আজকের যুগে প্রতিদিন ১০০ টাকা আয় করতে চান, তাহলে কিছু উপায় অনুসরণ করে ডেইলি
১০০ টাকা আয় করে ফেলতে পারেন। বর্তমানে আমরা এমন একটি যুগে বসবাস করে
যেখানে প্রতিদিন ইনকাম করার হাজার হাজার উপায় রয়েছে। শুধুমাত্র ইনকাম করার
উপায় গুলো জেনে বাস্তবায়ন করতে জানলেই ইনকাম করা সম্ভব হয়। প্রতিদিন ১০০ টাকা
ইনকাম কিভাবে করবেন তার বাস্তবসম্মত উপায় জানতে হলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত
পড়তে থাকুন।
প্রতিদিন ১০০ টাকা আয় করার সেরা উপায় গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করা হবে।
আপনাদের শুধু উপায় গুলো সম্পর্কে জানলে হবে না, উপায় গুলো অনুসরণ করে কিভাবে
কাজ করবেন এবং ইনকাম করবেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মূল কথা পরিশ্রম ও ধৈর্য সহকারে উপায় গুলো অনুযায়ী কাজ করতে হবে তাহলে আয় করতে
পারবেন। আমরা সহজ উপায় গুলো জানাবো, তাই দেরি না করে চলুন উপায় গুলো সম্পর্কে
জানা যাক।
আজকের যুগে অনলাইনের মাধ্যমে বা ঘরে বসে ছোট ছোট কাজ করে প্রতিদিন ১০০ টাকা আয়
করা একেবারেই সম্ভব। যদি আপনি একজন ছাত্র , গৃহিণী অথবা বেকার হয়ে থাকেন তাহলে
আজকের আর্টিকেলের গাইডটি আপনার জন্য।
এখানে আপনি বাড়তি টাকা আয় করার জন্য উপায় গুলো অনুসরণ করতে পারেন, অর্থাৎ যারা
অবসর সময়ে অতিরিক্ত টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের উপায় গুলো খুবই
উপযুক্ত। আসুন জেনে নিই কিছু কার্যকর উপায়ঃ
অনলাইন সার্ভে করে প্রতিদিন ১০০ টাকা আয়
বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্য বা সেবার ফিডব্যাক নেওয়ার জন্য অনলাইন সার্ভে
করায়, যেখানে উত্তর টাইপ করে জমা দিতে হয়। এই মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে আয়
করতে পারেন। কোম্পানি দেওয়া সার্ভে গুলোতে উত্তর দিয়ে ইনকাম করতে
পারবেন।
দ্রুত টাইপিং করলে কম সময়ে অনেক সার্ভের উত্তর দেওয়া যাবে। তাই বলবো দ্রুত
টাইপিং করুন আর অনলাইন সার্ভে টাইপিং জব করে ইনকাম করুন। জনপ্রিয় কয়েকটি
অনলাইন সার্ভে টাইপিং জব সাইটগুলো হলঃ
Swagbucks, Toluna, Freecash, TimeBucks।
এখানে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ সার্ভে করার মাধ্যমে প্রতিদিন আয় করতে
পারবেন। যদি বেশি সার্ভে করেন তাহলে ১০০ টাকা আয় করা অত্যন্ত সহজ।
ক্যাপচা এন্ট্রি জব করে প্রতিদিন আয়
ক্যাপচা এন্ট্রি জব করে প্রতিদিন টাকা উপার্জন করতে পারেন। বর্তমানে অনেক সাইট
আছে যেখানে ক্যাপচা কোড টাইপ করে ইনকাম করা যায়। তবে এগুলোতে সাধারণত কম ইনকাম
দিয়ে থাকে। তবে যত বেশি ক্যাপচা পূরণ করবেন তত বেশি আয় করতে সক্ষম
হবেন।
বর্তমানে বেশ কিছু ক্যাপচা এন্ট্রি
করার ওয়েবসাইট ও অ্যাপস রয়েছে, যেখানে আপনি যদি তাদের দেখানো নির্দিষ্ট
ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী ক্যাপচা পূরণ করেন তাহলে প্রতিদিন ১ ডলার থেকে ২ ডলারের
বেশি ইনকাম পেতে পারেন।
বর্তমানে কিছু জনপ্রিয় ক্যাপচা পূরণ করার সাইটঃ 2Captcha, MegaTypers। যদি
আপনি কম সময়ে বেশি টাইপিং করতে পারেন তাহলে অনেক বেশি ক্যাপচা পূরণ করে বেশি
টাকা আয় করতে পারবেন। তবে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা রেগুলার আয় করা যায় যদি আপনি
বিশ্বস্ত ক্যাপচা ওয়েবসাইট গুলোতে কাজ করেন।
পুরাতন জিনিস কয় বিক্রয় করে আয়
আপনি পুরাতন মালামাল ও পুরাতন জিনিস কিনে ক্রয় বিক্রয়ের কাজ করতে পারেন। আপনি
নির্দিষ্ট দামে পুরাতন জিনিস কিনে সেটি বেশি দামে বিক্রি করে টাকা আয় করতে
পারবেন। বর্তমানে এই ব্যবসাটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বেশিরভাগ ইলেকট্রনিক্স আইটেম গুলোতে এই ব্যবসা করা হচ্ছে। বিশেষ করে অনেকে
বর্তমানে পুরাতন মোবাইলের দোকান দিয়ে প্রচুর টাকা আয় করছে। আপনারা চাইলে পুরাতন
মোবাইলের দোকান দিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
তাছাড়া সাধারণ পুরাতন জিনিসপত্র বিক্রি করেও প্রতিদিনে ১০০ টাকার বেশি লাভ রাখা
সম্ভব। তাই আপনি যদি প্রতিদিন অন্তত পক্ষে ১০০ টাকা আয় করতে চান তাহলে ছোট
একটি দোকান ভাড়া নিয়ে সেখানে অল্প পুরাতন জিনিস নিয়ে বিক্রয় করতে
পারেন।
অনলাইন ট্রেডিং করে
সাধারণত টাকা ইনভেস্ট করে বা টাকা বিনিয়োগ করে ট্রেডিং করতে হয়। যদি
রেগুলার ১০০ টাকা আয় করার চিন্তাভাবনা থাকে, তাহলে ট্রেডিং সেক্টর আপনার জন্য
বেস্ট হতে পারে। তবে এখানে ঝুঁকি রয়েছে। কারণ ট্রেডিং সেক্টরে আয় করতে হলে
প্রচুর দক্ষতার প্রয়োজন হয়।
তবে সামান্য একটু জ্ঞান থাকলেও ট্রেডিং করে প্রতিদিন ১ ডলারের বেশি আয় করা
যায়। মূল কথা আপনার ট্রেডিং সম্পর্কে ধারণা থাকলেই আপনি সেখান থেকে আয়
করতে পারবেন।
তবে আপনারা যদি কোন ধরনের অভিজ্ঞতা ও ধারণা না থাকে তাহলে কখনোই আপনি ট্রেডিং করে
আয় করতে পারবেন না। এর জন্য দক্ষ হয়ে নিন, আর ট্রেডিং করে প্রতিদিন ১০০
টাকা আয় করুন।
মোবাইল রিচার্জ সার্ভিস দিয়ে আয়
প্রতিদিন ১০০ টাকার বেশি আয় করার অন্যতম উপায় হলো ফেক্সিলোড ব্যবসা বা মোবাইল
রিচার্জ সার্ভিস। এখানে যেহেতু কমিশনের ভিত্তি আয় হয়ে থাকে। তাহলে সে
ক্ষেত্রে খুব কম পরিমাণ ইনকাম হয়।
যদি বেশি সার্ভিস দিতে পারেন তাহলে ১০০ টাকা রেগুলার কমিশন ভিত্তিতে আয় করা
সম্ভব। মূল কথা আপনি বেশি গ্রাহকদের মোবাইল রিচার্জ সার্ভিস দিতে পারলেই
বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।
তার জন্য আপনার মোবাইল রিচার্জ এর দোকানটি জনসমাগম এলাকায় অথবা ভালো পজিশনে
থাকতে হবে। তাহলে এই উপায়ে খুব সহজেই ডেইলি ১০০ টাকার বেশি আয় করতে
পারবেন।
ফেসবুকে রিলস ভিডিও বানিয়ে আয়
ফেসবুকে শর্ট রিলস ভিডিও আপলোড করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যায়। বর্তমানে
ফেসবুক থেকে সকলেই কোন না কোন উপায়ে আয় করছে। আপনার নির্দিষ্ট ফেসবুক পেজ
অথবা প্রোফাইল থাকলে সেখানে আপনি প্রফেশনাল মুড অন করে শট ভিডিও আপলোড করে
ইনকাম করতে পারবেন। তবে এখানে আপনাকে প্রথম দিকে প্রচুর ভিডিও আপলোড করতে
হবে।
যখন আপনি মনিটাইজেশন পাবেন তখন আপনি সেই শর্ট ভিডিও থেকে প্রতিদিন ১ থেকে ১০
ডলার করে আয় করতে পারবেন। আপনার শর্ট ভিডিও 30 সেকেন্ড অথবা এক মিনিট পর্যন্ত
হতে পারে। আপনি যেকোনো ধরনের শর্ট ভিডিও আপলোড করতে পারেন। তবে শর্ট ভিডিও
কোয়ালিটি ভালো এবং কপিরাইট মুক্ত থাকতে হবে।
এই একটি উপায়ে আপনার কোন পরিশ্রম ছাড়াই সহজে ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে
অনলাইনে সকলেই এই ফেসবুক রীলস আপলোড করে অর্থ উপার্জন করছে। আপনারা যদি সহজ
উপায়ে ফেসবুক থেকে প্রতিদিন ১০০ টাকার বেশি আয় করতে চান তাহলে রিলস ভিডিও
আপলোড করতে পারেন।
আপনি ফটোগ্রাফি করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার বিষয়টি ভাবতে পারেন। ফটোগ্রাফি
সেক্টর থেকে ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ছবি তোলাতে এক্সপার্ট হতে হবে।
আপনাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা ছবি তুলতে ভালোবাসেন এবং ছবি তোলাতে এক্সপার্ট,
তারা চাইলে ছোটখাটো ছবি তোলার দোকান দিতে পারেন।
বর্তমানে বিয়ে বাড়িগুলোতে ফটোগ্রাফি করার জন্য ফটোগ্রাফারদের খোঁজা হয়ে
থাকে। আপনারা সেই বিয়ে বাড়িতে ফটোগ্রাফি করে একদিনেই হাজার হাজার টাকা
পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
তাছাড়া বিভিন্ন ফটোগ্রাফি কনটেস্টে যোগ দেয়ার মাধ্যমে ক্যাশ রিওয়ার্ড নিতে
পারেন। সেখানে আপনি সহজেই ১০০ টাকা ক্যাশ রিওয়ার্ড সহ পুরস্কার পেতে
পারেন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে টাকা আয়
আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার অথবা কোম্পানির ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে
কাজ করতে পারেন। বিভিন্ন ব্যবসা ও সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর প্রয়োজন হয়।
এখানে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ হল ক্লায়েন্টের উত্তরে দেওয়া ,
বিভিন্ন তথ্য নেওয়া ও সংগঠনিক সেবা প্রদান করা। আপনারা চাইলে এই কাজটি করে
প্রতিদিন ভালো পরিমান অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ট্রানসলেশন সেবা দিয়ে প্রতিদিন আয়
ট্রান্সলেশন সেবা দিয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রতিদিন ইনকাম করতে
পারবেন। অনেক দেশি-বিদেশি ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ট্রান্সলেশন সার্ভিস
দিয়ে আয় করা যায়। ট্রান্সলেশন মূলত হল ভাষার অনুবাদ করা।
আপনি ধরুন ইংরেজিতে ভাষাতে এক্সপার্ট, তাহলে আপনি ইংরেজি ভাষার ট্রান্সলেশন
সার্ভিস দিয়ে ওয়েবসাইট গুলো থেকে আয় করতে পারেন।
মূলত আপনাকে ওয়েবসাইট গুলোতে গ্রাহকদের ট্রান্সলেশন সেবা দিতে হবে। এভাবে
প্রতি মাসে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আর রেগুলার ১০০
টাকার বেশি আয় করতে পারবেন।
ই-মেইল টাইপিং ও চ্যাট সাপোর্ট দিয়ে ইনকাম
ই-মেইল উত্তর দেওয়া বা গ্রাহক সাপোর্টে চ্যাট টাইপিং করে ইনকাম করতে পারেন।
অনেক বড় বড় সাইট আছে যেখানে তারা গ্রাহক সাপোর্ট দেওয়ার জন্য লাইভ চ্যাট
অপশন চালু করে থাকে। আর লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাপোর্ট দেওয়া
হয়।
আপনি যদি চ্যাট সাপোর্টের কাজ পান তাহলে আপনাকে সেখানে টাইপিং করে চ্যাট করে
গ্রাহকদের সার্ভিস দিতে হবে। এছাড়াও ইমেইলের উত্তর দিয়েও আয় করতে পারেন। এই
টাইপিং জব গুলো পেতে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম Upwork, Freelancer,
PeoplePerHour গুলোতে খোঁজ করুন।
সাবটাইটেল টাইপিং করে আয়
ভিডিওর জন্য সাবটাইটেল তৈরি করে টাইমিং সহ টাইপিং করে বসাতে হয়, এই কাজগুলো যদি
জানেন তাহলে করে ইনকাম করতে পারেন। ভিডিওতে সাবটাইটেল টাইপিং করে যোগ করতে হয়।
দ্রুত টাইপিং জানলে এই কাজটি করে আয় করা সম্ভব।
আর এই কাজে সাধারণত প্রতিদিন পেমেন্ট দেওয়া হয়। আপনি ১০০ থেকে ৫০০ টাকা
প্রতিদিন এ কাজটি করে আয় করতে পারবেন। যদি বড় কোম্পানি বা বড় ইউটিউব চ্যানেলের
সাথে কাজ করেন তাহলে মাসে হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে
বর্তমানে আধুনিক যুগে ফেসবুক থেকে ইনকাম করার অন্যতম জনপ্রিয় ও সহজ মাধ্যম
হচ্ছে ভিডিও কনটেন্ট। অর্থাৎ আপনি ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের ইউনিক ভিডিও কন্টেন্ট
বানিয়ে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন।
বর্তমানে কম বেশি সকলে প্রায়ই ফেসবুক থেকে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে ইনকাম
করছে। ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে এবং সেখানে মনিটাইজেশন পেলে প্রচুর অর্থ উপার্জন
করা যায়।
আমরা যখন ফেসবুক চালাই তখন আমাদের সামনে অনেক ধরনের ভিডিও আসে। আর আমরা যখন সেই
ভিডিওগুলো দেখি তখন ভিডিও কনটেন্ট তৈরি কারীদের ইনকাম হয়ে থাকে। এভাবে
প্রতিনিয়ত ফেসবুকে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ ভিডিও কনটেন্ট আপলোড হচ্ছে। যেখান
থেকে অ্যাড দেখানোর মাধ্যমে মানুষ ইনকাম করে থাকে।
আপনি ফেসবুকে নিজের ভিডিও আপলোড করে সেখানে মনিটাইজেশন অন করে অ্যাড চালু করলেই
আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে। আপনারা চাইলেও একটি নিজের ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে
প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করে ইনকাম শুরু করতে পারেন। তবে মনে
রাখবেন আপনার ভিডিও কোয়ালিটি ভালো হতে হবে।
এই ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে অনেকেই প্রতি মাসে লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করছে।
মূলত আপনার ভিডিও কনটেন্টের ভিউজের উপনির্ভর করে ইনকাম হবে। আর আপনারা
অনায়াসেই এই ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে প্রতিদিন ১০০- ৫০০ টাকার বেশি আয় করতে
পারবেন।
ডাটা এন্ট্রি করে প্রতিদিন আয়
বাংলাদেশের সেরা অনলাইন টাইপিং জব ডেইলি পেমেন্ট সমূহের মধ্যে ডাটা এন্ট্রির
কাজটি সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং অন্যতম। কারণ ডাটা এন্টির জবটি করা খুবই সহজ। যেকোন
ব্যক্তি এই কাজটি করে সহজে ইনকাম করতে পারবে।
ডাটা এন্ট্রি জব করলে আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে যেমনঃ কোম্পানির তথ্য,
গ্রাহকদের ডাটা বা অন্যান্য ডেটা নির্দিষ্ট সফটওয়্যার বা এক্সেলে ইনপুট
করা।কোম্পানির বিভিন্ন ফাইল টাইপিং করে সফটওয়্যার এর সংগ্রহ করা ইত্যাদি সহ
আরো অনেক কাজ করতে হয়।
তাহলে বুঝতে পারছেন এক্ষেত্রে অনেক টাইপিং দক্ষতা প্রয়োজন হয়। অনেকেই প্রশ্ন
করে থাকেন ডাটা এন্টি কি মোবাইলে করা যায়? হ্যাঁ অবশ্যই ডাটা এন্ট্রি মোবাইল
ব্যবহার করে করা যাবে। তবে আপনি যদি মোবাইলে টাইপিং দ্রুত করতে পারেন তাহলে
সহজে করতে পারবেন।
এখন প্রশ্ন করেন ডাটা এন্ট্রি কাজ কোথায় পাবেন, ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো Fiverr,
Upwork, Freelancer, PeoplePerHour ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে পেতে
পারেন। একাউন্ট খুলে খোঁজ করুন। তবে একটা কথা জেনে রাখুন টাইপিং করার দক্ষতা সহ
কম্পিউটার বেসিক নলেজ থাকতে হবে। তাহলে টাইপিং জবের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।
রিভিউ টাইপিং করে প্রতিদিন ১০০ টাকা আয়
আকর্ষণীয় ভাবে রিভিউ লেখার দক্ষতা থাকলে এই পদ্ধতিতে ইনকাম করা সম্ভব। আর যদি
দ্রুত টাইপিং জানেন তাহলে অনেকগুলো রিভিউ লিখে বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
কোম্পানি তার প্রোডাক্ট প্রচার করার জন্য সর্বপ্রথম আকর্ষণীয় রিভিউ লিখিয়ে
থাকে।
যদি আপনার রিভিউ লেখার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকে তাহলেই আপনি টাকা উপার্জন করতে
পারবেন। কোম্পানি কিন্তু আকর্ষণীয় রিভিউ লেখার জন্য অনেক পরিমাণ পেমেন্ট করে
থাকে। এই উপায়ে সহজেই অনলাইন টাইপিং জব ডেইলি পেমেন্ট
নেয়া সম্ভব।
রিভিউ টাইপিং করতে হলে দুইটি বিষয় দক্ষতা থাকতে হবে। প্রথমত রিভিউ কিভাবে
লিখতে হয় এবং আকর্ষণীয় রিভিউ টাইপিং করার সক্ষমতা। আর দ্বিতীয় কম সময়ে
টাইপিং করে বেশি ওয়ার্ড লেখা।তাহলে আপনি রিভিউ টাইপিং করে বিভিন্ন মাধ্যমে আয়
করতে পারবেন।
রিচার্জ এবং বিল পেমেন্ট অ্যাপ থেকে ক্যাশব্যাক
Bikash, Nagad, Rocket-এর মতো মোবাইল অ্যাপ থেকে মোবাইল রিচার্জ, বিল পেমেন্টের
মাধ্যমে ক্যাশব্যাক অফার পেয়ে দিনে ১০০ টাকা পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে
আপনার নিজস্ব অনলাইন সার্ভিস দোকান থাকতে হবে। যেখানে আপনি মোবাইল রিচার্জ ,
বিকাশ ক্যাশ ইন ও বিকাশ ক্যাশ আউট সার্ভিস গুলো প্রদান করবেন। যদি পরিচিত
লাভ করেন তাহলে প্রতিদিন এই সার্ভিসগুলো দিয়ে অনেক টাকা লাভ করতে পারবেন।
শেষ কথা
প্রতিদিন ১০০ টাকা আয় করা এখন আর কঠিন কিছু নয়। ইন্টারনেটের অসীম সুযোগ,
স্মার্টফোনের সহজলভ্যতা এবং নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আপনি অল্প সময়ে আয়
শুরু করতে পারেন। প্রথম দিকে হয়তো ইনকামের পরিমাণ কম হবে, কিন্তু নিয়মিত
চেষ্টার মাধ্যমে তা ধীরে ধীরে বাড়ানো সম্ভব।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলোঃ ধৈর্য ধরা, নিজের কাজের উপর বিশ্বাস রাখা এবং
প্রতিদিন একটু একটু করে উন্নতির চেষ্টা করা।আজ থেকেই একটি উপায় বেছে নিন এবং
নিজের অনলাইন আয়ের যাত্রা শুরু করুন। সফলতা আপনার অপেক্ষায় রয়েছে।
.jpg "ফ্রি টাকা ইনকাম apps-ফ্রি টাকা ইনকাম করার উপায়")