পড়ুনঃ ডলার ইনকাম করার ১০টি সেরা সাইট
অবশ্যই আপনাকে কাজ করার বিনিময়ে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ফ্রি ৪৬ হাজার টাকা
ইনকাম করতে হবে। মূল কথা হলো আপনি কখনোই কাজ করা ছাড়া কোন সাইট অথবা উপায় থেকে
টাকা ইনকাম করতে পারবেন না।
আর কোন ধরনের সাইট নিজেরা লস করে আপনাকে ইনকাম প্রদান করবে না। তাই অবশ্যই নিজের
স্কিল বাড়ানোর চেষ্টা করুন এবং সেই স্কিল কাজে লাগিয়ে ইনকাম করার চেষ্টা
চালিয়ে যান। ফ্রি ৪৬ হাজার টাকা ইনকাম করার সেরা উপায় নিম্নে তুলে ধরা
হলোঃ
ফ্রিল্যান্সিং করে ৪৬ হাজার টাকা ফ্রি ইনকাম
আপনি যদি সত্যিকারের ফ্রিতে ৪৬ হাজার টাকা ইনকাম করতে চান সেক্ষেত্রে
ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য সেরা একটি উপায় হতে পারে। কারণ ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি
সেক্টর যেখানে কাজ করার জন্য কোন বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই শুধুমাত্র আপনার
দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে।
আপনার ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে স্কিল থাকলেই আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং
প্ল্যাটফর্মে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আর আপনারা অনেকেই জানেন
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে সঠিকভাবে কাজ করলে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন
করা সম্ভব।
তবে প্রথমদিকে হয়তো ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম হতে পারে। ধীরে ধীরে যদি আপনি
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজের পরিমাণ বাড়াতে থাকেন, তাহলে খুব সহজেই 46 হাজার
হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করা যায় যেমনঃ
লেখালেখি, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং,
ডিজিটাল মার্কেটিং
ইত্যাদি। আর ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো হলঃ আপওয়ার্ক, ফাইভার,
ফ্রিল্যান্সার ডট কম ইত্যাদি।
এছাড়া আরও অনেক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আছে যেখানে আপনি প্রফেশনাল হয়ে কাজ
করে উপার্জন করতে পারবেন। আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে প্রতি ঘন্টা বা
প্রজেক্টের ভিত্তিতে আয় করতে পারবেন।নিয়মিত ভালো কাজ করলে মাসে ৪৬ হাজার টাকা
আয় করা সম্ভব।
ব্লগিং করে ফ্রি ৪৬ হাজার টাকা
আপনার যদি লেখালেখি করার অভ্যাস থাকে, তাহলে ব্লগিং হতে পারে আপনার জন্য সবচেয়ে
সেরা উপায়। ব্লগিং করে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়। যার কারণে আমরা এই উপায়টি
আজকের তালিকায় রেখেছি।
কারণ এই উপায়ে ঘরে বসেই মাত্র দুই ঘন্টা থেকে তিন ঘন্টা সময় ব্যয় করে কাজ করে
ইনকাম করা যায়। ব্লগিং সঠিক গাইডলাইন অনুযায়ী করতে পারলে প্রতি মাসে ৪০
থেকে ৫০ হাজার টাকার বেশি উপার্জন করা সম্ভব। ব্লগিং মূলত হল ওয়েবসাইটে
লেখালেখি করা।
তবে ব্লগিং করার জন্য নিজস্ব কিছু দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে। যেমন ব্লগিং
কিভাবে করতে হয় , কিভাবে আর্টিকেল লিখতে হয় ইত্যাদি বিষয়। তাছাড়া ও ব্লগিং
ওয়েবসাইট তৈরি করতে টাকা খরচ করতে হয়।সাধারণত একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে ৩ হাজার
টাকার খরচ হয়ে থাকে।
আর যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা
খরচ হবে।আপনি নিজস্ব ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে রেগুলার নির্দিষ্ট বিষয়ে কনটেন্ট
লেখালেখি করুন।
আপনার সাইটটিতে ট্রাফিক সংখ্যা বাড়তে থাকলেই আপনি গুগল এডসেন্স আবেদন করে,
অনুমোদন নিয়ে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
সঠিক ভাবে কাজ করে গেলে মাস শেষে ৪৬ হাজার টাকা ফ্রিতে ইনকাম করা সম্ভব। আর
এই সেক্টর থেকে ইনকাম করা অর্থ ব্যাংক ট্রান্সফার এর মাধ্যমে সরাসরি নিতে
পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল খুলে ৪৬ হাজার টাকা
কম বিনিয়োগে এবং অল্প পুঁজিতে অনলাইন থেকে ইনকাম করার অন্যতম একটি মাধ্যম আছে
ইউটিউব চ্যানেল। আপনি ইউটিউব চ্যানেল খোলার মাধ্যমে সেখানে ভিডিও আপলোড করে সহজেই
অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।
এখানে আপনারা বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে পারেন। ভ্রমণ বিষয়ক,
রান্নাবান্না শেখানো, শিক্ষামূলক ভিডিও ইত্যাদি যে কোন ভিডিও বানাতে পারেন এবং
আপলোড করতে পারেন।
ভিডিও আপলোড করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ফলোয়ার ও সাবস্ক্রাইবের সংখ্যা বাড়াতে
হবে। তাছাড়াও ভিডিও কোয়ালিটি ভালো এবং সাউন্ড কোয়ালিটি ভালো হতে হবে। আপনারা
চাইলে মোবাইল দিয়ে ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে পারেন।
এছাড়াও কিছু খরচ করে সাউন্ড কোয়ালিটি ভালোর জন্য মাইক্রোফোন ও বিভিন্ন ধরনের
এক্সেসরিজ ক্রয় করতে পারেন। এভাবে ভিডিও বানিয়ে রেগুলার আপলোড করলে নিশ্চিতভাবে
নির্দিষ্ট সময় পর 46 হাজার টাকার বেশি প্রতি মাসে ইনকাম করা সম্ভব হবে।
ইনকাম শুরু করার পর প্রথম দিকে দেখা যাবে অনেক কম ইনকাম হচ্ছে। তবে ধীরে দিয়ে
যখন আপনি আকর্ষণীয় ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে থাকবেন তখন আপনার ভিডিওতে ভিউজ
সংখ্যা বাড়তে থাকবে এবং আপনি প্রচুর ডলার আয় করতে পারবেন।
হাঁস মুরগির খামার
হাঁস মুরগির খামার দিয়ে প্রতি মাসে ৪৬ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে চান,
তাহলে হাঁস মুরগির খামার তৈরি করুন এবং হাঁস মুরগি সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে
জ্ঞান নিয়ে খামার বানিয়ে হাঁস মুরগি পালন করা শুরু করুন।
যদি হাঁস মুরগি পালন করে উৎপাদন সংখ্যা বাড়াতে পারেন তাহলে অনেক টাকা প্রতি মাসে
উপার্জন করা সম্ভব। তবে মনে রাখুন হাঁস মুরগির খামার করার জন্য প্রচুর
বিনিয়োগের দরকার হয়। যদি আপনি বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলেই এই উপায়টি অনুসরণ
করুন।
তাছাড়াও হাস মুরগির খামার শুধুমাত্র গড়ে তুললেই হবে না, হাঁস মুরগির খামারে
প্রচুর পরিশ্রম করে কাজ করতে হবে। হাঁস মুরগির খামার পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং
পরিচর্যা করতে হবে, তাহলেই হাঁস মুরগির খামার দিয়ে হাঁস মুরগির উৎপাদন বাড়িয়ে
ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমানে বাজারে হাঁস মুরগির দাম অনেক বেশি। তাই আপনি যদি এই ব্যবসাটি করেন
নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি প্রতি মাসে ৪৬ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন।
শুধুমাত্র আপনার একবার ইনভেস্টমেন্ট করে খামারটি গড়ে তুলতে হবে।
আর হাঁস মুরগির খামার গড়ে তুলে ইনকাম করতে হলে প্রথমেই আপনাকে বেছে নিতে
হবে কোনটি আপনি পালন করবেন। মুরগি অথবা হাঁস যে কোন একটি পালন করতে
হবে।
যদি মুরগি পালন করতে চান তাহলে প্রথমে মুরগির জন্য বাসস্থান তৈরি করতে হবে,
যেখানে আপনি ২০ হাজার টাকাতেই সম্পন্ন করতে পারবেন। আর এভাবে হাঁস মুরগির
খামার কম খরচে তৈরি করে মাস শেষে তার দ্বিগুণ টাকা ইনকাম করুন।
সিজিনাল ফলের ব্যবসা করে ইনকাম
অল্প সময়ে সিজনাল ফলের ব্যবসা করতে পারেন। অল্প পুঁজিতে অল্প সময়ের মধ্যে এই
ধরনের ব্যবসা শুরু করা যায় এবং লাভজনক ব্যবসা করতে পারবেন। বর্তমানে আমাদের দেশে
সিজনাল ফলের চাহিদা প্রচুর রয়েছে কারণ সিজনাল ফলের দাম একটু বেশি হয়ে থাকে। যার
ফলে মানুষজন সহজে সিজনাল ফল কিনতে পারে না।
এজন্য আপনারা সিজনাল ফলের ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং ফলগুলোর দাম কম রেখে অর্থাৎ
কম লাভে বিক্রয় করতে পারেন। এতে করে কাস্টমাররা খুশি হবে এবং আপনার দোকানের
প্রতি আস্থা বেড়ে যাবে।
আর একবার দোকানের পরিচিতি বাড়াতে পারলেই আপনি প্রচুর ফল বিক্রি করে সারা বছর ৪৬
হাজার টাকার বেশি প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন। আমার জানা মতে অনেকেই ফল
বিক্রি করে বর্তমানে মাসে ১ লাখ টাকার বেশি উপার্জন করছে।
তাহলে আপনি কেন পারবেন না সঠিক উপায় অনুসরণ করুন এবং ধৈর্য ধরে কাজ করে যান
নিশ্চয়ই সফল হতে পারবেন। আপনাদের জানা উচিত যেকোনো ধরনের ব্যবসা করতে হলেই টাকা
ইনভেস্টমেন্ট করার প্রয়োজন হয়।
যদি আপনার বিনিয়োগ করার সক্ষমতা থাকে তাহলে এই উপায়টি অনুসরণ করে ব্যবসা শুরু
করুন। কারণ এই উপায়ে নিশ্চিত ভাবে অনেক পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
কম্পিউটার সার্ভিসিং এর দোকান
আপনারা হয়তো জানেন ইলেকট্রনিক্স আইটেমের দাম বর্তমানে খুবই বেশি। আর
ইলেকট্রনিক্স আইটেম বিক্রি করে অনেক টাকা লাভ করা যায়। আর এই কারণেই অনেকেই
বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স আইটেম বিক্রি করা শুরু করছে।
বিশেষ করে অনেকেই কম্পিউটার সার্ভিসিং এর দোকান দিয়ে কম্পিউটার সার্ভিস করে
ইলেকট্রনিক্স আইটেম বিক্রি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছেন। কারণ কম্পিউটার
নষ্ট হয়ে গেলে সার্ভিসিং করার জন্য কিছু ইলেকট্রনিক পার্টস এর দরকার হয়।
যা তারা নিজেরাই দোকানে মজুদ রাখে। এভাবে আপনি কম্পিউটার সার্ভিসিং দোকান
খুলে কম্পিউটার সার্ভিস করে ইলেকট্রনিক্স আইটেম বিক্রি করে প্রতি মাসে ৫০ হাজার
টাকার বেশি উপার্জন করতে পারেন। এটি একটি জনপ্রিয় অফলাইন উপায়।
এই উপায়টিতে কাজ করে ইনকাম করতে হলে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। এর পরেই
আপনি এই উপায়ে কাজ করে পরিশ্রম করে প্রচুর আর্নিং করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে ফ্রি ইনকাম
আপনারা ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনলাইনে ভালো ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে
ডিজিটাল মার্কেটিং এ ভালো পরিমাণ জ্ঞান থাকতে হবে। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং
সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে ইউটিউব বা অনলাইন থেকে সামান্য পরিমাণ ধারণা নিতে
পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আপনারা নিজেদের ওয়েবসাইট তৈরি করে ভালো অর্থ উপার্জন
করতে পারবেন। তাছাড়া ডিজিটাল মার্কেটে আরো অনেক বিভাগ রয়েছে যেমনঃ facebook
মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং যেগুলোতে আপনারা অনলাইনে ইনকাম করতে
পারবেন।
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার অনেক ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে
আপনি নির্দিষ্ট কোর্স ফি প্রদান করে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে নিতে পারেন।
তবে অবশ্যই বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোর্স করবেন তাহলে অনেক ভালো শিখতে
পারবেন। আর একবার ডিজিটাল মার্কেটিং শিখলেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম
থেকে প্রচুর অর্থ প্রতি মাসে উপার্জন করতে পারবেন।
আর্টিকেল রাইটিং করে
আপনারা চাইলে আর্টিকেল রাইটিং করে
ডলার ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট
নিতে পারেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট গুলোতে ইংরেজি আর্টিকেল লেখার
মাধ্যমে ডলার ইনকাম করা যাচ্ছে।
আপনি যদি ইংরেজিতে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে ইংলিশ আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে
প্রচুর ডলার আয় করতে পারবেন। কারণ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ইংলিশ
আর্টিকেলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। যার কারণে ইংলিশ আর্টিকেল গুলোতে বেশি ডলার
পেমেন্ট দেওয়া হয়ে থাকে।
আর্টিকেল রাইটিং করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে জানতে হবে।
আপনি আর্টিকেল লাইটিং ভালোভাবে শিখে নিবেন তারপর মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ডলার
ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে, যেখানে আর্টিকেল লিখে
প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ ডলার ইনকাম করা যায়। তাছাড়াও ইংরেজি আর্টিকেল লিখে দিলে
৫০ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়।
তাই আপনারা ভালোভাবে আর্টিকেল লেখা শিখে তারপরে কাজ করা শুরু করবেন। আর্টিকেল
রাইটিং শিখতে হলে তেমন কোন অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার প্রয়োজন হয় না, আপনি খুব সহজেই
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আর্টিকেল রাইটিং শিখে নিতে পারবেন।
তাছাড়া বর্তমানে ফ্রিতে ইউটিউব দেখে আর্টিকেল রাইটিং শেখা যায়। বিশেষ করে
শিক্ষার্থীরা আর্টিকেল রাইটিং শিখে প্রতিদিন ডলার ইনকাম করতে পারেন।
শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে
আর্টিকেল রাইটিং করে প্রচুর ডলার আয় করতে পারবেন।
যদি আপনি প্রতিদিন ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে ইংরেজি আর্টিকেল রাইটিং করেন,
তাহলে প্রতি মাসে ৫০০০০ টাকার বেশি উপার্জন করতে পারবেন। তাহলে বুঝতে
পারছেন মাসে ৪৬ হাজার টাকা ফ্রি ইনকাম করা খুবই সহজ। শুধুমাত্র আর্টিকেল
রাইটিং করেই অনলাইন থেকে ৪৬ হাজার টাকা প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে
আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল থাকলে সেখানে আপনি এফিলিয়েট
মার্কেটিং করে প্রচুর ডলার আয় করতে পারবেন। বর্তমানে বিদেশি ও দেশি
কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যের প্রচার করার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাহায্য
নিয়ে থাকে।
আপনি যদি তাদের পণ্য প্রচার এফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে করে দিতে পারেন তাহলে
আপনারা তাদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেতে পারেন।
আর সেই কমিশন আপনি ডলার অথবা টাকাতেও পেতে পারেন। তাই আপনার যদি ফেসবুক পেজ ,
ইউটিউব চ্যানেল , ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনি সেখানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
করে ডলার ইনকাম করতে পারবেন এবং সেটি বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন।
আর আপনি হয়তো জানেন ডলারে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। এই উপায়ে ঘরে বসে
অনলাইনে ৪৬ হাজার টাকার বেশি প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন।
শেষ কথা
৪৬ হাজার টাকা ফ্রি ইনকাম করতে হলে আপনাকে ধৈর্য ধরে পরিশ্রম করে কাজ করে যেতে
হবে। যদি অনলাইন উপায়ে কাজ করেন তাহলে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে। আর সঠিকভাবে
পরিশ্রম করলে ইনকাম করা সম্ভব।
এছাড়া অনেক অফলাইন উপায় আছে সেগুলোতে শারীরিকভাবে পরিশ্রম করতে হয়। যদি
আপনি প্রথমদিকে বেশি পরিশ্রম করেন তাহলে কম পরিশ্রমেও পরে টাকা ইনকাম করতে
পারবেন। আর একটা কথা ইনকাম করতে হলে হতাশ হওয়া যাবেনা, কাজ চালিয়ে যেতে
হবে তারপরে আপনি সফল হতে পারবেন। আর ৪৬ হাজার টাকা বর্তমান প্রেক্ষাপটে
ইনকাম করা কোন কঠিন বিষয় নয়।
যদি সঠিক গাইড লাইন জানা থাকে তাহলে অবশ্যই ৪৬ হাজার টাকা বিনামূল্যে নিজের
দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারবেন। সর্বশেষ বলবো দক্ষতা ছাড়া এই
পৃথিবীতে বেশি টাকা ইনকাম করার কোন উপায় নেই।
যদি আপনি দক্ষ হয়ে থাকেন বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে তাহলে অনলাইন
থেকে আয় করতে পারবেন। আর যদি অফলাইন থেকে আয় করতে চান সে ক্ষেত্রে অফলাইনের
উপায় গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে দক্ষতা অর্জন করে কাজ করে আয় করতে হবে।