-->

মোবাইল দিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম বিকাশ নগদ বা রকেটে পেমেন্ট

মোবাইল দিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম বিকাশ নগদ বা রকেটে পেমেন্ট পাওয়ার অনেক কার্যকরী উপায় রয়েছে।
মোবাইল দিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম বিকাশ নগদ বা রকেটে পেমেন্ট পাওয়ার অনেক কার্যকরী উপায় রয়েছে। যারা মোবাইল দিয়ে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা উপার্জন করতে চান, তারা চাইলে আজকের দেখানো কার্যকরী উপায় গুলো অনুসরণ করে মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারেন। 

বর্তমান সময়ে অনলাইনে মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। অনেক যুবক ছেলে মেয়েরা ঘরে বসেই এখন মোবাইলে টাইপিং সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে ইনকাম করছে। তাহলে আপনি কেন বেকার বসে আছেন, 

আপনিও ঘরে বসেই মোবাইলটি নিয়ে অনলাইন জগতের বিভিন্ন কাজ করে ইনকাম করার চেষ্টা করুন। তবে কোন কাজ করে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন সেগুলো সম্পর্কে জানা উচিত। এবার চলুন মূল বিষয়ে জানা যাক। 
মোবাইল দিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম বিকাশ নগদ বা রকেটে পেমেন্ট
মোবাইল দিয়ে কিন্তু অনেকভাবে ইনকাম করা সম্ভব। তবে আপনি কোন মাধ্যমে দক্ষ সেই মাধ্যমেই ইনকাম করার চেষ্টা করবেন। কারণ মোবাইলের ইনকাম করতে হলে কিছুটা দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে। এমন অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো দক্ষতার সহিত মোবাইলে করতে হয়। 

যেমন কনটেন্ট রাইটিং , ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি। এছাড়া আরো অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো মোবাইলে আপনি কোন ধরনের দক্ষতা ছাড়াই সম্পূর্ণ ফ্রিতে শুরু করতে পারবেন। এখানে আপনার অভিজ্ঞতা ও স্কিলের কোন প্রয়োজন নেই। 

শুধুমাত্র আপনি সাইটগুলোতে একাউন্ট খুলবেন এবং তাদের দেখানো ইনস্ট্রাকশন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট Task গুলো করে ইনকাম করবেন। চলুন জেনে আসা যাক মোবাইল দিয়ে ২০০- ৩০০ টাকা ইনকাম বিকাশ নগদ বা রকেটে পেমেন্ট পাওয়ার উপায় সম্পর্কে। 

মোবাইল দিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম বিকাশ নগদ বা রকেটে পেমেন্ট

বর্তমান সময়ে অনলাইনে ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে ডেইলি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। বিশেষ করে আপনি ইনকাম করে অর্থ বিকাশ , নগদ ও রকেটের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন। যার কারণে ইনকাম অনেক সহজ হয়ে উঠেছে। 

এর ফলেই সকলেই মোবাইলে ইনকাম করার দিকে ঝুঁকে পড়ছে। মোবাইলে ইনকাম করার কিছু কার্যকরী পদ্ধতি রয়েছে যা আপনাদের সাথে এখন শেয়ার করব।মনে রাখবেন, সব পদ্ধতির জন্য ধৈর্য এবং কিছুটা শ্রম দেওয়ার প্রয়োজন হবে।

মাইক্রো-জব (Micro-job) সাইট

অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ছোট ছোট কাজ অফার করে থাকে, যেগুলোতে আপনি বিভিন্ন ধরনের মিনি কাজগুলো করে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। সাইট গুলো হলঃ Microworkers, Picoworkers, Clickworker ,Workupjob ,Workupplace ইত্যাদি। 

এছাড়াও সার্চ করলে অনলাইনে আরো অনেক মাইক্রো জবস সাইট পাবেন যেখানে আপনি শুধুমাত্র রেজিস্ট্রেশন করে ফ্রিতে বিনামূল্যে তাদের কাজগুলো কমপ্লিট করে জমা দিয়ে ইনকাম করে নিতে পারবেন। 
এবার অনেকে প্রশ্ন করেন মাইক্রো জব ওয়েবসাইটে কি ধরনের কাজ করা যায়? মাইক্রো জব সাইটের সাধারণত আপনারা বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট Task সম্পন্ন করতে পারবেন যেমনঃ ছোটখাটো ডাটা এন্টি ,কন্টেন্ট রাইটিং করা ,ফেসবুক ফলো করা ,ইউটিউব ভিজিট করা ,ভিডিও দেখা ,বিজ্ঞাপন দেখা ,সোশ্যাল মিডিয়াতে লাইক কমেন্ট করা ইত্যাদি। 
এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে যেগুলো আপনি সাইটগুলোতে ভিজিট করলে দেখতে পাবেন।এই সকল সাইট থেকে ইনকাম করার টাকা সাধারণত বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে আনা যায়। 

তবে আপনি যদি বিদেশি সাইটে কাজ করেন তাহলে বেশিরভাগ পেমেন্টটি ডলার পাবেন যা পরবর্তীতে বিকাশের মাধ্যমে তুলতে পারবেন। তবে বাংলাদেশী কিছু মাইক্রো জব সাইট রয়েছে যেখানে কাজ করলেই আপনি বিকাশে পেমেন্ট পাবেন। 

সাইটগুলো হলোঃ Workupjob ,Workupplace। এখানে সাইট গুলোতে বিকাশ, নগদ ও রকেটে পেমেন্ট পাওয়ার সুবিধা রয়েছে। 

অনলাইন সার্ভে (Online Survey)

অনলাইনে বর্তমানে কিছু অ্যাপস ও ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে সার্ভে করে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করা যায়। এই ধরনের সাইটগুলো বিভিন্ন বিষয়ে সার্ভে করার বিনিময়ে ইনকাম প্রদান করে থাকে। আপনি শুধুমাত্র তাদের প্রশ্নের উত্তর গুলো দিবেন এবং সাবমিট করবেন তাহলেই পেমেন্ট পেয়ে যাবেন। 

তারা সার্ভের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন সেবা ও পরিষেবার রিভিউ জেনে থাকে। এই কারণে তারা সার্ভে করিয়ে আমাদেরকে পেমেন্ট প্রদান করে। সার্ভে করার অনেক জনপ্রিয় সাইট আছে যেগুলোতে রেগুলার সার্ভিস করে ডলার ইনকাম করা যায় যেমনঃ ySense, Toluna, Swagbucks ,Survey junkie। 

এই ধরনের সার্ভে সাইটগুলোতে বিভিন্ন ভাষাতে প্রশ্ন করা হয়, যার কারণে বাংলাদেশীদের জন্য সার্ভে করা একটু কঠিন হয়ে পড়ে। তবুও যারা ইংরেজি ভাষা জানেন তারা সহজেই সার্ভে করে এই সকলের সাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন। 

তবে কিছু সাইট রয়েছে যেগুলো বাংলাদেশীদের জন্য নয়। সেগুলো আপনারা ব্যবহার করবেন না। অন্য না আরো অনেক সার্ভে সাইট সেখানে ট্রাই করুন। নিশ্চিতভাবে আয় করতে পারবেন। আর এই কাজগুলো মোবাইল দিয়ে সহজেই করা যায়। 

আপনার মোবাইলে ব্রাউজারে গিয়ে সার্ভে করার সাইটগুলোতে প্রবেশ করে একাউন্ট খুলে নিবেন এবং সার্ভে করে দৈনিক আয় করবেন। 

ক্যাপচা এন্ট্রি (Captcha Entry)

মোবাইলে কাজ করে ইনকাম করার অন্যতম একটি উপায় হল ক্যাপচা এন্ট্রি। এই কাজটি সম্পন্ন ফ্রিতে আপনি মোবাইলে করে ইনকাম করতে পারবেন। যার কারণে আমরা কার্যকরী উপায় গুলোর মধ্যে এই উপায়টি রেখেছি। 

এই উপায়ে কাজ করার জন্য কোন দক্ষতার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র আপনি মোবাইল দিয়ে বিভিন্ন ক্যাপচা পূরণ করার সাইটে প্রবেশ করবেন এবং সেখানে রেজিস্ট্রেশন করে প্রতিদিন ক্যাপচা এন্ট্রি করে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নিবেন।

এই কাজটি তুলনামূলকভাবে সহজ তবে আয়ও কম। তবে নিয়মিত কাজ করলে ২০০-৩০০ টাকা আয় করা সম্ভব হতে পারে। বর্তমানে কিছু ক্যাপচা পূরণ করার সাইট হলঃ 2Captcha, Kolotibablo। 

মোবাইলে কনটেন্ট রাইটিং বা আর্টিকেল লেখা

আপনি কি মোবাইল দিয়ে দ্রুত টাইপিং করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে কনটেন্ট রাইটিং বা আর্টিকেল রাইটিং কাজটি করে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারেন। আর্টিকেল রাইটিং করার জন্য শুধুমাত্র আর্টিকেল রাইটিং সেক্টরে দক্ষ হতে হবে। 

পাশাপাশি আপনার কাছে মোবাইল থাকলেই আপনি বাংলা টাইপিং করে আর্টিকেল লিখতে পারবেন।বাংলা আর্টিকেল রাইটিং করে সহজেই বিকাশ নগদ বা রকেটের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন। 

বাংলাদেশি অনেক সাইট আছে যারা আর্টিকেল রাইটিং সার্ভিস নিয়ে থাকে, আপনার ইচ্ছা থাকলে তাদেরকে সার্ভিস প্রদান করে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা মোবাইল দিয়ে আয় করতে পারেন। শুধুমাত্র একটি আর্টিকেল লিখলেই ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

আর্টিকেল লেখালেখি করে আয় করার অনেক সাইট রয়েছে যেমনঃ অর্ডিনারি আইটি ,ট্রিকবিডি ,টেকটিউন্স ,লেখক.মি ,প্রথম আলো ইত্যাদি। এছাড়াও আপনি চাইলে শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে একাউন্ট খুলেও কাজ করা শুরু করতে পারেন। 

ফেসবুক বা ইউটিউবের জন্য কন্টেন্ট তৈরি

যদি আপনি ভিডিও এডিটিং করতে পারেন এবং ভিডিও বানাতে খুবই দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য ভিডিও বানিয়ে দিতে পারেন। তাছাড়া আপনি চাইলে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের জন্য আকর্ষণীয় ভিডিও বানিয়ে সার্ভিস দিতে পারেন। 

এভাবে সরাসরি বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে পেমেন্ট পাওয়া সম্ভব। এখানে আপনার কাজ হল বিভিন্ন ছোটখাটো ব্যবসায়ীদের জন্য বিজ্ঞাপন টাইপের ক্লিপ ভিডিও বানিয়ে দেওয়া। বর্তমানে এ বিষয়টি অনেক ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে। 

তাই আপনার যদি ভিডিও বানানোর দক্ষতা থাকে তাহলে অন্যদের জন্য ভিডিও তৈরি করে তাদেরকে সার্ভিস দিয়ে আয় করুন। তবে আপনি চাইলে নিজেও ভিডিও বানিয়ে ফেসবুক পেজে আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন। কারণ এখন বর্তমানে ফেসবুক ও ইউটিউবে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করা যায়। 

দৈনিক খুব সহজেই ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বেশি আয় করা সম্ভব। তাই ভিডিও বানাতে পারলে নিজে নিজে ভিডিও বানিয়ে ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে আয় করুন। যদি আপনার ভালো মোবাইল ফোন থাকে তাহলে ভিডিও বানাতে পারবেন এবং ভিডিও এডিট করতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এ সহায়তা

ছোটখাটো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা অনলাইন পেইজগুলো তাদের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ করার জন্য বা পোস্ট তৈরি করার জন্য লোক খুঁজে থাকে। আর সোশ্যাল মিডিয়া পেজ ম্যানেজ করার জন্য কম্পিউটারের প্রয়োজন নেই, আপনি চাইলে মোবাইল দিয়েই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট তৈরি করে অথবা সোশ্যাল মিডিয়া পেজ ম্যানেজ করে ইনকাম করতে পারবেন। 

এমন অনেক বড় বড় অনলাইন পেজ রয়েছে যারা তাদের পেজ পরিচালনা করার জন্য মডারেটর নিয়োগ করে থাকে। সেখান থেকে সহজে রেগুলার ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় করা সম্ভব, যদি আপনি মোবাইল দিয়েই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কাজটি করতে পারেন। 

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং (মোবাইল অ্যাপ দিয়ে)

আপনি ছোটখাটো ফ্রিল্যান্সিং গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করে ঘরে বসেই অনলাইনে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারেন। Canva বা PicsArt মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে মোবাইল দিয়েই সহজে বিভিন্ন ধরনের লোগো ও ব্যানার তৈরি করা যায়। 

মূল কথা এই অ্যাপগুলো দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ গুলো মোবাইল দিয়ে করা যায়। যারা অ্যাপ গুলো ব্যবহার করতে দক্ষ তারা সহজেই মোবাইল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইন সার্ভিস দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম থেকে ইনকাম করতে পারবেন। 

পাশাপাশি চাইলে লোকাল মার্কেটপ্লেসে সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রাহকদের সেবা দিতে পারেন। এই উপায়ে ৩০০ টাকার উপরে ডেইলি ইনকাম করা যাবে। আর আপনি যদি লোকাল মার্কেটপ্লেস অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় সার্ভিস দিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই গ্রাহকদের কাছ থেকে বিকাশ নগদ বা রকেটের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

ফেসবুক বা হোয়াটস অ্যাপে পণ্য রিসেলিং

অনেক পাইকারি বিক্রেতা বা অনলাইন শপ রিসেলার নিয়োগ করে। আপনি তাদের পণ্য আপনার সোশ্যাল মিডিয়া বা বন্ধুদের কাছে প্রচার করে বিক্রি করতে পারেন এবং প্রতি বিক্রিতে কমিশন আয় করতে পারবেন। 

আর কমিশন থেকে ইনকাম করা অর্থ সরাসরি বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে পেমেন্ট নেওয়া যায়। আর এই পণ্য প্রচার করার কাজটি আপনি ফেসবুক ব্যবহার করেও করতে পারেন অথবা whatsapp চ্যানেল করে সেখানে গ্রাহকদের কাছে প্রচার করতে পারেন। 

এছাড়াও চাইলে সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পরিচিতদের কাছে শেয়ার করতে পারেন। এতে করে আপনার প্রোডাক্ট রিসেলিং বেশি হতে পারে। যত বেশি প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন তত বেশি আপনি কমিশন পাবেন। তাই এখান থেকে আপনার ইনকাম করার অন্যতম উপায় হলো রিসেলিং করা। 

মোবাইল দিয়েই কাজগুলো করা যায়। মোবাইল দিয়ে সারাক্ষণ বিভিন্ন ধরনের গ্রুপে বা সাইটে প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন ও প্রচার করুন। দেখবেন নিশ্চিত ভাবে আপনার প্রোডাক্ট বেশি বিক্রি হচ্ছে এবং আপনি প্রচুরই কমিশন ইনকাম করতে পারছেন।  

মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রি 

ডাটা এন্ট্রি করে সহজেই মোবাইল দিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম বিকাশ নগদ বা রকেটে পেমেন্ট নিতে পারবেন। শুধুমাত্র আপনার দরকার দ্রুত টাইপিং স্পিড অর্থাৎ আপনি যদি মোবাইল ফোনে দ্রুত টাইপিং করতে জানেন তাহলে এ কাজটি করে আয় করতে পারবেন। 

আপনি যে ধরনের ডাটা এন্টির কাজ করবেন সেগুলো সাধারণত মোবাইলের জন্যই উপযুক্ত। তাই সেগুলো মোবাইল দিয়ে করা যাবে। তবে কম্পিউটার দিয়ে যেই ডাটা এন্ট্রি গুলো কাজ করা হয় সেগুলো সাধারণত আলাদা হয়ে থাকে। 

আর সেখানে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ডাটা এন্টির কাজ সম্পূর্ণ করতে হয়। তবে আমরা যেহেতু মোবাইলে করব তাহলে ছোটখাটো ডাটা এন্টির কাজ করতে হবে। এই কাজগুলো আপনি বিভিন্ন মাইক্রো জবস সাইটে পাবেন। 

তাছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে পেতে পারেন। একাউন্ট খুলে কাজ খুঁজে ইনকাম করা শুরু করুন। নিশ্চিতভাবে ডেইলি ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। 

অনলাইন গেম বা অ্যাপ থেকে আয়

অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের গেমিং অ্যাপস ও প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যারা খেলার জন্য বা নির্দিষ্ট টাস্ক সম্পূর্ণ করার জন্য পেমেন্ট করে থাকে। আপনি চাইলে এই ধরনের অ্যাপস গুলোতে কাজ করে ডেইলি মোবাইল দিয়ে আয় করতে পারেন। 

গেম খেলার জন্য কম্পিউটারের প্রয়োজন নেই, আপনি মোবাইল দিয়েই বিভিন্ন ধরনের গেমিং প্ল্যাটফর্মে সরাসরি গেম খেলে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। গেম খেলে ইনকাম করা যায় এমন কয়েকটি সাইট ও অ্যাপস যেমনঃ Taka income pro ,Swagbucks ,Daily taka ,MPL ,Ludu King ইত্যাদি।

তবে গেম খেলার অ্যাপস ও সাইট গুলোতে গেম খেলার পূর্বে যাচাই-বাছাই করে নিবেন। বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটগুলোতে গেম খেলে ইনকাম করার চেষ্টা করবেন। 

মোবাইল দিয়ে রেফার করে আয়

এখন অনলাইনে বিভিন্ন apps এ রেজিস্ট্রেশন করে তা রেফার করার মাধ্যমে ইনকাম করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এখানে আপনি অনলাইনে সেই অ্যাপ গুলোতে একাউন্ট খুলে কিছু কাজ করে এবং রেফার করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

রেফার করার বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেখানে আপনি একাউন্ট খুলে বন্ধুদের মাঝে রেফার করে আয় করতে পারবেন। কিছু প্ল্যাটফর্ম যেমনঃ বেটিং অ্যাপ, ই-কমার্স সাইট বা লোন অ্যাপ। 

যদি আপনি বাংলাদেশী কোন ই-কমার্স প্লাটফর্মের রেফারেল প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন তাহলে বিকাশ নগদ ও রকেটের মাধ্যমে পেমেন্ট পাবেন। তবে অন্যান্য সাইটে রেফার করে ইনকাম করলেও সেগুলো আপনি বিকাশের মাধ্যমে নিতে পারবেন বিভিন্ন পদ্ধতিতে। 

অনলাইন টিচিং বা টিউশন

আপনি যদি কোন বিষয়ে দক্ষ হন , তাহলে মোবাইল দিয়েই ছোট পরিসরে অনলাইন টিউশন শুরু করতে পারেন।মোবাইল দিয়েই জুম বা গুগল মিটের মাধ্যমে ক্লাস নিয়ে অনলাইন টিচিং বা টিউশন শুরু করতে পারবেন। 

আপনার টিউশন করানোর জন্য এক্সট্রা করে ক্যামেরার প্রয়োজন হয় না। আপনার হাতের মোবাইলটি ব্যবহার করেই ক্লাস করাতে পারবেন। আর স্টুডেন্ট এর কাছ থেকে কোর্স ফি নিয়ে প্রতি মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেশি ইনকাম করতে পারবেন। 

পুরানো জিনিসপত্র বিক্রি

আপনার অব্যবহৃত পুরানো জিনিসপত্র যেমনঃ বই, ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট, পোশাক ইত্যাদি বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইন প্লাটফর্মের সাহায্য নিয়ে গ্রাহকদের কাছে পুরনো জিনিসপত্র বিক্রয় করতে পারবেন। 

আর এই কাজগুলো মোবাইল দিয়েই করা সম্ভব। মোবাইলে তাদের অ্যাপগুলি ইন্সটল করুন এবং সেখানে পুরাতন জিনিসপত্র বিক্রি করার বিজ্ঞাপন ছাড়ুন। অ্যাপগুলি হলোঃ Bikroy.com, Facebook Marketplace। এখানে আপনি পুরাতন সহ নতুন প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। 

মোবাইল রিচার্জ ও বিল পেমেন্ট ব্যবসা

আপনার হাতের মোবাইলটি নিয়ে মোবাইল রিচার্জ ও বিল পেমেন্ট ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ঘরে বসেই আপনি গ্রাহকদের এই সার্ভিসটি দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার সার্ভিসের প্রচুর প্রচার করতে হবে। 

আপনি যদি এই উপায়ে আয় করতে চান তাহলে বাড়ির আশেপাশে ছোট্ট একটি দোকান দিতে পারেন। যেখানে আপনি দোকানে বসে মোবাইল দিয়ে গ্রাহকদের মোবাইল রিচার্জ ও বিকাশ ক্যাশ ইন ক্যাশ আউট সার্ভিস দিবেন। 

পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বিল পেমেন্ট গুলো করে দিয়ে কমিশন নিয়ে আয় করবেন। এই কাজগুলো মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ গুলো দিয়ে করা যায়। কমিশন দিয়ে খুব কম পরিমাণ ইনকাম হয় তবে বেশি লেনদেন হলে অনেক বেশি টাকা আয় করা সম্ভব। 

অনলাইন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ

অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, যেগুলোতে আপনি অংশগ্রহণ করে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার অনেক সাইট বা অ্যাপস রয়েছে যেমনঃ বিকাশ কুইজ গিরি , নগদ কুইজ , কুইজবিডি সহ আরো অনেক অ্যাপস পাবেন। 

এই ধরনের অ্যাপসগুলোতে সহজেই কুইজ গেম খেলে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন।শুধুমাত্র ধৈর্য সহকারে কুইজ খেলুন এবং সঠিক উত্তর দিয়ে আয় করার চেষ্টা করুন। কিছু সাধারণ বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে তাহলে কুইজ খেলে ইনকাম করতে পারবেন। 

ভিডিও দেখুন এবং টাকা ইনকাম করুন

Ad watching অ্যাপ বা ওয়েবসাইট যেমনঃ Swagbucks, ClipClaps ব্যবহার করে ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখে ইনকাম করুন। এখানে আপনি ভিডিওতে দেখানো বিজ্ঞাপন গুলো দেখার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। 

অনেক সময় লাগে এই কাজগুলো করতে। বেশি সময় নিয়ে ভিডিও দেখুন এবং আয় করার চেষ্টা করুন। মোবাইল দিয়ে আপনি ভিডিও দেখে ইনকাম করতে পারবেন। মোবাইলে অ্যাপস গুলো ডাউনলোড করুন এবং একাউন্ট খুলে কাজ করা শুরু করুন। 

গুরুত্বপূর্ণ ইনকাম টিপস

  • অনলাইন থেকে আয় করতে সময় এবং ধৈর্য লাগে। প্রথম দিন থেকেই অনেক টাকা আয় করা সম্ভব নাও হতে পারে।
  • কোনো ওয়েবসাইটে বা অ্যাপে কাজ শুরু করার আগে ভালোভাবে যাচাই করে নিন। কোনো প্রকার রেজিস্ট্রেশন ফি বা অগ্রিম টাকা চাইলেই সতর্ক হোন।
  • আপনার যদি নির্দিষ্ট কোনো দক্ষতা থাকে (যেমন লেখালেখি, ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং), তাহলে সেই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ভালো আয় করার চেষ্টা করুন।

শেষ কথা

উপরে দেওয়া উপায়গুলো থেকে আপনার পছন্দ ও সুবিধা অনুযায়ী যেকোনো একটি বা একাধিক উপায় বেছে নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। নিয়মিত চেষ্টা করলে মোবাইল দিয়ে ২০০-৩০০ টাকা আয় করা অবশ্যই সম্ভব। 

তবে সতর্ক থেকে সঠিক প্ল্যাটফর্ম গুলোতে কাজ করে ইনকাম করুন। সচরাচর ফ্রিতে অনলাইনে কাজ করা চেষ্টা করবেন, কখনোই লোভনীয় অফার দেখে টাকা ইনভাইট করবেন না। 

কারণ এ ধরনের সাইটগুলো প্রতারণা করে থাকে। তাই যেকোনো অ্যাপস ওয়েবসাইট ব্যবহার করার পূর্বে রিভিউ এবং ফিডব্যাক দেখে নিন এবং যাচাই-বাছাই করে নিন। আর ধৈর্য সহকারে অনলাইনে কাজ করুন তাহলে অবশ্যই ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। 

About the Author

আমি নোমান, একজন অনলাইন ইনকাম এক্সপার্ট ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর। ২০২১ সাল থেকে অনলাইন আয়ের বিভিন্ন মাধ্যম নিয়ে গবেষণা করছি এবং সেই অভিজ্ঞতার আলোকে এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত তথ্যবহুল অনলাইন ইনকামের বিষয় নিয়ে আর্টিকেল প্রকাশ করি।

Post a Comment

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.